করোনা ভাইরাসের (Cooronavirus) সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ভ্যাকসিন তৈরি করতে চলেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থার চেয়ারম্যান এবং চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালেক্স গোরস্কি বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (BARDA) যৌথ উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে জনসন অ্যান্ড জনসনের রিসার্চ উইং জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।” তিনি আরও বলেন “ভ্যাকসিন তৈরির প্রাথমিক পর্যায় শেষ করে ফেলেছেন তাঁরা। পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের উপর ট্রায়াল শুরু হবে পারে সেপ্টেম্বরেই।”
করোনা ভাইরাসের মহামারী রুখতে ‘ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট’ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপরে প্রয়োগ করে দেখা হবে এই ভ্যাকসিনের ক্ষমতা। অ্যালেক্স গোরস্কি আরও বলেন, “ভাইরাল প্রোটিনকে শনাক্ত করে মানুষের দেহকোষের অ্যান্ডিবডি তৈরির ক্ষমতা বাড়াবে এই ভ্যাকসিন। যে কোনও মারণ ভাইরাস হানা দিলে তার উপযোগী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে মানুষের শরীরেই। এইভাবেই আগামী দিনেও মহামারী ঠেকানো সম্ভব হবে।”
জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিন বানানোর কাজ শুরু করেছিল জনসন অ্যান্ড জনসন(gohnson & Johnson)। এই কাজে তাদের সহায়তা করেছে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল। অ্যালেক্স জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স বিজ্ঞানীরা সামনে আনার পর থেকেই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পার্টনারশিপ তো বটেই, আরও অনেক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এই কাজে এগিয়ে এসেছে। ভাইরাল প্রোটিনকে শনাক্ত করে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের ডিজাইন বানানো হয়। এই ভ্যাকসিন দেহকোষের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। আগামী বছর শুরুতেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। মহামারী রুখতে ১০০ কোটি এমন ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে সব দেশে।
ভ্যাকসিন তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি করে এর ক্ষমতা যাচাই করেন বিজ্ঞানীরা।