করোনা ক্লাস্টার চিহ্নিত করতে বিশেষ উপযোগী আরোগ্য সেতু অ্যাপ, অ্যাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হু-এর প্রধান

ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরুর প্রথম দিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালু করেন আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির ৫০০-১০০০ মিটারের মধ্যে কোনও করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি আছে কি না বা সে নিজেও করোনা সংক্রমিত হতে পারেন কি না, এই তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু এই অ্যাপ লঞ্চ হওয়ার পরেই শোরগোল শুরু হয় দেশজুড়ে। অনেকের মতে, এই অ্যাপের মাধ্যমে নাকি মানুষের ব্যক্তিগত পরিসর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এবার সেই আরোগ্য সেতু অ্যাপেরই প্রশংসা করলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস।

হু-এর ডিরেক্টর বলেন, “করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে ভারত সরকার চালু করেছিল আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এর ফলে করোনা ভাইরাস ক্লাস্টার চিহ্নিত করতে ও করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সহজ হয়েছে”। বর্তমানে, প্রায় ১৫ কোটি মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের প্রথম দশায় ওই অ্যাপ লঞ্চ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারী, বেসরকারি কর্মচারী ও কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় ওই অ্যাপ। এই অ্যাপ নিয়ে বিস্তর সমালোচনার ঝড় উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। অনেকের বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে নেটিজেনদের ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকতে চাইছে সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, করোনা রোগীদের উপর নজর রাখতে বেশ ভালোই কাজ করছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এই অ্যাপ লঞ্চ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপের শীর্ষে চলে আসে। অ্যাপ নিয়ে যতই বিরোধিতা হোক না কেন, পরবর্তীকালে দেখা গেছে এই একই ধরণের অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে ব্রিটেন ও জার্মানির তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.