টোকিও গেমস চলাকালীন ৮৭% মহিলা ক্রীড়াবিদ নেটমাধ্যমে নানা ভাবে হেনস্থা হয়েছিলেন

 বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের গবেষণাতে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা বেশ অস্বস্তিকরও বটে। টোকিওতে অলিম্পিক গেমস চলাকালীন অংশগ্রহণকারী মহিলা ক্রীড়াবিদদের ৮৭ শতাংশই নানা ভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই অস্বস্তিকর তথ্য। এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে ডেটা সায়েন্স কোম্পানি সিগনিফাই গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে।

বিভিন্ন ভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল মহিলা ক্রীড়াবিদদের। কখনও বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য, কখনও যৌন মন্তব্য করা হয়েছে। এমন কী কখনও কখনও ভিত্তিহীন ডোপিংয়ের অভিযোগ তুলেও আক্রমণ করা হয়। গবেষণার অঙ্গ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল ১৬১টি টুইটার হ্যান্ডেলকে। যাদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

মোট ৮১ জন মহিলা এবং ৮০ জন পুরুষের অ্যাকাউন্ট নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। টোকিওতে অংশ নেওয়া ২০০ জন ক্রীড়াবিদকে এই গবেষণার জন্য প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ২৩ জন ক্রীড়াবিদ এই আক্রমণের শিকার হন। যার মধ্যে ১৬ জন মহিলা। এর মধ্যে আবার ৬৩%  কৃষ্ণবর্ণের মহিলা অ্যাথলিট। ১৩২টি কদর্য আক্রমণের পোস্টকে বাছা হয়। যার মধ্যে ৯% ছিল ‘ট্রান্সফোবিক’ এবং ১% ছিল ‘হোমোফোবিক’ পোস্ট। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো জানান, এই গবেষণা উদ্বেগজনক। ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিটি ক্রীড়াবিদের নিজেকে সুরক্ষিত মনে করার মতো পরিবেশ থাকা উচিত। এই বিষয়ে আরও গবেষণা ভবিষ্যতেও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.