করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মহামারীটির দ্বিতীয় তরঙ্গকে সঠিকভাবে প্রতিরোধ করতে দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ এবং ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন চিকিত্সা পণ্য তৈরি করার জরুরি প্রয়োজন। যদিও রেমিডিসভিয়ার এবং ফাভিপাভীর স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত হচ্ছে, সমস্যাটির তীব্রতার কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উপলব্ধ পরিমাণ অপ্রতুল। এই ঘাতক ঝড়ের হাত থেকে আক্রান্ত করোনার রোগীদের চিকিত্সার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধটি টসিলিজুমাব, যা ভারতে উত্পাদিত হয় না। প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এই ওষুধটির আমদানি অত্যন্ত অপর্যাপ্ত।
যদিও রেম্ডেশিবির-এর দাম স্বেচ্ছাকৃতভাবেই কিছুটা কমানো হয়েছে তবুও এর দাম এখনও যথেষ্ট বেশী এবং তা প্রতি শিশি ৮৯৯ টাকা থেকে ৩৪৯০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে । সূত্রে প্রকাশ , রেম্ডেশিবির-এর সম্পূর্ণ ওষুধের দাম লাভসহ ৯ ডলারের কাছাকাছি অর্থাত্ প্রায় ৬৬৬ টাকা । অপরদিকে টোকিলিজুমাব-এর দাম প্রতি শিশি ৪০০০০ টাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বহুজাতিকদের লোভের ফাঁদে পরে খাবি খাচ্ছে । এই পরিস্থিতিকে যে কোনো মূল্যে দমন করা অবশ্যকর্তব্য ।
এই পরিস্থিতিতে আমরা স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতিতে পেটেন্ট আইনের সামান্য সংশোধন করে কোভিডের টিকা অধিক পরিমাণে অধিক সংখ্যক সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদন শুরু করা উচিত।এই বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনপত্র জমা দিচ্ছি। আপনাদের কাছে আবেদন নিম্নলিখিত লিংকে গিয়ে সেই আবেদনপত্রে ডিজিটাল সিগনেচার করুন ।
2021-05-31