[শুক্রবার,১৫ই অক্টোবর]
মূল হিন্দী ভাষণের বঙ্গানুবাদ
এই বছর বিদেশী শাসন থেকে আমাদের মুক্তির ৭৫ তম বছর। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি । এই দেশকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আমাদের রাষ্ট্র–রথের লাগাম ঐদিন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছি । স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে আমরা যে যাত্রা শুরু করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল প্রকৃত ‘স্ব-তন্ত্র’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপরিচালনার একটি সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা । আমরা সবাই জানি যে আমরা এই স্বাধীনতা রাতারাতি অর্জন করিনি ।ভারত আত্মার আধারে একটি স্বতন্ত্র, সার্বভৌম , আদর্শ রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের জন্যে জাতি , সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই ভূখণ্ডের প্রায় সমস্ত অঞ্চলের বীর স্বাধীনতা –সেনানীরা আত্মত্যাগ ও তপস্যা করেছিলেন। সমগ্র সমাজ এই স্বাধীনতা –সেনানীদের মতোই দাসত্বের দংশন সমান অনুভব করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো । এই অবস্থাতেই – অহিংস আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ পর্যন্ত সমস্ত পথ – স্বাধীনতার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় ।তবুও , আমাদের মধ্যে কৃত্রিম বিভাজন, আমাদের স্ব-ধর্ম, স্ব-রাষ্ট্র এবং স্ব-তন্ত্রের সঠিক ধারণা সম্পর্কে স্বচ্ছতার অভাব, বিভ্রািন্ত এবং মিথ্যাচারিতা সর্বোপরি চতুর ইংরেজের কূটনীতির কারণে দেশভাগের যন্ত্রণা প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ে
স্থায়ী হয়ে আছে। আমাদের সম্পূর্ণ সমাজ বিশেষ করে নবীন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানতে, বুঝতে এবং স্মরণ রাখতে হবে। আমাদের মনে যেন কারো প্রতি কোন শত্রুতার ভাব না থাকে।নিজেদের মধ্যে থাকা সবরকম বিদ্বেষভাবকে সরিয়ে রেখে আমরা এমনভাবে এগিয়ে যাব এবং নিজেদের ঐক্য- সংহতিকে সুদৃঢ় করবো যাতে অতীতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আর না হতে হয়।যারা আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের চক্রান্ত এভাবেই আমরা ব্যর্থ করে দেবো ।

সামাজিক সমভাব ঃ
একটি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত রাষ্ট্র নির্মাণের পূর্বশর্ত একটি একটি সমভাব সম্পন্ন এবং বৈষম্যহীন সমাজের অস্তিত্ব থাকা। বহু প্রাচীন সময় থেকে আসা জাত-পাতভিত্তিক বিভাজনের সমস্যা এই লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় অন্তরায়। এই সামাজিক অভিশাপকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন দিক থেকে সংস্কারমূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তবুও এখনো এই সমস্যার সম্পূর্ণ বিনাশ করা সম্ভব হয়নি। জাত-পাতভিত্তিক বিষময় দৃষ্টিভঙ্গি এখনো আমাদের সামাজিক চেতনাকে তাড়িত করে । যারা বৌদ্ধিক আলাপ-আলোচনা ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক সমভাব নির্মাণের পক্ষে কাজ করছেন তাদের প্রচেষ্টা ও কণ্ঠস্বরকে অনেক সময় ছাপিয়ে যাচ্ছে যারা এর বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত । আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সমভাব নির্মাণের উদ্দেশ্যে সমস্ত আলাপ-আলোচনা যেন ইতিবাচক হয়। যারা সমভাব সম্পন্ন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সামাজিক পরিমণ্ডলের স্বপ্ন দেখেন তাদের সকলকে এই লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যেতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক ভাববিনিময় সামাজিক ঐক্য এবং সম্প্রীতিকে সুদৃঢ় করতে পারে। সংঘের স্বয়ংসেবকরা সামাজিকভাবে সম্প্রীতিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে সমাজে সমতার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছেন।

স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় একাত্মতা ঃ
