কিংবদন্তি পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। দেশের মননশীল জীবনবাদী ছবির জগতে যাঁদের নাম আলোচিত হয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ঋত্বিক ঘটক। তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ‘নাগরিক’ এবং প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘অযান্ত্রিক’। ঋত্বিকের অসামান্য বৈশিষ্ট্য ও মৌলিকতা বাংলা ছবিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সঙ্গে ঋত্বিক বসেন এক আসনে। তাঁর কর্ম ও সৃজনক্ষেত্রের পরিধি কেবল চিত্র পরিচালনা ও কথাসাহিত্যে আবদ্ধ নয়। এর পাশাপাশি তিনি পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষের দায়িত্বও দীর্ঘদিন পালন করেছেন দায়িত্বের সঙ্গে। ঋত্বিক প্রথম জীবনে কবি ও গল্পকার, তারপর নাট্যকার, নাট্যপরিচালক। পরে চলচ্চিত্রকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন।
ঋত্বিকের স্বতন্ত্র ধারার চলচ্চিত্রগুলি চল্লিশ বছরের বেশি আগে নির্মিত হলেও, তাঁকে ভারতীয় সিনেমার আধুনিকতম পরিচালক বলা যেতেই পারে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্যেও তাঁর জীবনের অনেক ঘটনাই অলক্ষ্যে রয়ে গিয়েছে। অনেক তথ্যই আজও অজানা। আর সেই অজানা তথ্যকে সকলের সামনে তুলে ধরতে এক সাহসী পদক্ষেপ নিলেন পরিচালক মিলন ভৌমিকের পুত্র পরিচালক শুভঙ্কর ভৌমিক। কল্যাণ সিনহা রায়, তানিশা ধর এবং মিলন ভৌমিকের যৌথ প্রযোজনায় ‘অলক্ষ্যে ঋত্বিক’ নামে বায়োপিক আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
এই ছবির হাত ধরে ঋত্বিকের জীবনের অনেক অজানা তথ্য উন্মুক্ত হতে চলেছে আপামর বাঙালি তথা সকল দর্শকদের কাছে। আগামী ১৭ই এপ্রিল, সোমবার থেকে ‘অলক্ষ্যে ঋত্বিক’-এর শ্যুটিং শুরু হতে চলেছে। এখানে ঋত্বিকের চরিত্রে অভিনয় করবেন গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার, সুরমা ঘটকের চরিত্রে থাকছেন পায়েল সরকার। এছাড়াও বাসু ভট্টাচার্যের ভূমিকায় রাজ, সালাউদ্দিন কাজির ভূমিকায় সম্রাট মুখোপাধ্যায়, চিদানন্দ দাসগুপ্তর ভূমিকায় শিবাজি দাসগুপ্ত, সমরেশ বসুর ভূমিকায় শুভম বসু,ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায় দেবব্রত অধিকারী, বিমল রায়ের ভূমিকায় বিডি. মুখার্জি, সতীন্দ্র ভট্টাচার্যের ভূমিকায় সুদীপ্ত গায়েন, সলিল চৌধুরীর ভূমিকায় মৃন্ময় কর্মকার,শম্ভু মিত্রের ভূমিকায় প্রতিপ সরকার, শাঁওলি মিত্রের ভূমিকায় মিনাশ্রী সরকার, রিঙ্কি ভট্টাচার্যের ভূমিকায় দেবারতি পালকে দেখা যাবে।