এবার রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত এক জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যালের কলেজের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করা সেই চিকিৎসক সাম্প্রতিকক কালে বিদেশে যাননি। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা। তা সত্ত্বেও তাঁর শরীরে এই ভাইরাস কীভাবে বাসা বাঁধল, তা নিয়ে ধন্দে অনেকেই। আর এতেই আতঙ্ক বেড়েছে রাজ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে? গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই কলকাতায় সব কোভিড পজিটিভ রোগীরই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই ওমিক্রন ধরা পড়েছে ওই জুনিয়র চিকিৎসকের। আক্রান্তকে এরপর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর জেরে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ৬ হল৷
এর আগে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন থেকে ফেরা এক যউবকের শরীরে মিলেছিল ওমিক্রন ভাইরাস। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ফের এক ব্যক্তির শরীরেও এই সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। মৃদু উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর তিনি করোনার পরীক্ষা করান এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পর তাঁর জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়৷ সেখানেই ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পরে ওই ব্যক্তির৷ তারও আগে ২৩ ডিসেম্বর এর আগে গতকাল দুই শহরবাসীর শরীরে ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া যায়। আক্রান্তের একজন কলকাতার আলিপুর এলাকার বাসিন্দা৷ তিনি সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে দেশ ফেরেন। অপরজন সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফেরেন৷
এর আগে মালদাতে মুর্শিদাবাদে একটি সাত বছরের বালক ওমিক্রন আক্রান্ত হয়। সেই বালক তার পরিবারের সঙ্গে হায়দরাবাদ হয়ে আবুধাবি থেকে রাজ্যে ফেরেন। এদিকে বড়দিনের প্রাক্কালে রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ল। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫০ জন৷ এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৮ জন৷ অন্যদিকে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।