RSS: প্রথম শ্রেণি থেকেই গুজরাতে সংস্কৃত বাধ্যতামূলক করতে চায় সংঘ

শীঘ্রই গুজরাতের স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলক হতে পারে সংস্কৃত। চাপ দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। এপ্রিলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠকও হয়েছে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে পাশ হয় জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি)। তা এ বার কার্যকর করা হোক, এমনটাই চায় সংঘ। সে কারণে এপ্রিলে গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাগানি, শিক্ষা দপ্তরের কর্তা, রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রত্নাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংঘের সদস্যরা।


নতুন এই নীতিতে পড়ুয়াদের হাতে-কলমে শেখার ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। সুপারিশ করা হয়েছে, প়ঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনা করবে। সম্ভব হলে তা চলবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। পাশাপাশি, এ-ও প্রস্তাব করা হয়েছে যে, স্কুলে তিনটি ভাষা শিখতেই হবে পড়ুয়াদের। তার মধ্যে দু’টি ভারতীয়।

এর আগে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হলেও পরে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর বিরোধিতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কেন্দ্র। নতুন এই শিক্ষানীতি পুরোপুরি কার্যকর করার সময়সীমা ২০৪০ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়। এ বার এই নীতির অধীনেই গুজরাতের স্কুলে সংস্কৃত চালু করতে চায় সংঘ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, এপ্রিলের বৈঠকে সংঘ চেয়েছে সংস্কৃত পড়ানোর জন্য সপ্তাহে বরাদ্দ থাকবে অন্তত ছ’টি ক্লাস। গুজরাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম ভাষা হিসেবে পড়াতে হবে গুজরাতি। দ্বিতীয় সংস্কৃত। যে সব পড়ুয়া আয়ুর্বেদ শাস্ত্র নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়বেন, তাঁদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতেও সংস্কৃত পড়তে হবে। সেই সঙ্গে স্কুলে রামায়ণ, মহাভারত এবং ‘বৈদিক গণিত’-ও বাধ্যতামূলক করার ওপর জোর দিয়েছে সংঘ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.