দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গ্রীষ্মের ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলগুলিতে ১১ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বস্তুত, প্রায় গোটা জুন মাসই রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি বন্ধ থাকছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলিও কি সেই পথে হাঁটবে? সরকারি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন। তবে এই সময়ে পঠনপাঠন চালু রাখার ব্যাপারে তাঁরা সবাই একমত। অন্তত অনলাইনে ক্লাস করার ব্যাপারে তাঁরা বিশেষ উদ্যোগী।
রুবি পার্ক পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ১৬ জুন অফলাইনে স্কুল খোলার কথা ছিল। তবে সোমবার থেকে তাঁরা অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে পারবে। আনন্দবাজার অনলাইনকে একই কথা জানিয়েছেন ডিপিএস রুবি পার্ক স্কুল কর্তৃপক্ষ। আবার সাউথ পয়েন্ট স্কুল জানিয়েছে, আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি চলছে। তাই নতুন সরকারি নির্দেশে তাদের স্কুলে কোনও প্রভাব পড়বে না।
রামমোহন মিশন স্কুল আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২৬ জুন পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বস্তুত, কলকাতার বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল অফলাইন না হোক অন্তত অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত। কারণ, সামনেই রয়েছে বিভিন্ন ক্লাসের সেমেস্টার পরীক্ষা। টানা ছুটি থাকলে সিলেবাস শেষ করাটাও কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলের প্রিন্সিপাল ব্রততী ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘১৬ তারিখ স্কুল খোলার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেছে। সে ক্ষেত্রে স্কুল খোলা থাকবে কি না, তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। সামনে বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। সেই ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।’’