রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ৭ হাজারের কাছাকাছি। বিপুল হারে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বিপুল হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৪১ হাজারের গণ্ডি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৬ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫০৬-এ।
প্রত্যেকদিনই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৬৯, শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা গেল, সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৯১০। পরীক্ষার সংখ্যা সামান্য কমেছে, বেড়েছে সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবারের তুলনায় সংক্রমণের হার ১ শতাংশের বেশি বেড়ে হয়েছে ১৭.২১ শতাংশ। সংক্রমণের বিচারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আবারও শীর্ষে রয়েছে কলকাতা ও তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৪৪ জন ও উত্তর ২৪ পরগনায় এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৯২ জন।
রাজ্যে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরেই রয়েছে হাওড়া। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪২০। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ৪০২ জন। বীরভুম জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৪ জন। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে নতুন করে ৩৫৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হুগলি জেলাতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৯৪ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯৫। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪০ হাজার ১৫৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ২৪২ জন।
শেষ কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে টিকার অভাব নিয়ে একাধিক রাজ্য সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক সভা থেকে টিকার অভাবের কথা বলেছেন। শেষ কয়েকদিনের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে, উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে টিকাকরণের সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘণ্টার রাজ্যে ২৫ হাজার ৫০১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মোট টিকাকরণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩৮-এ।