সিবিআই তদন্ত চলছে ২০১৪ সালের টেট বা প্রাথমিক শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে। তার প্রায় সাত বছর পরে, ২০২১ সালের টেট (লিখিত পরীক্ষা) পাশ করে যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না কেন, উঠল প্রশ্ন। ২০২১ সালের প্রাথমিক টেট পাশ প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার বলেন, ছ’মাস হয়ে গেল। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে আদালতে কোনও মামলাও নেই। তা হলে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হচ্ছে কেন? কেন ভুগতে হবে তাঁদের?
২০১৭ সালে প্রাইমারি টেটের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। ঐক্য মঞ্চের চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০১৭-য় ফর্ম পূরণের সময় তাঁদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষকপদ প্রার্থী বলেন, “তখন আড়াই লক্ষের মতো প্রার্থী ফর্ম পূরণ করেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে, ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি আমাদের লিখিত পরীক্ষা হয়, যার প্রশ্ন ছিল খুব কঠিন। ফল বেরোয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। লিখিত পরীক্ষায় মাত্র ৯৮৯৬ জন পাশ করেন। তার পরেও প্রায় ছ’মাস কেটে গিয়েছে। এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল না কেন?”
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ইন্টারভিউ কবে হবে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তার সদুত্তর দিতে পারছে না। নিয়োগের দাবিতে তাঁরা ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবন ও পর্ষদের অফিসে অভিযান করেছেন। অনেকে বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখে পর্ষদ। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মামলা চলছে বলেই তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। কিন্তু সুপর্ণাদের অভিযোগ, তাঁদের পরীক্ষা নিয়ে তো কোনও মামলা বা অস্বচ্ছতা নেই। তা হলে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে না কেন?
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, লিখিত পরীক্ষার পাশ করা সকলকে দ্রুত ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে। পুজোর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না-হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।