আরিয়ান মামলার তদন্তে নেমে বার বার মুশকিলে পড়ছে মুম্বই পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল। মাদক মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনসিবির বিরুদ্ধে, আর সেই অভিযোগ এনেছেন মুম্বই ক্রুজ ড্রাগ কাণ্ডেরই এক সাক্ষী। প্রভাকর সেইলের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। প্রভাকর সেইল নিজের হলফনামায় আদালতকে স্পষ্ট জানিয়েছে, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দদলানি ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিল কেপি গোসাভি-কে। এই মামলার অন্যতম মুখ্য চরিত্র পূজা। কিন্তু বারবার তাঁকে তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা হলেও মুম্বই পুলিশকে ‘পাত্তা’ দিচ্ছেন না শাহরুখের ম্যানেজার।
জানা গিয়েছে মুম্বই পুলিশের দ্বিতীয় সমনও এড়িয়ে গিয়েছেন পূজা। জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারছেন না। এবার নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশও। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই তৃতীয় সমন জারি করা হতে পারে পূজার নামে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুম্বই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। তৃতীয় সমন এড়ালে পূজার বিরুদ্ধে কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সেই নিয়েও চলছে আলোচনা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘দুটো সমন আগেই দেওয়া হয়েছে পূজা দাদলানিকে, উনি সেটা এড়িয়ে গিয়েছেন। আমরা আইনের পথে হেঁটেই ব্যবস্থা নেব’। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, সোমবারই এই মামলায় স্যাম ডিসুজার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে মুম্বই পুলিশ।
এনসিবির পঞ্চনামায় উল্লেখিত সাক্ষী প্রভাকর সেইল অভিযোগ তুলেছেন কেপি গোসাভি এবং শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানির মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিল স্যাম ডিসুজাও। ২৫ কোটির বিনিময়ে আরিয়ানকে ড্রাগ মামলা থেকে ক্লিনচিট পাওয়ার কথা জানিয়েছিল গোসাভি, দাবি সেইলের। সেই টাকার ৮ কোটি সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়া হবে এমন কথাও শুনেছিল সে।
চলতি মাসের শুরুতেই এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে স্যাম ডিসুজা দাবি করেন, গ্রেফতারি থেকে আরিয়ানকে বাঁচাতে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। তিনি আরও জানান, কেপি গোসাভি শাহরুখের ম্যানেজার পূজার কাছে এই বার্তা পৌঁছেছিলেন যে আরিয়ানের কাছ থেকে সরাসরি কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। আরিয়ানকে এই মামলা থেকে উদ্ধার করতে সাহায্য করবার কথা বলেছিলেন গোসাভি কিন্তু এর পরিবর্তে ৫০ লক্ষ টাকা টোকেন মানি হিসাবে দাবি করেন এই সাক্ষী। সেই টাকা পৌঁছেও দিয়েছিলেন পূজা, কিন্তু যখন স্যাম জানতে পারেন গোসাভি চিটিংবাজির মামলায় অভিযু্ক্ত, তখন পূজার টাকা ফিরিয়ে দেন তিনি। গোসাভি যে এনসিবি আধিকারিক নন, তখনই তিনি জানতে পেরেছিলেন। এবং এনসিবির আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে কোনওভাবেই দুর্নীতিগ্রস্থ নন।