তোমার হাত ধরে যেন ফিরে দেখলাম মধ্যবিত্ত বাবা ও সন্তানের ভালবাসার সম্পর্ক। কাজের চাপের মধ্যেও সময় বার করে বাবা তাঁর মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, খেয়াল রাখছেন— এ তো মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্দরের ছবি। তোমার ‘আয় খুকু আয়’ ছবির ঝলকে মেয়ে আর বাবাকে যে ভাবে দেখছি, তেমনই তো হয় বাস্তবের ছাপোষা বাবা ও তাঁর সন্তানের সম্পর্ক। প্রথমে তোমাকে দেখে একটু চমকেই উঠেছিলাম। একেবারে আমার বাবার মতো লাগছে! চোখের সামনে যেন তাঁকেই দেখছি। এই ছবিতে তোমার মেকআপ যেন অবিকল আমার বাবা, মানে তোমার দাদু ডা. রঞ্জিতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো। বাবা আর তোমার জন্মদিনও তো একই দিনে। ৩০ সেপ্টেম্বর। তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই? এই মেকআপে অসাধারণ লাগছে তোমাকে।
ঝলক বলছে, এ ছবির মধ্যে দিয়ে তুমি সুস্থ, সামাজিক এক পরিবারের গল্প বলতে চেয়েছ। নির্মল মণ্ডল নামে তোমার চরিত্র সেই ধারাবাহিকতাই বহন করছে এই ছবিতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমাদের জীবন থেকে এই সুন্দর ছবিটাই এখন ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে।
ভাল বাণিজ্যিক ছবির সব উপাদান রয়েছে ‘আয় খুকু আয়’ ছবিতে। এমনিতেই তোমার অভিনয়ের ভক্ত আমি। চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তুমি দক্ষ। আমি দেখেছি, তুমি যে কাজ করো, তার পিছনে অনেক ভাবনাচিন্তা থাকে। বাবা হয়েও স্বীকার করছি, চরিত্র নিয়ে তোমার মতো এত ভাবতে পারি না আমি। এ বিষয়টায় তুমি অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
তোমার ‘আয় খুকু আয়’ বাংলা ছবির এক নতুন ধারার পথ প্রদর্শক হবে, দেখে নিও। বাংলা ছবি করতে হলে বাংলার মাটিকে চিনতে হবে, মাটির সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সেটাই তুমি এত দিন করে দেখিয়েছ। আমার বিশ্বাস, এ ছবি তোমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। তোমার আন্টি, বোন সবাই ছবির প্রথম ঝলক দেখেছে। সম্ভবী তো তোমার অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত। তোমাকে ভালবাসা ও শুভকামনা জানিয়েছে। আমিও মন থেকে চাই, এ ছবি খুব সাফল্য পাক। সব কলাকুশলী এবং ছবির প্রযোজক জিৎ-কেও অনেক শুভকামনা। তোমার সঙ্গে আমার আশীর্বাদ সব সময়ে আছে। এখন তো কলকাতায় যাওয়া হবে না। মুম্বইয়ে এই ছবি মুক্তি পেলে অবশ্যই দেখব। কথা দিলাম।
ইতি, তোমার বাপি।