৬০%-৭০% জার্মানের করোনা হবে- তার অর্থ কি?

অর্থ হলো করোনা সর্ব-ধর্ম-মান্য করোনা দেবীর কৃপা থেকে জার্মানির ৬০-৭০% জনগণ মুক্তি পাবে না! কারণ হলো, ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা এই দেশের আবহাওয়া, জীবনধারার বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে। আমাদের দেশের মুখ্যমন্ত্রীর বা মন্ত্রীদের বা নেতাদের মত এদেশের মন্ত্রীরা সর্বজ্ঞানী নয়। একজন করোনা রুগীর থেকে কম বেশি ৩ জন রুগী আক্রান্ত হবে এদেশে। আর একজন ইনফ্লুয়েঞ্জা রুগীর থেকে ১.২ জন আক্রান্ত হয়. কাজেই করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। একদিনে না হয়, অনেক কাল ধরে এটা হবে। সরকার কিছু লুকায়নি। জনগণকে সতর্ক করেছে। জনগণ সব বুঝেছে ও সতর্ক হচ্ছে। জনগণের উপকার হবে শেষ পর্যন্ত। সরকার ও এক্সপার্টরা খুব ভালো করে মাতৃভাষায় জনগণকে মিডিয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছে।

এখন সরকারের মূল কাজ হলো, যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে। কারণ ছড়িয়ে পড়লে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে। অর্থনীতির ক্ষতি হবে। আর এতো রুগীর এক সঙ্গে চিকিৎসা দেবার ক্ষমতা নেই। কারণ এখন পর্যন্ত চীনের বা ইতালির হিসাবে ৫% রুগী মারা যায়, জার্মানিতে এই সংখ্যা এখনো ১% নয়! কেন বেশি নয়? কেন চীনের হিসাব ঠিক নয়? কারণ হলো কত লোকের চিনে বা ইতালিতে এই রোগ হয়েছে, তা তাদের সরকার জানে না। তাই যারা হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে গেছে, তাদের সংখ্যা পাওয়া গেছে, যারা যায়নি, তাদের সংখ্যা কেউ জানে না। কত লোকের ডায়াবেটিক রোগ আছে, কেহ জানে না। কারণ নিয়মিত ব্যবধানে সবার ব্লাড সুগার কোনো দেশ টেস্ট করে না। কিন্তু জার্মানির চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত ও এক অর্থে ফ্রী বলে, সরকার প্রথম থেকেই সব করোনা রুগীর হিসাব বের করতে চেষ্টা করছে, ১০০% সফল না হলেও অনেক সফল। আর বাচ্চা ও কমবয়সীদের এই রোগে তআক্রান্ত হবার তেমন বাহ্যিক লক্ষণ নেই, তাই সবটা ধরা যাবে না। আর যার ইনফ্লুয়েঞ্জা আছে, তাকে করোনা রোগে ধরবে না। কারণ ভাইরাসদের মানবিকতা আছে! পরকীয়া করে না। আমেরিকায় অনেক লোকের স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে, তাই তারা ডাক্তারের কাছে যাবে না, এদের রোগও ধরা পড়বে না। ইন্ডিয়া, বাংলাদেশও আমেরিকার মত।

জার্মানিতে মাত্র ৩৬০০০ বেড আছে, অতি আক্রান্ত করোনা রুগীকে হাসপাতালে আলাদা রেখে- আইসোলেশন ওয়ার্ড – চিকিৎসা করার কারণে। বেড থাকলেই হয় না, দরকার পর্যাপ্ত সুস্থ ডাক্তার স্বাস্থ্য কর্মী ও করোনা রক্ষক পোশাক। এতো পোশাক নেই। তাই সরকার চায়না রোগ দ্রুত ছড়াক, যাতে স্বাস্থ্য কর্মীরা অসুস্থ না হয়! যদি আস্তে আস্তে ছড়ায় তা হলে স্বাস্থ্য কর্মীর ঘাটতি হবে না। সরকার দ্রুত পোশাক বানাতে চেষ্টা করছে, কারণ এই মুহূর্তে কোনো দেশ আর পোশাক মাস্ক জীবাণু মুক্ত হ্যান্ড লোশন এক্সপোর্ট করবে না!

সব দেশের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য! বিশ্বের সুযোগ ছিল ২১ দিনের জন্য সব দেশে ধর্মঘট ডাকা। বিশ্ব ধর্মঘট স্পেশালিস্ট দল বামফ্রন্ট মানে CPIM ২১ দিনের জন্য মোদির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যপি ধর্মঘটের ডাক দিলে, সবাই সাপোর্ট করতো। আর যাদের করোনা রোগ ওই সময়ে ধরা পড়তো, তাদের ও তাদের সংস্পৰ্শে যারা এসেছে, তাদের আলাদা করতো। করোনা আর ২১ দিন পর ছড়িয়ে পরতে পারতো না! চীন ও ইতালি সঠিক সিদ্ধান্তে নিয়েছে। আর করোনা জীবাণু মনে হয় ৮-১২ ঘণ্টা শরীরের বাইরে বেঁচে থাকে। কাজেই যার করোনা হয়েছে, সে যদি টাকা ধরে ও তাকে জীবাণু যায়, আর সেই সেই টাকা অন্য সুস্থ লোক ধরে, ও সে টাকা ধরার আঙ্গুল দিয়ে ৮-১২ ঘণ্টার মধ্যে সেই আঙ্গুল নাকে মুখে লাগায় , তারও করোনা রোগ হবে।

এখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ সিদ্ধান্ত নিক, ২১ দিন বিশ্বের সব নাগরিক সব ধর্মের দেবী করোনা কে পূজা করার জন্য বাড়ি থেকে ছুটি ভোগ করবে, না অনেকদিন এই পেচাল চলবে- মানুষ আস্তে আস্তে ভয়ে না খেয়ে মরবে। ওষুধ বের হবেই ২০২১ এর মধ্যে। রোগ না থাকলে ওষুধে এর কি দরকার? আর তাতে আয় কমবে কোনো কোম্পানির।

আর বিজ্ঞানীদের কাছে আবেদন, জীবাণু অস্ত্র বানাবার পূর্বে ওষুধ বানিয়ে নেবেন, নতুবা নিজে বা নিজের লোক ও মরতে পারে। রাতে আমি জানাবো, কী করে বুঝবেন করোনা হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়নি! আমার দেয়ালে চোখ রাখবেন। ইন্ডিয়া বাংলাদেশে কত % লোকের আগামী ১০ বছরে করোনা হবে, সেটা সেই দেশের ভাইরাস এক্সপার্ট রা যদি এ নিয়ে সঠিক জরিপ করে থাকে, সরকার এর দালালি না করে, বলতে পারবে।

মৃণাল মজুমদার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.