সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর ছুটির পর রাজ্যে স্কুল খুলে যাবে। সেজন্য আগেভাগেই শুরু প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। সেইমতো শিক্ষক এবং শিক্ষককর্মীদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে আরও গতি আনার নির্দেশ দিল নবান্ন।
করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় মঙ্গলবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে শিক্ষক ও অশিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে যাতে দ্রুত টিকা দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর না হলে দুর্গাপুজোর ছুটির পর স্কুল খোলা হবে। স্কুলে করা হবে স্যানিটাইজেশন। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ এক শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে, তা নিয়ে এভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে।’
স্কুল খোলা নিয়ে প্রস্তুতি শুরুর পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই রাজ্যকে যে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে, তা মঙ্গলবারের বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন। সম্ভাব্য ঢেউ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়েও বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের কয়েকটি আবারও সংক্রমণ মাথাচাড়া দেওয়ায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আপাতত যেখানে ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে বেশি ভিড় হচ্ছে, সেখানে শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ফর্ম তুলতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস বিধি। তার জেরে সংক্রমণের আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পরিস্থিতিতে বাড়তি শিবির করে ‘দুয়ারে সরকার’-এর ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
সেইসঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে সার্বিকভাবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে আরও গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, যে টিকা পাঠানো হচ্ছে, তা তিনদিনের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন মুখ্যসচিব। অতিরিক্ত টিকা মজুত করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মমতা জানিয়েছেন যে গ্রামের দিকে ৫০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেলে লোকাল ট্রেন চালু করা হবে। যে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা গত ১৬ মে থেকে বন্ধ আছে। সেদিকটা বিবেচনা করেও টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।