স্মরণাতীত কাল থেকেই আমাদের রাষ্ট্রভাবনার মূল সুরটি ছিল সমগ্র ভারতবর্ষের অখণ্ডতা ও সংহতি বজায় রাখা এবং দেশের সকল মানুষের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখা ।এই ধরণের রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের জন্য যুগে যুগে মানুষ আক্ষরিক অর্থে তাদের রক্ত-​​ঘাম ঝরিয়েছে । এবছর শ্রী গুরু তেগবাহাদুরজী মহারাজের ৪০০ তম প্রকাশপর্ব (জন্মবার্ষিকী)।তৎকালীন ভারতবর্ষে নেমে আসা ধর্মীয় গোঁড়ামির তথা কট্টরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তিনি শহীদ হন । ধর্মের স্বাধীনতা এবং নির্ভয়ে নিজের ধর্মবিশ্বাসের অনুশীলনের যে সংস্কৃতি এদেশে ছিল তা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার জন্যই বিদেশী কট্টরবাদীদের বিষ নজরে পড়েন তিনি এবং আত্মোৎসর্গ করেন । ধর্ম রক্ষায় তাঁর বীরোচিত ভূমিকার জন্য তিনি “হিন্দ কি চাদর” বা ‘ভারত রক্ষক’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন । তিনি ছিলেন সেই বীর যোদ্ধা –জ্যোতিপুঞ্জে সূর্যসম যারা যুগে যুগে দেশের বিষম পরিস্থিতিতে জীবন বাজী রেখে ভারতবর্ষের মহান ঐতিহ্যকে অটুট রাখা এবং সর্বজনীন ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রানপাত করেছেন । আমাদের জাতীয় জীবনের ভিত্তি হল – এই ধরনের মহান পূর্বপুরুষদের জন্য গৌরবের অনুভূতি, যে মাতৃভূমির তাদের জীবন উৎসর্গিত হয়েছে সেই ভারতমাতার প্রতি অবিচল ভক্তি করেছে এবং তাঁরা যে সমভাবসম্পন্ন সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও সংবর্ধন করেছেন সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য । ভারতীয় ভাবনায় ‘মুক্ত জীবন’- এই শব্দবন্ধটি একটি নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে। মহারাষ্ট্রের সাধু জ্ঞানেশ্বর মহারাজজী একটি প্রার্থনায় লিখেছেন “দুষ্টদের দুষ্টতার অবসান হোক এবং তাদের কর্ম সৎ হয়ে উঠুক। হতাশার কালো মেঘ সরে যাক , সকলের মধ্যে ধর্মভাব জাগ্রত হোক এবং সেই আলোকেই সমস্ত আকাঙ্ক্ষা পূরণ হোক ”।
প্রায় একই অনুভবের প্রকাশ দেখি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় –

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবস শর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি,
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়–
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
পৌরুষেরে করে নি শতধা; নিত্য যেথা
তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা–
নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ,
ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত।
একটি আদর্শ স্বাধীন ভারত এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে যখনই আমরা তুলনা করতে যাই তখনই একধরণের বৈপরীত্য লক্ষ্য করি এবং উপলব্ধি করি যে স্বাধীনতা প্রাপ্তি থেকে স্ব-তন্ত্র অর্জনের লক্ষ্যে যে যাত্রা আমরা শুরু করেছিলাম তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি । পৃথিবীতে এমন কিছু শক্তি আছে যারা মনে করে যে ভারতবর্ষের অগ্রগতি এবং বিশ্বগুরুর আসনে প্রতিষ্ঠা তাদের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ধরণের অপশক্তি কোন কোন দেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছে । যদি ভারতে এমন ধর্ম বিরাজ করে যা সনাতন মুল্যবধ-ভিত্তিক একটি বিশ্বের কথা বলে তাহলে সেইসব স্বার্থপর শক্তির অশুভ খেলা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে। ভারত ধর্মীয় বিশ্ব-দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তার প্রভাব অর্জন করে যা বিশ্বে হারানো ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির সম্ভাবনা রাখে ।