বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অনলাইনে পরীক্ষার দাবি মানল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে এসেই পরীক্ষা দিতে হবে। শেষ পর্যন
বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অনলাইনে পরীক্ষার দাবি মানল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে এসেই পরীক্ষা দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত অফলাইনেই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকেই অফলাইনে পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
সেমেস্টার পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হবে, এই দাবিতে বিগত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে বার বার আলোচনায় বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অফলাইন পরীক্ষার পথে আগেই হেঁটেছে যাদবপুর এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কা করে বিক্ষোভে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, করোনাকালে প্রায় দু’বছর ধরে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। অফলাইনে ক্লাস হয়েছে মাত্র দেড় মাস। পাঠ্যক্রম এখনও শেষ না-হওয়ায় তাঁরা অফলাইন পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছেন।
পরীক্ষা অফলাইনে না অনলাইনে, এ নিয়ে গত ২০ মে পিজি এবং ইউজি কাউন্সিলেরও বৈঠক হয়েছিল। তার পর গত ২৭ মে অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছিলেন, অফলাইনে পরীক্ষার পক্ষেই ৫০ শতাংশের বেশি অধ্যক্ষ রায় দিয়েছেন। তবে সিন্ডিকেটের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই মতো শুক্রবারের সিন্ডিকেটের বৈঠকে পিজি, ইউজি কাউন্সিলের বৈঠক এবং উপাচার্যের সঙ্গে অধ্যক্ষদের বৈঠকের নির্যাস নিয়ে আলোচনা হয়। তার ভিত্তিতেই অফলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে পরেই আন্দোলন তুলে নেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। এক আন্দোলনকারী জানান, পরবর্তী কালে কী করা হবে, তা নিয়ে বিশদে এখনই কিছু ভাবা হয়নি। তবে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে গণস্বাক্ষর জোগাড় করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে।