জীতু কমল থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠা। অনেকটা পিছু হাঁটা, অনেকটা অন্য রকম পথ। বেমানান লাগতেই পারত, বিতর্কের ঝড়ও বয়ে যেতে পারত। কিন্তু দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বলছে, গরমিল নেই কোথাও। সত্যজিৎ-রূপী জীতুতে একাত্ম হতে পারছেন সকলেই। কিন্তু কী ভাবে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেললেন পরিচালক অনীক দত্ত? কেন, রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু আছেন যে! জীতুর কথায়, তিনিই এ ছবির নায়ক। যাঁর হাতের জাদুতে অবিকল সত্যজিৎ হয়ে উঠে এত মানুষের সামনে আসতে পেরেছেন অভিনেতা।
আনন্দবাজার অনলাইনে শনিবারের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’-য় এসে একেবারে সোজাসাপ্টা ছবির নায়ক। জীতুর কথায়, পরিচালক অনীক সব দিক দিয়েই সৎ এবং নিখুঁত ভাবে কাজ করেছেন। তবে সবচেয়ে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ছিল রূপটান শিল্পী হিসেবে সোমনাথ কুণ্ডুকে চয়ন। ‘অপরাজিত’ ছবির প্রসঙ্গে তাই বার বার উঠে এসেছে সোমনাথের নাম। তাঁর রূপটানের জাদুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন টলিউডের অনেক তারকাই।
টলিপাড়ায় গত ২৫ বছর কাজ করছেন সোমনাথ। মুম্বইয়েও বহু ছবিতে চরিত্রের ভোল বদলে দেওয়ার ডাক পান। তবে প্রচারের আলোয় আসেননি তেমন। নেপথ্যেই থেকে গিয়েছেন। তবে কলকাতায় নিখুঁত প্রস্থেটিক মেকআপ করতে পারা শিল্পী হাতে গোনা। তাঁদের অন্যতম সোমনাথ। তাঁর কথা বলতে বলতে আড্ডাতেও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন জীতু। বলেছেন, ‘‘মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ। আমার খুব খেয়াল রাখতেন। মেকআপ রুমে একা বসে আছি হয়তো। এসে বললেন, জল খেয়েছ?’’
জীতুর আফশোস, ছবি মুক্তির সময়ে সোমনাথ কলকাতায় নেই। তাঁর হাতে গড়া ‘অপরাজিত রায়’ কী ভাবে সাড়া ফেলেছে, সে সব চাক্ষুষ করার সুযোগ হল না ছবির আসল নায়কেরই। সোমনাথ এখন উত্তরবঙ্গে, আর একটি কাজে ব্যস্ত। তবে শহরে ফিরবেন কিছু দিনের মধ্যেই। জীতুর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হয় ফোনে। অভিনেতাই জানালেন, সোমনাথ এক বার ঠিক ঘুরে যাবেন ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকতে থাকতে।