ভারত সেই ধার্মিক বিশ্ব-দর্শন দ্বারা জারিত যা সারা বিশ্বকে হারিয়ে যাওয়া পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি ও মানবিক ভারসাম্য রক্ষায় দিশা দেখাতে পারে । ভারতবর্ষের এই উজ্জ্বল সম্ভাবনা প্রতিরোধ করার জন্য সুসংগঠিত চক্রান্ত চলছে। ভারতের জনগণ , বর্তমান সময়, ভারতের ইতিহাস, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং জাতীয় পুনর্জাগরণের জন্য যেসব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন কাজ করছে – তাদের সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন , ভুল ব্যখ্যা ও প্রচারের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে এমনকি দেশের নাগরিকদের বিভ্রান্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে। তাদের পরাজয় এবং পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় , এই অপশক্তিগুলি প্রকাশ্যে অথবা গোপনে কাজ করছে এবং আরও আক্রমনাত্মক হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।আমাদের নিজেদের অবশ্যই সেই সমস্ত গোষ্ঠীর সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে , সাবধানতার সঙ্গে নিজেকে এবং আমাদের সমাজকে এই ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে হবে।

এককথায় সেইসব কুচক্রীরা তাদের একই সঙ্গে তাদের পুরানো কৌশল বজায় রেখে এবং তাদের অপকর্মকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন উপায় অনুসন্ধান করতে থকে । তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আগ্রাসী ধর্মান্ধ শক্তি নিজেদের পক্ষে সমর্থন জোটাতে – ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা, জনগণের ভ্রান্তির অপব্যবহার করা, তাদের বর্তমান এবং কল্পনাপ্রসূত সমস্যাগুলিকে অতিরঞ্জিত করে মানুষকে উস্কানি দেওয়া , সমাজে কিছু না কিছু অশান্তি সৃষ্টি করা, আইনশৃঙ্খলা ভাঙ্গা , ছোটবড় অশান্তি চালিয়ে যাওয়া , সন্ত্রাস ছড়ানো এবং যেকোনো কোন ইস্যুতে একটি বিকৃত ব্যখ্যা তৈরি করে লোক ক্ষেপিয়ে সমাজের অবমাননা করা- এই সব ধ্বংসাত্মক অপকৌশল সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে ।
আমাদের সমাজের প্রচলিত ‘স্ব’ এর প্রক্রিত অনুভব সম্পর্কে অস্পষ্টতা এবং সংশয়ের পাশাপাশি, কিছু নতুন বৈশ্বিক অবস্থান গতি লাভ করছে যা এইসব স্বার্থপর শক্তির অপকর্মগুলোকে বল যোগাচ্ছে।‘বিটকয়েনের’ মত অস্বচ্ছ , অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রা যেকোনো দেশের আর্থিক স্থিতাবস্তা নষ্ট করার এবং তাকে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলার আশঙ্কা রাখে। বর্তমানে ‘ওটিটি’প্ল্যাটফর্মে নির্বিচারে নানাবিধি বিষয়বস্তুর অনিয়ন্ত্রিত প্রচার চলছে আর এগুলো সকলের উপভোগের জন্য উন্মুক্ত। বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতিতে ‘অনলাইন’ শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়েছে । স্কুলের বাচ্চাদেরও এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। সচেতনা ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে এইসমস্ত নতুন প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি বা ব্যবস্থা আমাদের সমাজকে ভালো বা মন্দ কন দিশায় নিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে এখনই কন পূর্বানুমান করা সম্ভব নয়। তবে রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিগুলো কিভাবে এইসব নতুন উপায়গুলি অপব্যবহার করছে তা খুবই স্পষ্ট । সেজন্য সরকারের উচিত কালবিলম্ব না করে এসব পদ্ধতির নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া।

আত্মীয়তার বন্ধন
তবে এইসব পদ্ধতির ক্ষতিকারক পরিণতি থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেদের পরিবারে এমন একটা বাতাবরণ তৈরী করতে হবে যেখানে পরিবারের সদস্যরা
–কি করা উচিত , কি অনুচিত ; কোনটা ঠিক , কোনটা বেঠিক – তা বিচারের সংস্কার পেতে পারে। অসংখ্য সামাজিক- ধর্মীয় সংস্থা , বহু সামাজ সংস্কারক,ধর্মপ্রচারক – এই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন।আমরাও আমাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এইধরনের আচারনগত বিষয়গুলো সম্পর্কে চর্চা করতে পারি ।সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরাও ‘আত্মীয়তার বন্ধন’ – এই কার্যক্রমের মাধ্যমে এই কাজ করে চলেছেন।আপনারা নিশ্চয় এই কথাটি শুনেছেন – ‘মনকে নিয়ন্ত্রণ করাই সর্বাপেক্ষা উত্তম নিয়ন্ত্রন’। এই বোধই ভারতীয় মূল্যবোধের অপর যে বহুমুখী আক্রমণ তা প্রতিহত করে আমাদের আস্থাকে অটুট রাখতে পারে ।

