‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্র ১২৮০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় (পৃষ্ঠা ৪৯-৫৩) ‘দুর্গা’ নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন।[১] যদিও ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ নামে গ্রন্থ প্রকাশের সময় তিনি লেখাটিকে বাদ দিয়েছিলেন।
এই প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, কোনো বৈদিক সংহিতায় দেবী দুর্গার বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই। তবে ঋগ্বেদ সংহিতার দশম মন্ডলের অষ্টমাষ্টকের[২] রাত্রি পরিশিষ্টে একটি দুর্গা-স্তব রয়েছে।[৩] তার ১২ সংখ্যক শ্লোকে রয়েছে
“তামগ্নিবর্ণান্তপসা জ্বলন্তীং বৈরোচনীং কর্ম্মফলেষু জুষ্টাম্।
দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরসে নমঃ।।”
ড. জন মিয়োকৃত এই শ্লোকটির ইংরাজি অনুবাদের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র– অগ্নিবর্ণা তপের দ্বারা জ্বালাবিশিষ্টা, বৈরোচনী, কর্ম্মফলে জুষ্টা, দুর্গাদেবীর শরণাগত হই, হে সুবেগবতী! বঙ্কিম মত প্রকাশ করেছেন, নাম ‘দুর্গা’ হলেও এই দুর্গা পূজিতা দুর্গা ছিলেন না, ছিলেন কেবলমাত্র রাত্রিস্তোত্র হয়ে। এখানে ‘দুর্গা’ রাত্রির অন্যতর নাম মাত্র হয়েই ব্যক্ত হয়েছেন।
বঙ্কিম বাজসনেয় যজুর্বেদ সংহিতায় একস্থানে ‘অম্বিকা’-র উল্লেখ খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু এই অম্বিকা সেখানে শিবের ভগিনী। বেদের ব্রাহ্মণ অংশে কোথাও দেবী দুর্গার উল্লেখ নেই; নেই উপনিষদের কোনো স্থানেও। তবে কেনোপনিষদের একস্থানে ‘উমা হৈমবতী’ নাম পাওয়া যাচ্ছে আর মুন্ডকোপনিষদের একস্থানে পাওয়া যাচ্ছে ‘কালী করালী’-র নাম। এখানে কালী বা করালী কেউই দেবী হিসাবে নয়, রয়েছেন অগ্নির সাতটি জিভের অন্যতমরূপে। অগ্নির সাতটি জিভ হল: কালী, করালী, মনোজবা, সিলোহিতা, সুধূম্রবর্ণা, স্ফূলিঙ্গিনী এবং বিশ্বরূপী।
বঙ্কিম জানিয়েছেন, কেনোপনিষদে উমা হৈমবতীকে ব্রহ্মজ্ঞান বা ব্রহ্মবিদ্যা বলা যেতে পারে। উল্লেখ করেছেন, মহাভারতের ভীষ্মপর্বে অর্জুনের দুর্গাস্তবেও দুর্গা ‘ব্রহ্মবিদ্যা’ রূপে পরিচিতা।
বঙ্কিম উল্লেখ করেছেন, তৈত্তিরীয় আরণ্যকে দুর্গাগায়ত্রী আছে–
“কাত্যায়নায় বিদ্মহে কন্যাকুমারি ধীমহি। তন্নো দুর্গিঃ প্রচোদয়াৎ।” বঙ্কিম আর একটি সূত্র দিয়েছেন কৈবল্যোপনিষদ থেকে; বলেছেন সেখানে ‘উমাসহায়ম্’ বলে উল্লেখ আছে মহাদেবের। সমস্ত আলোচনার পরে বঙ্কিম প্রশ্ন তুলেছেন, বঙ্গদেশের আরাধ্য দেবতা দুর্গা প্রকৃতপক্ষে কে? তিনি কি রাত্রি, তিনি কি মহাদেবের ভগিনী? তিনি ব্রহ্মবিদ্যা না অগ্নিজিহ্বা?
বঙ্কিম প্রশ্ন তুলেছেন, এই দেবী দুর্গা বা কালী কোথা থেকে এসেছেন? যা বেদে নেই, তা হিন্দুধর্মের অন্তর্গত কিনা, সন্দেহ তা নিয়েও। বলেছেন, সমস্ত হিন্দুর এ বিষয়ে অনুসন্ধান করা উচিত।
জানা যায়, ঋগ্বেদের ‘দেবীসূক্তম্’ থেকে কেনোপনিষদের উমা-হৈমবতীকে[৪] “অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরাম্যহমাদিত্যৈরুত বিশ্বদেবৈঃ। অহং মিত্রাবরুণোভা বিভর্ম্যহমিন্দ্রাগ্নী অহমশ্বিনোভা।।” ঋগ্বেদে বলা হচ্ছে অভ্রভেদী তুষারাবৃত হিমাদ্রিশৃঙ্গের উপরে হৈমবতী-উমার তপ্তকাঞ্চনাভ উজ্জ্বল গৌরীমূর্তির সম্মুখে দণ্ডায়মান হয়ে বাগ্দেবীরূপিণী দুর্গার বাণী। এটি আরও গবেষণার বিষয়, তাহলে মাতৃশক্তির বন্দনার ধারায় দুর্গা আরাধনা প্রমাণিত হবে।[৫]
দেবী দুর্গার কথা আর কোথায় কোথায় আছে, তার একটি তালিকা দিয়েছেন ত্রিজ রায়।
১. আচার্য শঙ্করের ‘ভবান্যষ্টকম্’-এ
২. শৌনকের ‘বৃহদ্দেবতা’ গ্রন্থে দুর্গা, অদিতি, বাক্, সরস্বতীর কথা
৩. কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে দুর্গমধ্যে অপরাজিতা মূর্তি প্রতিষ্ঠার কথায়
৪. তৈত্তিরীয় আরণ্যকের মধ্যে যাজ্ঞিকা উপনিষদে দুর্গাগায়ত্রীর কথায়।[৬]
৫. মার্কণ্ডেয় পুরাণে
৬. সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতে উমাপূজার প্রসঙ্গে।
হিন্দু দর্শন অনুসারে দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী, সরস্বতী– এগুলি একই শক্তির বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। এবং এদের প্রত্যেকের রূপকল্পই উচ্চতম দর্শনের প্রতিফলন। বঙ্গদেশে দুর্গাপূজার ইতিহাস নিয়ে স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ বিরচিত মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা গ্রন্থটি যথেষ্ট প্রামাণিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ।
বাল্মীকি রামায়ণে শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক দেবীর আরাধনার উল্লেখ নেই। বরং সেখানে শ্রীরামচন্দ্র ভগবান্ আদিত্যের স্তুতি করেছেন। সেই স্তোত্রটি আদিত্যহৃদয় স্তোত্র নামে বহুল পরিচিত। অদ্ভুত রামায়ণ অনুসারে দশানন রাবণকে বধ করার পরে রামচন্দ্র পুষ্করদ্বীপের অধিপতি সহস্রানন রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। সেখানে সহস্রাননের পরাক্রমে মূর্ছিত শ্রীরামকে রক্ষা করার জন্য মাতা সীতা কালীর রূপ ধারণ করে রাক্ষস বিনাশ করেন। পরে শ্রীরামচন্দ্র তাঁর স্তুতি করেন। এখানেও অকাল বোধন নেই। শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক দেবীর আরাধনার উল্লেখ পাওয়া যায় দেবীভাগবত নামক উপপুরাণে। তার তৃতীয় স্কন্ধের ৩০ অধ্যায়ে ৪২, ৪৩ শ্লোক–
বিধিবৎ পূজনং তস্যাশ্-
চকার ব্রতবান্ হরিঃ।
সম্প্রাপ্তে চাশ্বিনে মাসি
তস্মিন্ গিরিবরে তদা।।
উপবাসপরো রামঃ
কৃতবান্ ব্রতম্ উত্তমম্।
হোমং চ বিধিবৎ তত্র
বলিদানং চ পূজনম্।।
