আর কয়েক সপ্তাহ। তারপরই বাজারে চলে আসবে ৩-৪টি করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine)। ফলে মানুষের কাছে সুযোগ থাকবে নিজেদের পছন্দমতো ভ্যাকসিন নেওয়ার। এমনটাই দাবি করলেন AIIMS প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশে দু’টি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে টিকাকরণ হচ্ছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। কোভিশিল্ড নিয়ে তেমন অভিযোগ না থাকলেও কোভ্যাক্সিন নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এই দাবি করলেন এইমস প্রধান।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. গুলেরিয়া বলেন, ”আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের হাতে ৩ থেকে ৪টি ভ্যাকসিন চলে আসবে। তবে একটি কেন্দ্রেই সবগুলি পাওয়া যাবে না। একটি কেন্দ্রে একটিই ভ্যাকসিন থাকবে। কিন্তু সম্ভবত একেকটি এলাকায় একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ চলবে। ফলে আপনার কাছে সুযোগ থাকবে বেছে নেওয়ার। কেননা আপনি জানতে পারবেন, কোন কেন্দ্রে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনি একটি কেন্দ্রে গিয়ে যে কোনও ভ্যাকসিন চাইতে পারবেন না।”
দেশের ছ’টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন ডা. গুলেরিয়া। দেশে ইতিমধ্যে বহু মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেকথা উল্লেখ করেও তিনি জানাচ্ছেন, দেশের বিপুল জনসংখ্যার নিরিখে সংখ্যাটা বেশি নয় মোটেই। ফলে টিকাকরণের পরিমাণ বাড়াতে বেসরকারি মাধ্যমে টিকা দেওয়া শুরু করায় মত দিচ্ছেন তিনি। ডা. গুলেরিয়া বলেছেন, ”বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারলে কেবল সংক্রমণ কমানোই সম্ভব হবে না। তার পাশাপাশি হাসপাতালে ভরতি হওয়া মানুষের সংখ্যা এবং মৃত্যুর ঘটনাও কমানো সম্ভব হবে।”
এদিকে শনিবারই কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হলে প্রতি ডোজের জন্য খরচ পড়বে ২৫০ টাকা। কাল থেকে শুরু হবে দেশজুড়ে চলতে থাকা টিকাকরণের দ্বিতীয় দফা। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। এই পর্যায়ে সরকারি কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যেই টিকাকরণ চলবে। বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হলে খরচ করতে হবে গাঁটের কড়ি।