কোভিড মৃত্যুর গণনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ‘গণিত পদ্ধতি’ ব্যবহার করছে, তার বিরোধ জানাল ভারত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনের নাম – ‘India Is Stalling WHO’s Efforts to Make Global Covid Death Toll Public’ (কোভিড মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রচেষ্টাকে বিফল করছে ভারত)।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ভাইরাসজনিত কারণে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিশ্বে। দেশগুলির সরকারি প্রকাশিত তথ্য ও পরিসংখ্যানের দ্বিগুণেরও বেশি এই সংখ্যা। পাশাপাশি মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ডব্লিউএইচওর অনুমান দেখাবে ভারতে মোট কোভিড মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে চার মিলিয়ন। এই সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যার প্রায় আট গুণ।
এদিকে এই প্রতিবেদনকে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেখা হয়, ‘কিন্তু বিস্ময়কর এই অনুমান (কোভিড মৃত্যু সংক্রান্ত) প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কয়েক মাস বিলম্বে। ভারতের আপত্তির কারণেই কয়েক মাস ধরে বিলম্বিত হয়েছে এই রিপোর্ট। ভারতে এর কতজন নাগরিক মারা গিয়েছে সেই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এই রিপোর্ট এবং তাই এটিকে প্রকাশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’
এদিকে এই সবের মাঝে মন্ত্রক শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে যে ‘ভারতের মৌলিক আপত্তি এই ফলাফল নিয়ে নয় (যাই ফলাফল এসে থাকুক না কেন)। বরং এই পরিসংখ্যান পেতে যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে সমস্যা ছিল ভারতের।’ ভারতের আরও দাবি, চিন, বাংলাদেশ, ইরান, সিরিয়ার মতো দেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারতের বক্তব্য, ‘ভারতের মতো বিশাল ও বৈচিত্রময় দেশের ক্ষেত্রে বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার এই মডেল কী ভাবে কার্যকর হবে? তিউনিশিয়ার মতো ছোট দেশে যে মডেল কাজ করবে, ভারতের ক্ষেত্রে তা নাও করতে পারে।’ পাশাপাশি ভারতের অভিযোগ, তাপমাত্রার সঙ্গে মৃত্যুর সামঞ্জস্যের মডেলের ভিত্তিতে প্রকাশিত এই সংখ্যার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে ভারতের উদ্বেগ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে ভারত। এদিকে ভারত সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে নিয়মিত প্রযুক্তি বিনিময় করে চলেছে ভারত।