করোনা অতিমারির মোকাবিলা ঃ
করোনা অতিমারির তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েই আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করছি। এই অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে আমাদের সমাজ তার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার এক অনন্য উদাহরণ তৈরী করেছে । দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি মারাত্মক ছিলো এবং বহু তরুণ প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। তবুও অতিমারির ভয় উপেক্ষা করে যারা মানুষের সেবায় প্রাণপাত করে কাজ করেছেন তাদের ভূমিকা প্রশংসার দাবী রাখে। অতিমারিরূপ এই সঙ্কটের মেঘ এখনো সম্পূর্ণ কেটে যায়নি । করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনো চলছে যদিও তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য আমরা কম-বেশি প্রস্তুত। একসঙ্গে আরও বেশী সংখ্যার মানুষকে টীকা দিতে হবে এবং এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।সমগ্র সমাজ সজাগ আছে এবং স্বয়ংসেবকরা অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গ্রাম স্তর অব্দি মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যাতে তারাও সজাগ থাকেন এবং জরুরী পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন ।একদিকে যখন আসন্ন তৃতীয় ঢেউ আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে যে চূড়ান্ত পর্যায়ের অতিমারি আক্রমণটি তুলনামূলকভাবে হালকা হতে পারে। তবে আমরা কোন অনুমানের ওপর ভরসা করে না বসে থেকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার চেষ্টা করবো এবং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
এটা মনে হচ্ছে যে কোভিডের চোখরাঙানির সামনে দাঁড়িয়েও সরকার বা সমাজ কোন পক্ষই দৈনন্দিন কাজকর্ম সীমাবদ্ধ করার মানসিকতায় নেই। আসলে কোভিডের দুটি ঢেউয়ের মোকাবিলায় গৃহীত ‘লকডাউন’গুলো অর্থনীতিকে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমাদের সামনে আগের ক্ষতিগুলো পূরণ করে আরও দ্রুত আর্থিক বিকাশ অর্জন করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনের উপায় খুঁজে বার করা এবং সেগুলো প্রয়োগের চেষ্টাও করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রচেষ্টা অবিরাম হওয়া উচিত। কোভিড মহামারী দ্বারা উদ্ভূত বিরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও , আমাদের ভারতীয় অর্থনীতি নতুন গতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এবং আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে।

কিছু সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে ব্যবসা-বাণিজ্য ইতিমধ্যেই পূর্বের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। এই আত্মবিশ্বাস ক্রমবর্ধমান যে, যদি সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সকল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সফল হয়, তাহলে দেশটি বিরুদ্ধ পরিস্থিতি অতিক্রম করে সহজেই এগিয়ে যাবে । একই সঙ্গে, এই পরিস্থিতি আমাদের পুনরুজ্জীবিত করার এবং একটি দৃষ্টান্তমূলক ‘মডেল’ নির্মাণের সুযোগ প্রদান করতে পারে যা ‘স্ব’ অর্থাৎ স্বনির্ভরতার নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে ।
আমাদের সমাজেও নতুন করে আত্মবিশ্বাস ও ‘স্ব’ এর বোধ জাগ্রত হচ্ছে । শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের জন্য সংগ্রহ অভিযানের সময় যে উচ্ছসিত এবং আধ্যাত্মিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাও এই জাগরণের লক্ষণ ।এর স্বাভাবিক পরিনাম হিসাবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে বিজয়ের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটছে । টোকিও অলিম্পিকে ১ টি স্বর্ণ, ২ টি রৌপ্য এবং ৬ টি ব্রোঞ্জ পদক এবং প্যারালিম্পিকে দেশের জন্য ৫ টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য এবং ৬ টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে আমাদের খেলোয়াড়রা অসাধারণ শৌর্য প্রদর্শন করেছেন, যা অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। আমরা সবাই তাদের দেওয়া দেশব্যাপী সংবর্ধনার অংশীদার ।
