বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক আয়োজিত CBSE পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একটি বৈঠকে আচমকাই উপস্থিত হয়ে সকলকে অবাক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২ দিন আগেই বাতিল হয়েছে এবছরের সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। এরপরই এই বৈঠকের আয়োজন। যার প্রধান আকর্ষণ হয়ে রইল প্রধানমন্ত্রীর এই আকস্মিক উপস্থিতি।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের সব বক্তব্য ও উদ্বেগের কথা মন দিয়ে শোনেন তিনি। পরীক্ষা বাতিল করার পরে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গত ১ বছরে পড়ুয়াদের পারফরম্যান্স বিচার করে দেখবে। করোনা কালে পরীক্ষা বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গোটা দেশ।
চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে ফের দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল নিতে কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছেন সকলে। বৃদ্ধ বা প্রৌঢ়দের তুলনায় এবার বেশিমাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম। সংক্রমণ রুখতে স্কুল-কলেজে তালা ঝুলছে। পরিস্থিতির কথায় মাথায় রেখেই আগেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করার পথে হেঁটেছিল বোর্ড।
এরপর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে গত ১ জুন একটি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছাড়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর ও সিবিএসই-র সভাপতি মনোজ আহুজা। ওই বৈঠকেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘‘পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবিষয়ে কোনও রকম আপস করা হবে না।’’
গতকালই পরীক্ষা বাতিল নিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘এই একটাই অপশন ছিল। আর এটাই সবচেয়ে ভাল অপশন। ছোটদের জীবনের ঝুঁকি ও তাদের উপরে পড়তে থাকা মানসিক চাপের দিকে তাকিয়ে তাই মনে হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, মে মাসের শেষের দিকেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই বিভিন্ন বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। রাজ্যগুলিকে লিখিতভাবে নিজেদের মত জানাতে বলেছিল কেন্দ্র।