সম্প্রতি বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। সেই মামলার গভীরে যেতেই স্কুল সম্পর্কে বেরিয়ে আসল আশ্চর্য তথ্য। গত দু’বছর ধরে স্কুলটিতে কোনও পড়ুয়া নেই, নেই কোনও গ্রুপ ডি বা গ্রুপ সি’র কর্মচারী। শুধু নাম মাত্র রয়েছে স্কুলের সাইনবোর্ড এবং রয়েছেন একজন শিক্ষিকা। যা দেখে কার্যত বিস্মিত হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই স্কুল অবস্থিত মুর্শিদাবাদের লালগোলার রাজারামপুরে। স্কুলের নাম হল রাজারামপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল। মামলাকারী শিক্ষিকা অমিয়া দত্ত আবেদনে জানিয়েছিলেন, তার বাড়ি নদীয়া জেলার চাকদহে। সেই কারণে সুদূর চাকদহ থেকে লালগোলায় কয়েক ঘন্টা রাস্তা অতিক্রম করে তাকে স্কুলে যেতে হয়। সেই কারণে স্থানীয় কোনও স্কুলে তাকে বদলি করা হোক। শিক্ষা দপ্তরের কাছেও গত দু’বছর ধরে বদলির আবেদন জানিয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সাড়া না মেলায় অবশেষে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পাশাপাশি আবেদনে তিনি স্কুলের অবস্থার কথাও আদালতকে জানান।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আদালতে তিনি জানান, একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার স্বপ্নই হল সমাজে ভবিষ্যতের কারিগর গড়ার। কিন্তু স্কুলে যদি কোনও পড়ুয়াই না থাকে তাহলে কাদের দিয়ে তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবেন। স্কুল সম্পর্কে এরকম তথ্য জানতে পারার পরেই বিচারপতির মন্তব্য করেন, ‘কীভাবে এমন স্কুল চালু থাকতে পারে! তাও ২ বছর! শুধু নাম ছাড়া কিছুই নেই! ছাত্র-ছাত্রী থাকলে তবেই তাকে স্কুল বলা হয়।’ বিষয়টি জানতে পেরেই স্কুলটির কেন এরকম অবস্থা তা জানতে তৎপর হয়েছেন বিচারপতি। স্কুলের রিপোর্ট কি এবং এই স্কুলের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।