উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হওয়া মানেই গোটা বাংলা তাকিয়ে থাকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ফলাফলের দিকে। সেখানে কেমন ফলাফল হল তা নিয়ে অনেকেরই বাড়তি আগ্রহ থাকে। তবে এবারের মেধাতালিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাত্র তিনজন মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। কেন এই ধরনের ফলাফল নরেন্দ্রপুরের? গোটা রাজ্যের নিরিখে দেখা যাচ্ছে প্রথম দশ জনের মধ্যে ২৭২জনের নাম রয়েছে।
নরেন্দ্রপুরের অর্চিস্মান মান্না রয়েছে সপ্তম স্থানে, মনোময় কবিরাজ রয়েছে অষ্টম স্থানে ও পৃথ্বীর সেন রয়েছে নবম স্থানে। নরেন্দ্রপুরের এই ফলাফলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে এনিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ মহারাজ।
তিনি জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে বিধি মেনে হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। সেকারণে এই ব্যাপারে খুব একটি বক্তব্য থাকবে না।যখন আবার পুরানো ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যাব নিশ্চয়ই মূল্যায়ণ বা তুলনা সেই মতো করে আমাদের করতে হবে। এর সঙ্গেই তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন, নরেন্দ্রপুরের পড়ুয়াদের হীনমন্যতার কোনও কারণ নেই।
তিনি বলেন, যদি আমরা পুরানো রেজাল্ট দেখি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ছাত্ররা মেধাতালিকায় অনেকেই ছিল। এই বছরও তিনজন আছে। তবে পরীক্ষা ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ২০২২ সালের চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম। পরীক্ষাব্যবস্থা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে হোম সেন্টারে। আমাদের ছাত্ররা সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়েই এই সাফল্য অর্জন করেছে। এর জন্য আমরা সকলেই খুশি। ২৭২জন মেধাতালিকায় থাকতেই পারেন। এটা নিশ্চয়ই আনন্দের। তবে আমাদের ছাত্ররা প্রত্যেকেই সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের।