প্রায় দু’ বছর পর ফের একবার বড়পর্দায় ফিরল নতুন ছবি। তাও এত বড় বাজেটের। তাই অক্ষয় কুমারের ‘বেল বটম’ ছবি সিনেমা হলে বসে দেখার প্রস্তুতি বেশ তোড়জোড় করেই শুরু করে দিয়েছিল অক্ষয় অনুরাগী এবং ছবিপ্রেমী দর্শকের দল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ‘খিলাড়ি’-র খেল দেখার জন্য এককথায় মুখিয়ে ছিল তাঁর অনুরাগীরা। তবে মুক্তির প্রথম দিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অনলাইনেই ফাঁস হয়ে গেল ‘বেল বটম’!
ঘোষণার দিন থেকেই সাগ্রহে এই ‘স্পাই থ্রিলার’-এর অপেক্ষায় ছিল অগণিত হিন্দি ছবিপ্রেমী দর্শক। তার ওপর ফের একবার সিনেমা হলে বসে প্রিয় তারকাকে দেখার উর্যুপুরি সুযোগ। তবে গত বৃহস্পতিবার মুক্তির দিনেই অনলাইনে এই ছবি তাও আবার এইচডি ফর্মাটে ‘লিক’ হয়ে যাওয়ার বেশ খানিকটা চিন্তিত এবং হতাশ অক্ষয়ের ফ্যানেরা। তামিল রকারস, ফিল্মিজিলা, টেলিগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি সাইট থেকেই এইচডি ফর্মাটে ডাউনলোড করা যাচ্ছে ‘বেল বটম’। অন্যান্য প্রায় সব ছবির ক্ষেত্রেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়ার একই ফর্মুলা থাকলেও ‘বেল বটম’ এর ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। অক্ষয়ের এই ছবি মুক্তির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অন্যদিকে, অক্ষয় তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে ঘোষণা করেছেন ‘বেল বটম’ থ্রিডি ফরম্যাটে দেখারও সুযোগ রয়েছে। তাই সবাই মিলে সিনেমা হলেই বসে এই ছবি দেখেন। এহেন পরিস্থিতিতে কেন সিনেমা হলেই এই ছবির মুক্তির কারণ জানালেন ‘খিলাড়ি’ স্বয়ং। অক্ষয় আরও জানিয়েছেন এহেন পরিস্থিতিতে সিনেমা হলে বড় বাজেটের ছবি রিলিজ করানো তাঁর কাছে অনেকটা জুয়া খেলার মতোই। ঝুঁকি নিতে হবে তবে বটে, তবে লাগলে জ্যাকপট আর হারলে সব শেষ। বলি-তারকার কথায় সেটা তিনি নিয়েছেন। বক্তব্য শেষে খিলাড়ি বলেছেন, সিনেমা হলে গিয়ে নির্দিষ্ট করোনা বিধি মনে চলার পাশাপাশি যদি একটু সতর্ক থাকেন কেউ, তাহলে তাঁর জন্য এইমুহূর্তে বড়পর্দায় ছবি দেখা অন্যতম নিশ্চিন্তের কাজ হতে চলেছে।
এই সময় অক্ষয় কুমারের ছবি বেল বটমের ব্যবসার দিকে তাকিয়ে গোটা বলিউড৷ কারণ বেল বটম কেমন চলে, কতটা ব্যবসা দেয়, তার উপর নির্ভর করছে বলিউডের ভবিষ্যৎ৷এহেন পরিস্থিতিতে অনলাইনে ‘খিলাড়ি’-র এই ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়া বক্স অফিসে কতটা প্রভাব ফেলে, আপাতত দেখার সেটাই।