২৫ বছর প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার জন্য ভারতের ধনীতম ১০ জনের অর্থই যথেষ্ট: রিপোর্ট

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সবথেকে ধনীতম ৯৮ জনের এক শতাংশ করের টাকায় ১৭ বছর দেশে অনায়াসে চালু রাখা হবে মিড ডে মিল প্রকল্প।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ভারতে ৩৯ শতাংশ বেড়েছে ধনকুবের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, ভারতের সবথেকে ধনী ১০ জনের হাতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা ২৫ বছর দেশের প্রত্যেক শিশুর স্কুল এবং উচ্চশিক্ষার জন্য যথেষ্ট। এমনই তথ্য উঠে এল অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার রিপোর্টে।

সোমবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভার্চুয়াল ডাভোস কর্মসূচি সম্মেলনে বৈষম্য নিয়ে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বার্ষিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ১৪২ জন ধনকুবের হাতে মোট ৫৩ লাখ কোটি টাকা আছে। তাঁদের মধ্যে ৯৮ জনের হাতে যে পরিমাণ আছে, তার থেকেও কম সম্পদ আছে ভারতের জনসংখ্যার নীচে থাকা ৫৫.৫ কোটি গরিব মানুষের হাতে (৪৯ কোটি টাকা)। শুধু তাই নয়, দেশের জাতীয় সম্পদের ৪৫ শতাংশ আছে ১০ শতাংশ ধনকুবের হাতে। সেখানে আর্থিক গ্রাফে নীচের দিকে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষের হাতে জাতীয় সম্পদের মেরেকেটে ছয় শতাংশ আছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সেই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট যে ভারতে কীভাবে বৈষম্য বেড়েছে এবং রীতিমতো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্পদের ক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রভাব পড়েছে শিক্ষা খাতেও। ভারতের সবথেকে ধনীতম ৯৮ জনের এক শতাংশ করের টাকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ স্কুল শিক্ষা দফতরের বার্ষিক খরচ মিটে যাবে। সেই করের পরিমাণ চার শতাংশ হলে যে পরিমাণ অর্থ আসবে সরকারের হাতে, তা দিয়ে ১৭ বছর দেশে অনায়াসে চালু রাখা হবে মিড ডে মিল প্রকল্প। ছ’বছর চলে যাবে সমগ্র শিক্ষা অভিযানও। এমনকী ওই টাকায় পোশান ২.০ মিশনের অর্থ বরাদ্দের জন্য সেই অর্থ যথেষ্ট। যে মিশনের আওতায় ১০ বছরের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবা, কিশোরীদের জন্য কর্মসূচির মতো বিভিন্ন প্রকল্প আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.