এখানে আশ্বিন মাসে দেবীর পূজার উল্লেখ রয়েছে। নবরাত্রি উপবাস এবং দেবীর পূজা তিনি করেছিলেন। পূজান্তে অষ্টমীর মধ্যরাত্রিতে সিংহারূঢ়া দেবী তাঁকে দর্শন দিয়েছেন বলে জানা যায়। সুতরাং, শ্রীরামচন্দ্র সিংহারূঢ়া দেবী দুর্গারই আরাধনা করে যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন। তবে কোন মন্ত্রে তিনি পূজা করেছিলেন সেটি বলা মুশকিল। কারণ, বিভিন্ন যুগে পূজার মন্ত্র এবং বিধিবিধান বদলায়। রামচন্দ্র ত্রেতাযুগে পূজা করেছিলেন। তাঁকে পূজার বিধি বলে দিয়েছিলেন নারদ। সেখানে তিনি আশ্বিন মাসে নবরাত্র উপবাস এবং পূজার কথা বলেছেন। সেই পূজাতে জপ, হোম এবং বলির উল্লেখ রয়েছে (স্কন্ধ ৩, অধ্যায় ৩০, শ্লোক ১৯, ২০)। কিন্তু মন্ত্র বা পূজাবিধির বিবরণ নারদ রামচন্দ্রকে বললেও পুরাণকার সেটি বিশদে বলেননি।
‘আমার দুর্গোৎসব’ প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র ঘোর কাল-সমুদ্রে দেবীর মূর্তিরূপ খোঁজবার জন্য ব্যাকুল হয়েছেন। পাশাপাশি ব্রতী হয়েছেন মাতৃবন্দনায়। এই খোঁজ এবং আবিষ্কারের মধ্যে শারদীয়া দেবীর রূপ প্রতিভাত, শরতের প্রকৃতি সেখানে উপস্থাপিত। দিঙ্মণ্ডলে প্রভাতারুণোদয়বৎ লোহিতোজ্জ্বল আলোক বিকীর্ণ, স্নিগ্ধ মন্দ পবন প্রবাহিত, তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশির উপরে দূরপ্রান্তে সুবর্ণমণ্ডিতা সপ্তমীর শারদীয়া প্রতিমা। প্রকৃতি হাসছে, ভাসছে, আলোক বিকীর্ণ করছে। বঙ্কিম সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন, “এ কি মা! হ্যাঁ, এই মা। চিনিলাম, এই আমার জননী জন্মভূমি– এই মৃণ্ময়ী মৃত্তিকারূপিণীঅনন্তরত্নভূষিতা এক্ষণে কালগর্ভে নিহিতা।” বঙ্কিম-মানসে দেবী দুর্গা আর দেশমাতা অভিন্ন হয়ে যায়। দেবী কেবল রত্নমণ্ডিত নয়, নানা আয়ুধের শক্তি শোভিত, পদতলে শত্রু বিমর্দিত বীরজন কেশরী শত্রু-নিষ্পীড়নে নিযুুক্ত। এই প্রবন্ধে বঙ্কিম তাঁর জননী জন্মভূমি সুবর্ণময়ী বঙ্গদেশকে দেবী দুর্গা বলেই অভিহিত করেছেন। প্রতিমা নির্মাণে অবশ্যই দেবী “নানা প্রহরণ-প্রহাবিনী, শত্রুমর্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহরণী– দক্ষিণে লক্ষ্মী ভাগ্যরূপিণী, বামে বিদ্যাবিজ্ঞানমূর্তিময়ী, সঙ্গে বলরূপী কার্তিকেয়, কার্যসিদ্ধিরূপী গণেশ।” ঘোর কাল-সমুদ্রে তিনি এই দেশমাতা দেবীকে সজল নয়নে ডাকছেন, “উঠ মা হিরণ্ময়ী বঙ্গভূমি! উঠ মা। এবার সুসন্তান হইবো, সৎপথে চলিব– তোমার মুখ রাখিব। উঠ মা, দেবী দেবনুগৃহীতে– এবার আপনা ভুলিব– ভ্রাতৃবৎসল হইব, পরের মঙ্গল সাধিব– অধর্ম, আলস্য, ইন্দ্রিয়-ভক্তি ত্যাগ করিব– উঠ মা– একা রোদন করিতেছি, কাঁদিতে কাঁদিতে চক্ষু গেল মা! উঠ, উঠ, উঠ মা বঙ্গজননী।”
তথ্য নির্দেশ ও অন্যান্য সূত্র :
[১] বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গা প্রবন্ধ, বঙ্কিম রচনাবলী, সুবোধ চক্রবর্তী (সম্পাদিত), কামিনী প্রকাশালয়, কলকাতা (১৯৯১ প্রথম প্রকাশ, পৃষ্ঠা ৮৭৭)।
