‘পরিবারের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে কেন এমন করলে?’, ক্ষেপে উঠে রাজকে প্রশ্ন শিল্পার

গত ১৯ জুলাই পর্ন ছবি তৈরি এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে। মঙ্গলবার রাজকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তরফে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলেবন্দি শিল্পা শেট্টির স্বামী। এই মামলায় তদন্তকারীদের কড়া নজরদাড়িতে রয়েছেন শিল্পাও। শীঘ্রই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে। পাশাপাশি অভিনেত্রীর ফোন-এর ফরেনসিক পরীক্ষাও করানো হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

এনডিটিভি রিপোর্ট বলছে, সূত্রের খবর, অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি বলেছেন, ‘আমাদের সব আছে, তাহলে এসব করার প্রয়োজন কী ছিল?’ ব্যবসায়িক রাজ কুন্দ্রাকে প্রশ্ন করে অভিনেত্রী স্ত্রী। ‘হটশটস’ (Hotshots) নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি এবং স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হন রাজ।

রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির পর পর্নকাণ্ডে শিল্পা শেট্টিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রেইড করা হয় রাজ-শিল্পার জুহুর বিলাসবহুল বাংলো। সূত্র জানিয়েছে, রাজকে দেখেই ভেঙে পড়েন শিল্পা। অভিযুক্ত স্বামীর মুখোমুখি হয়ে তাঁকে বলেন, এই কর্মের ফলে শুধুমাত্র পরিবারের নামই নষ্ট করেনি, পাশাপাশি অনুমোদনের বাতিল এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও করছে। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, ‘শিল্পা রাজকে প্রশ্ন করেন, সমাজে তাঁদের একটা সম্মান রয়েছে। এরপরেও এই ধরণের কাজ করার কী কোনও দরকার ছিল?’

এএনআই সূত্রে খবর, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পা। রাজ এবং শিল্পার মধ্যে খুব বড় বাকবিতণ্ডা হয় সেই সময়। শিল্পা চিৎকার করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এই জাতীয় কাজ করার প্রয়োজন কী এবং তিনি কেন এসব করেছেন। অভিনেত্রীকে শান্ত করার জন্য অপরাধ দমন শাখাকে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল’।

পর্নকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাজ কুন্দ্রার নাম দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০ ধারা (চিটিং), ৩৪ (স্বপ্রণোদিত), ২৯২ এবং ২৯৩ (অশ্লীল ছবি ও অশালীন বিজ্ঞাপন তৈরি এবং তা প্রচার) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আইটি আইন এবং ইনডেন্ট রিপ্রেজেন্টেশন অব উইমেন (নিষিদ্ধ) আইনের অধীনেও অভিযুক্ত তিনি। অভিযুক্ত আপাতত ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ২৯শে জুলাই, অর্থাত্ বৃহস্পতিবার ফের রাজ কুন্দ্রার জামিনের আর্জির শুনানি চলবে বম্বে হাইকোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.