বছর ঘুরলেই সূচিতে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর তা নির্বিঘ্নে করতে এবার প্রত্যেকটি জেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই জেলা মনিটরিং কমিটি কেমন করে কাজ করবে তা নিয়ে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে জেলা আহ্বায়ক, সাব ডিভিশনাল আহ্বায়ক এবং সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে কী কী ব্যবস্থা রাখতে হবে তারও একটি স্পষ্ট বার্তা নির্দেশিকায় দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সিসিটিভি রাখতে হবে, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, শুদ্ধ পানীয় জল, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, বেঞ্চ, আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এমনকী কোনও পরীক্ষার্থী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য আলাদা ঘর বরাদ্দ করা এবং পরীক্ষার যাবতীয় সুষ্ঠু বন্দোবস্ত করতে হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এদিকে কলকাতা–সহ জেলার নানা স্কুল ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার জন্য পদক্ষেপ করেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে নিয়মমতো টেস্ট হয়েছে। বেশ কিছু স্কুল বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে করেছে রি–টেস্ট। অর্থাৎ পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে সব বিষয়গুলি ঝালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, করোনাভাইরাসের জেরে প্রতিটি স্কুলেই স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহত হয়েছিল। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পড়ুয়ারা। তাই পড়াশোনায় অতিরিক্ত জোর দিতে এই পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু মাধ্যমিক নয়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের জেরে পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ায় রাজ্য শিক্ষা দফতর চালু করেছে স্টেট অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে। তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে নেওয়া হবে বিশেষ পরীক্ষা। তাদের পঠনপাঠনের গুণমান ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তা জানতেই এই ব্যবস্থা। এই পরীক্ষার ফলে সমস্ত বিষয় দু’বার করে ঝালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। ফলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় খুব সহজেই ছাত্রছাত্রীরা সাফল্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।