দেশে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকেই বলছেন, করোনার এই নতুন রূপটা বড়দের মতোই ছোটদেরও সংক্রমিত করতে পারে। সংক্রমণের হার এক না হলেও, এই জীবাণু থেকে ছোটরা নিরাপদ— এমন বলা যায় না। পরিস্থিতি যখন এরকম একটা দিকে যাচ্ছে, তখন অনেক স্কুল খোলা। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুলে পাঠানো কতটা নিরাপদ হবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে অনেক অভিভাবকই। সন্তানকে স্কুলে পাঠানো উচিত হবে কি? তার ক্ষতি হবে না তো? অনেকেই যখন এরকম কথা ভাবছেন, তখন চিকিৎসক কী বলছেন?
হালে দেশের অন্যতম নামজাদা চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গগনদীপ কাং এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘আমাদের করোনাভাইরাস এবং তার নতুন নতুন রূপগুলোর সঙ্গে বাঁচার পদ্ধতি শিখতে হবে। কারণ এই ভাইরাস চট করে বিদায় হবে না।’ তাঁর মতে, ওমিক্রন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, এটি মারাত্মক আকার নাও নিতে পারে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো কতটা নিরাপদ? গগনদীপ কাং বলছেন, স্কুলে শিশুদের পাঠানোই উচিত হবে। যেহেতু করোনা সংক্রমণের হার শিশুদের মধ্যে কম, তার ওপর ওমিক্রনের ভয়াবহতার পরিমাণ আরও কম, ফলে শিশুদের ঘরবন্দি করে রেখে লাভ নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘এ রকম ভাবে বহু ঢেউ আসবে যাবে। কিন্তু ওমিক্রন যেহেতু এখনও পর্যন্ত অতটাও মারাত্মক হয়ে ওঠেনি, তাই স্কুল বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই।’
শিশুদের স্কুলে পাঠালে ধীরে ধীরে তারা করোনার জীবাণুর সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠবে। এবং ভবিষ্যতে এই ভাইরাসটাকে নিয়েই কীভাবে জীবন এগিয়ে যেতে পারে, সে সম্পর্কে তাদের শরীর বুঝে যাবে— এমনই মত বহু চিকিৎসকেরই। গগনদীপ কাংও প্রায় সেই একই ধরনের মতামতই প্রকাশ করেছেন।
ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদেরও এবার কোভিডের টিকা দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ তাদের আরও কাজে লাগবে বলেই মত অধিকাংশ চিকিৎসকের। তাঁরাও মনে করছেন, স্কুল বন্ধ না করে টিকাকরণে জোর দেওয়া উচিত। তাতেই সব দিক থেকে লাভ হবে।