কোভিড মহামারী আমাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও ব্যবস্থার উপযোগিতা এবং স্বনির্ভরতা থেকে উদ্ভূত দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করেছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মোকাবিলায় আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা অনুশীলন এবং আয়ুর্বেদিক ওষধি তথা চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা অনুভব করেছি। আমরা একটি সাশ্রয়ী অথচ কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করতে পারিনা যা আমাদের বিশাল দেশের মধ্যে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির নাগালের মধ্যে হতে পারে। আমাদের ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশে, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার পুনর্বিবেচনা করতে হবে যা শুধু প্রতিরোধমূলক নয় বরং সুস্থতার দৃষ্টিকোণ থেকেও গ্রহণযোগ্য , যেমন আয়ুর্বেদ-বিজ্ঞান দ্বারা আলোকিত ব্যবস্থায় দেখা যায় ।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি
আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সুষম-খাদ্যাভ্যাস, বিনোদন, ব্যায়াম-যোগ এবং ধ্যানের সমন্বয়ে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে যা স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার সহায়ক হয় এবং শরীরকে সংক্রমণ প্রতিরোধী হতে শক্তিশালী করে। আমাদের ঐতিহ্যগত জীবনশৈলী সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমাদের মধ্যে দৈবী গুণের বিকাশ ঘটায় । কোভিড সংকটের সময়ে জনসমাগম, বিয়ের উৎসব এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। এইসব অনুষ্ঠানগুলিকে সহজ ও সংক্ষিপ্তভাবে সম্পন্ন করতে হতো । যদিও এইসব অনুষ্ঠানে সাধারণত যেরকম উদ্দীপনা বা উৎসাহ দেখা জায় তা সঙ্কুচিত হয়েছিল কিন্তু এর ফলে যে সম্পদ এবং শক্তি সংরক্ষিত হচ্ছিলো তার সরাসরি এবং তাৎক্ষনিক ইতিবাচক প্রভাব আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতাগুলি থেকে আমরা যে শিক্ষা লাভ করেছি তা হলো স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আমরা অপচয়মূলক ব্যয় এবং বাহুল্য এড়িয়ে চলি এবং প্রকৃতি-অনুকূল জীবনযাপন করার চেষ্টাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটি যথার্থ প্রকৃতি-বান্ধব জীবনযাত্রার পক্ষে আন্দোলন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সংঘ স্বয়ংসেবকরাও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মানুষকে জল সংরক্ষণ, নির্বিচারে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা এবং বৃক্ষরোপণ সম্পর্কে শিক্ষা দিচ্ছে।
বর্তমানে, আয়ুর্বেদ এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে, গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চাহিদা কার্যকরভাবে মেটানো যেতে পারে। যদি আমরা ব্লক স্তরে দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংগঠিত করার পরিকল্পনা করি তাহলে জেলা পর্যায়ে তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং বড় সহরে সুপার স্পেশালিটি স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব ।একটি চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যের অপর আধিপত্যে বা দ্বন্দ্বের উর্ধ্বে উঠে, সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির যৌক্তিক ব্যবহার সকলের জন্য সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং কার্যকর চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে ।

অর্থনীতি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
