ফি না দিলে ছাত্রের নাম কাটা চলবে না, হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি বাবা মায়েদের

কোভিড পরিস্থিতিতে বড়সড় স্বস্তি অভিভাবকদের৷ স্কুল ফি বকেয়া থাকলে বা পুরো অর্থ  না দিতে পারলেও, রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও ছাত্রের ক্লাস বাতিল করতে পারবেনা বা স্কুল থেকে নামও বাদ দিতে পারবে না কর্তৃপক্ষ, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখাোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। ছাত্রদের ভবিষ্যত বিপন্ন হয় এমন কোনও পদক্ষেপই হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া  করা যাবে না, বলা হয়েছে এই নির্দেশে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২জুলাই। ততদিন পর্যন্ত এই রায় কার্যকর থাকবে।

স্কুল কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে ক্লাস  বন্ধ। ছাত্র-ছাত্রীরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাসে। পরিবহনের ঝামেলা নেই, নেই ক্লাসরুম, প্রাক্টিক্যাল এসবেরও উপায় নেই। অথচ অভিযোগ ওঠে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ফি বাড়িয়েছে। এ দিকে বহু অভিভাবকের আর্থিক পরিস্থিতিই এই কোভিড ধাক্কায় শোচনীয় হয়েছে। কাজেই ফি বৃদ্ধি মেনে নিতে পারেননি সকলে।  বহু স্কুলের বাইরে বাবা-মায়েরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পাল্টা শাসিয়েছে বহু বেসরকারি স্কুল। অভিভাবকরা চাইছিলেন, স্কুলের কর্তৃপক্ষ আরো একটু মানবিক হোক।

এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় এই আবহেই। যার ভিত্তিতে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। রাজ্যের শীর্ষ আদালতের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ রাজ্যের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেসবুকের জন্য কোন ছাত্রকে পাঠক্রম থেকে বাদ দিতে পারবে না। শুনানি না হলে ৩১ জুলাই অথবা এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.