দেশজুড়ে টিকার সংকট। অনেক রাজ্যে ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) অভাবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরুই করা যায়নি। অনেক জায়গায় আবার শুরুর পরও বন্ধ করে দিতে হয়ছে। এমনকী ৪৫ ঊর্ধ্বদেরও সকলে টিকা পাচ্ছেন না। অথচ, এসবের মধ্যেও ভারতে প্রায় ৬.৩ শতাংশ করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। কোনও না কোনও কারণে এই বিপুল পরিমাণ টিকা ব্যবহার করা যায়নি। যা নিয়ে একাধিক রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে বারবার অনুরোধ করা হয়ছে নষ্ট হওয়া ভ্যাকসিনের পরিমাণ যেন কোনওভাবেই ১ শতাংশের উপরে না যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। এই তালিকায় সবার উপরে নাম ঝাড়খণ্ডের। কেন্দ্রের দাবি সেরাজ্যে মোট বরাদ্দের ৩৭.৩ শতাংশ ভ্যাকসিনই নষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ছত্তিশগড়। সেরাজ্যেও নষ্ট হয়েছে ৩০.২ শতাংশ ভ্যাকসিন। তামিলনাড়ুতে নষ্ট হয়েছে ১৫.৫ শতাংশ। কাশ্মীরে ১০.৮ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ১০.৭ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে প্রায় ৬.৩ শতাংশ ভ্যাকসিন শুধু সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়নি বলে নষ্ট হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান মানতে নারাজ রাজ্যগুলি। কেন্দ্রের তরফে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পরই টুইটারে পালটা পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তাঁর দাবি, মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে কেন্দ্র। ঝাড়খণ্ডে মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। একই রকম দাবি কংগ্রেস (Congress) শাসিত ঝাড়খণ্ড সরকারেরও। সেরাজ্যের মুখ্যসচিব বলছেন, তথ্য নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আমরা শীঘ্রই কেন্দ্রে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। তাহলেই আসল তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
যদিও এসবের মধ্যে স্বস্তির খবরও রয়েছে। পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৪২ শতাংশ নাগরিকই করোনার ভ্যাকসিনের অন্তত একটি করে ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। আমেরিকার পর ভারতই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ২০ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দিতে পেরেছে।