ভোপালের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাশ সিং চৌহান জানিয়েছেন‚ “আমাদের সংস্কৃতি সবাইকে আপণ করে নেয়। আমরা কখনোই নিজেদের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি। এটা সেই দেশ‚ যেখানে ছোটো থেকেই মানুষকে শেখানো হয় সত্যের জয় হোক‚ সবার মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ুক‚ বিশ্বের কল্যাণ হোক। ভোপালে “কাল আজ ওউর কাল” নামক চিত্রভারতী চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি সেখানে বলেন‚ সিনেমা হল একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম‚ কিন্তু আজকাল অনেক বিকৃত জিনিসও এই সিনেমায় দেখানো হয়।
OTT এর মাধ্যমে বহুবার অশ্লীলতা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী বিষয়বস্তু প্রচার করা হয়েছে। কিছু মানুষ সুপরিকল্পিতভাবে ভারতের আদর্শকে ভুলভাবে তুলে ধরছে। সিনেমা মানুষের মন মানসিকতায় প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতিতে সিনেমার মাধ্যমে ইতিবাচক বিষয়বস্তু প্রচার করা দরকার। চিত্র ভারতীর মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, এটা ভালো কথা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন যে‚ চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ দ্রুত উন্নতি করছে। আমাদের সরকার চলচ্চিত্র নির্মাণ, সঠিক দিকনির্দেশনা‚ ইতিবাচক সিনেমা এবং শিল্পীদের উৎসাহিত করার নীতি নিয়েছে। তিনি বলেন‚ চলচ্চিত্রের কাজ বিনোদন দেওয়া, কিন্তু একইসঙ্গে শিক্ষা দেওয়াও এর কাজ। ভারতীয়ত্ব প্রচার করে এমন চলচ্চিত্রগুলিকে উৎসাহিত করতে মধ্যপ্রদেশ সরকার এগিয়ে আসবে।
প্রদর্শনীতে ভারতীয় নাট্য ঐতিহ্যে ভারতমুনি, রাজশেখর, ভট্ট নারায়ণ, বিশাখাদত্ত, শূদ্রক, পুষ্পদন্ত গন্ধর্ব, অভিনব গুপ্ত, পাণিনি, ভবভূতি, ভাস এবং কালিদাসের অবদান ও গুরুত্ব দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, ১৯৬৯ থেকে এখন পর্যন্ত সমস্ত দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্তদের ছবিও প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, অভিনেতা আশুতোষ রানা, গায়িকা লতা মঙ্গেশকর, গায়ক পলক মুচ্ছল, গায়ক শান, গীতিকার স্বনানন্দ কিরকিরে, অভিনেতা রঘুবীর যাদব এবং কিশোর কুমারের মতো মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণকারী শিল্পীদের প্রতিকৃতিও প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছিল। এরা প্রত্যেকেই সিনেমা জগতে নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন।