চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই স্কুল খোলার ভাবনা রাজ্যের। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার কথা ভাবছে রাজ্য। মঙ্গলবার একথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে স্কুলে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এখনই প্রাথমিক বিভাগ খোলা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের পাশাপাশি এরাজ্যেও দ্রুতহারে নীচের দিকে নামছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ফলে ধীরে ধীরে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশও চাইছে খোলা হোক স্কুল।
করোনা মহামারির জেরে প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকার পরে অবশেষে কাটছে ভয়। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকেই একাধিক রাজ্যে খুলে গিয়েছে স্কুল। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন কমতে থাকায় এই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশ্য জানুয়ারি থেকে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঐচ্ছিক ভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের থানে ও পুনে জেলায় যথাক্রমে ২৭ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল চালু হয়েছে। দুই জেলাতেই কঠোর ভাবে করোনভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে পঞ্জাবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকের লিখিত সম্মতিতে ক্লাসে আসতে পারবে পড়ুয়ারা। নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিটি ক্লাসে ২০ জন পড়ুয়া থাকতে পারবেন। অন্যদিকে এই রাজ্যে নভেম্বরেই খুলে গেছে কলেজ।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চালু হয়েছে হরিয়ানায়। তবে অভিভাবকের লিখিত সম্মতিতে ক্লাসে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিট সার্টিফিকেট আনতে হচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে তেলেঙ্গনায় কলেজ শুরু হয়েছে। ক্লাস ৯ থেকে ১২ এর ক্লাসও শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতেই। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হিমাচল্প্রদেশেও অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি ক্লাস পুনরায় চালু হয়েছে।