[২] ‘দশম মণ্ডলের অষ্টম অষ্টক’ এই সন্দর্ভটি ঠিক নয়। রাত্রিসূক্ত নামে প্রসিদ্ধ সূক্তটির সন্দর্ভ ম.১০, অ. ১০, সূ.১২৭ (মন্ত্র সংখ্যা ৮)/ অষ্টক ৮, অনুবাক ৭, বর্গ ১৪।
ঋগ্বেদের অধ্যায় বিভাগের দুইটি পদ্ধতি –
ক) মণ্ডল পদ্ধতি– এই পদ্ধতিতে ঋগ্বেদকে ১০টি মণ্ডলে ভাগ করা হয়। প্রতি মণ্ডলে কিছু অধ্যায়, প্রতি অধ্যায়ে কিছু সূক্ত, প্রতি সূক্তে কিছু মন্ত্র থাকে। যেমন ‘অগ্নিমীড়ে পুরোহিতম্’ মন্ত্রের সন্দর্ভ মণ্ডল ১, অধ্যায় ১, সূক্ত ১, মন্ত্র ১। ‘সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং’ মন্ত্রের মণ্ডল ১০, অধ্যায় ১২, সূক্ত ১৯১, মন্ত্র ২।
খ) অষ্টক পদ্ধতি– এই পদ্ধতিতে ঋগ্বেদকে ৮টি অষ্টকে ভাগ করা হয়। প্রতি অষ্টকে কিছু অনুবাক থাকে। প্রতি অনুবাকে কিছু বর্গ, বর্গে মন্ত্র থাকে। যেমন পূর্বোক্ত মন্ত্রদ্বয়ের সন্দর্ভ যথাক্রমে অষ্টক ১, অনুবাক ১, বর্গ ১, মন্ত্র ১ এবং অষ্টক ৮, অনুবাক ৮ বর্গ ৪৯, মন্ত্র ২)।
[৩] রাত্রিসূক্তে ‘দুর্গাং দেবীং’ মন্ত্রটি নেই। ‘দুর্গাং দেবীং’ মন্ত্রটি কৃষ্ণযজুর্বেদে তৈত্তিরীয় সংহিতার দশম প্রপাঠকের প্রথম অনুবাকে রয়েছে।
[৪] শ্রীঅরবিন্দ পাঠমন্দির, কলকাতা প্রকাশিত ত্রিজ রায়ের “শ্রীঅরবিন্দের ‘দুর্গা-স্তোত্র’ প্রসঙ্গে” (প্রথম প্রকাশ, ২০০৯, শ্রীঅরবিন্দ বঙ্গপর্ব-শতবার্ষিকী সংস্করণ)।
[৫]এই অংশটিতে লেখকের কল্পনার আতিশয্যে অনেকটা অনর্থ হয়ে গিয়েছে। অহং রুদ্রেভিঃ মন্ত্রগুলি কোন ঋষি শোনেননি। এই মন্ত্রগুলির দ্রষ্ট্রী ঋষিকা অম্ভৃণী। তিনি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে অব্যাকৃত অবস্থায় উপনীত হয়ে নিজের সর্বাত্মক স্বরূপটির বর্ণনা নিজেই দিয়েছেন!! এবং এখানে কোন গৌরীমূর্তির সামনে তিনি দণ্ডায়মান হননি। বরং, এমনটি বলায় সমস্যা আছে। ঋষিকা নিজেকে সর্বাত্মক ব্রহ্মস্বরূপিণী বলে উপলব্ধি করছেন! অর্থাৎ তিনি ভিন্ন কিছুই নেই– তিনি সর্বাত্মিকা। কিন্তু যদি তিনি কারও সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন তবে নিজের সর্বাত্মকতার ব্যাঘাত ঘটে। দ্বৈতপ্রতিভাস তৈরি হয়। সেটা এই সূক্তের সম্পূর্ণ বিরোধী।
[৬] আরণ্যক ব্রাহ্মণেরই অংশ এবং উক্ত প্রপাঠকটি ব্রহ্মবিদ্যা প্রকটক অংশ বলে সেটি একটি উপনিষদ যার পোশাকি নাম মহানারায়ণোপনিষদ্ বা যাজ্ঞিকী উপনিষদ্। উল্লেখ্য এখান থেকেই দুর্গা গায়ত্রীর উল্লেখ করা হয়েছে। যাজ্ঞিকা উপনিষদ্ সম্ভবত যাজ্ঞিকী উপনিষদ্। “শ্রীঅরবিন্দের ‘দুর্গা-স্তোত্র’ প্রসঙ্গে” গ্রন্থের ৭ পৃষ্ঠায় (প্রথম প্রকাশ, ২০০৯, শ্রীঅরবিন্দ বঙ্গপর্ব-শতবার্ষিকী সংস্করণ) রয়েছে যাজ্ঞিকা উপনিষদ নামে। তিনি এ প্রসঙ্গে শশিভূষণ দাশগুপ্তের রেফারেন্স দিয়েছেন।
(ড. কল্যাণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী; ড. রাকেশ দাশ, সহকারী অধ্যাপক, বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বেলুড়)
ড. কল্যাণ চক্রবর্তী ও ড. রাকেশ দাশ (Dr. Kalyan Chakraborty and Dr. Rakesh Das)