বমি, পায়খানা উপসর্গ নিয়ে এক আদিবাসী মহিলার মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমের মল্লারপুর থানার গাজিপুর গ্রামে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা দুই। খবর পেয়ে গ্রামে মেডিক্যাল টিম বসানো হয়েছে। পুকুরের জল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরেই ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর গ্রামে বমি, পায়খানা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন মল্লারপুর ব্লক হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঠাকুরন মার্ডি (৫১) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, দুর্গ মুর্মু (৭১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, দুর্গ মুর্মু হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
মল্লারপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ৫১ জন চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে ৩ জনের রক্তে স্ক্রাব টাইফাস এবং এক জনের কলেরা ধরা পড়েছে। শুক্রবার আরও ১৫ জনের রক্ত এবং তিনজনের পায়খানা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে বলেন, “আমরা সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করে চিকিৎসা করছি। মেডিক্যাল টিম গ্রামে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ সকলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এদিন পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে পাউচ জল গ্রামে সরবরাহ করা হয়েছে। মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভার পক্ষ থেকে গ্রামে সাবান দেওয়া হয়েছে। শনিবার তারা গ্রামে শুকনো খাবার সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন সাধন সিনহা।