প্রচলিত বিশ্ব-অর্থনীতির কাঠামো নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে কম্পমান এবং এই অভূতপূর্ব অবস্থা অন্যান্য রাষ্ট্রের ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবাধ যান্ত্রিকীকরণ এবং ফলস্বরূপ বেকারত্ব বৃদ্ধি, অনৈতিক প্রযুক্তির কারণে মানবিক মূল্যবোধের অবনমন এবং দায়িত্বহীন ক্ষমতার উত্থান – এমন কিছু উদাহরণ। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও বিকাশের নতুন দিশার প্রত্যাশায় সমগ্র বিশ্ব এখন ভারতের মুখাপেক্ষী । আমাদের স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মানব জীবনের বহু প্রাচীন অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী মন্থন করা অর্থনৈতিক গবেষণার সার বস্তুগুলিকে এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে বলা হয় সুখের উৎস মানুষের চেতনার মধ্যে নিহিত । বস্তুগত সামগ্রী সীমাহীন সুখের উৎস নয়। তেমনি প্রকৃত আনন্দ কেবল শারীরিক সুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সভ্যতায় সেই অর্থনৈতিক মডেলকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে — যা একসঙ্গে দেহ, মন, বুদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে আত্মাকে সন্তোষ প্রদান করে ; যা ব্যক্তি, সমষ্টি এবং প্রকৃতির একসঙ্গে সুষম বিকাশের মাধ্যমে সর্বোচ্চ জ্ঞানের ঐশ্বরিক উৎসকে উপলব্ধি করার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়; যেখানে ধর্ম বা ন্যায় নীতির দ্বারা চালিত অগ্রগতি ও আনন্দ উপভোগ করে মানুষের আত্মা প্রকৃত মুক্তির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে । আমাদের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে – উপভোগ নয় সংযম বেশী গুরুত্বপূর্ণ । মানুষ শুধুমাত্র ভৌতিক সম্পদের দেখভাল করে , সেই সম্পদের সত্ত্বাধিকারী নয় । আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে মানুষ এই সৃষ্টির একটি অংশমাত্র এবং প্রকৃতি তার জীবনধারণের জন্য যে সম্পদ প্রদান করে তা ব্যবহার করা যেমন তার অধিকার তেমনি এই প্রকৃতিকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করাও তার দায়িত্ব। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বিচ্ছিন্ন বা একতরফা নয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল পুঁজিপতি ,বণিক , উৎপাদনকারী বা শ্রমিক – এমন কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সর্বাধিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে না ।প্রকৃতপক্ষে, এই পদ্ধতি সমস্ত মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করে এমনকি সমাজের প্রান্তিক মানুষটিকেও একটি বৃহৎ মানব পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করে-যেখানে সবার জন্য পারস্পরিক বিনিময় ও সুষম বণ্টনের মাধ্যমে পরিতৃপ্তি নিশ্চিত করা হয়। আমাদের এখন প্রয়োজন – এই দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে একটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল তৈরি করা, বিশ্বব্যপী সমাদৃত আমাদের জ্ঞানকে সুসংহত করা এবং আমাদের বর্তমান জাতীয় প্রেক্ষাপটে এটিকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা । স্বাধীনতার একটি স্বাভাবিক ফলাফল হিসাবে সামগ্রিক এবং সমন্বিত অগ্রগতির এমন একটি নতুন মডেলের প্রকাশ কে গণ্য করা হয় । এটি বহুপ্রতীক্ষিত ‘স্ব’ বা ‘আত্ম’ – বোধের উন্মোচন ।

জনসংখ্যা নীতি
দেশের উন্নয়নের কথা আলোচনা করতে গেলেই একটি সমস্যা সামনে চলে আসে যা অনেকের কাছে উদ্বেগজনক বলে মনে হয়। দেশের জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি অদূর ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। অতএব, এই চ্যালেঞ্জটি যথাযথভাবে বিবেচনা করা উচিত। ২০১৫ সালে রাঁচিতে অনুষ্ঠিত সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের সভায় এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল।
অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডলের প্রস্তাব ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে ভারসাম্যহীনতার চ্যালেঞ্জ –
দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপগুলি গত এক দশকে পর্যাপ্ত ফল দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে, অখিল ভারতীয় কার্যকারী মণ্ডল মতামত দিচ্ছে যে ২০১১সালের আদমশুমারীর ধর্মীয় তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যে গুরুতর জনসংখ্যাগত পরিবর্তন দেখানো হয়েছে তা জনসংখ্যা নীতি পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর বৃদ্ধির হারের ব্যাপক পার্থক্য, অনুপ্রবেশ এবং ধর্মান্তরনের ফলে জনসংখ্যার অনুপাতের ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যর পক্ষে আশঙ্কার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
যদিও ভারত ১৯৫২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি ছিল যারা জনসংখ্যা নীতি প্রণয়নের ঘোষণা করেছিলো , বাস্তবে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম একটি বিস্তৃত জনসংখ্যানীতি প্রণয়ন করা হয় এবং একটি জনসংখ্যা কমিশন গঠন করা হয় । এই নীতিতে ঘোষণা করা হয়েছিলো যে ২০৪৫ সালের মধ্যে একটি স্থিতিশীল কিন্তু সুস্থ জনসংখ্যা অর্জনের লক্ষ্যে আদর্শ প্রজনন হারের [TFR] ২.১ এ পৌঁছানো । এটা আশা করা হয়েছিল – যেহেতু এই লক্ষ্যটি আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং প্রত্যাশিত ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত সেজন্য এটি সমাজের সকল স্তরে সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে।
কিন্তু ২০০৫-০৬ সালের ‘ন্যাশনাল ফারটিলিটি এন্ড হেলথ সার্ভে’ এবং ২০১১ সালের জনগণনায় ধর্মের ভিত্তিতে ০-৬ বছর বয়ক্রমের শিশুদের ধর্মের ভিত্তিতে শতকরা হিসাব এই দুই থেকে দেখা যাচ্ছে যে টিএফআর এবং শিশু সংখ্যার অনুপাত অসমান। প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতবর্ষের ভূমি থেকে উদ্ভূত ধর্মের অনুসারী মানুষের সংখ্যা ৮৮ শতাংশ থেকে নেমে ৮৩.৮ শতাংশ হয়ে গেছে অন্যদিকে মুসলিম জনসংখ্যা ১৯৫১- ২০১১ – এই সময়কালে ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪.২৩ তে পৌঁছেছে ।
তা ছাড়া, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মতো দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি, যা স্পষ্টতই বাংলাদেশ থেকে অবিরাম অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত দেয়। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত উপমন্যু হাজারিকা কমিশনের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ এই সত্যগুলিকে নিশ্চিত করেছে। এটাও সত্য যে অনুপ্রবেশকারীরা এই রাজ্যের নাগরিকদের অধিকার হরণ করছে এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই যা কিছু স্বল্প সম্পদ তার উপর ভারী বোঝা হয়ে উঠছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেগুলিতে জনসংখ্যার ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা গুরুতর আকার নিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১৯৫১ সালে ভারতের ভূমি থেকে উদ্ভূত ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ৯৯.২১ শতাংশ ছিল। ২০০১ সালে এটি ৮১.৩ শতাংশ এবং ২০১১ সালে ৬৭ শতাংশে নেমে আসে। মাত্র এক দশকে অরুণাচল প্রদেশের খ্রিস্টান জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ পয়েন্ট একইভাবে, মণিপুরের জনসংখ্যায়, ভারতের ভূমি থেকে উদ্ভূত ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা যা ১৯৫১ সালে ৮০ শতাংশের বেশি ছিল ২০১১ সালে ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। এই উদাহরণগুলি এবং জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির নির্দেশকগুলি থেকে বোঝা যায় দেশের বহু জেলায় কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা ধর্মান্তরের একটি সংগঠিত এবং উদ্দেশ্যমূলক কার্যকলাপ চলছে ।
অখিল ভারতীয় কর্মী মণ্ডল এই সমস্ত ভয়াবহ জনসংখ্যা সংক্রান্ত ভারসাম্যহীনতার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়-
দেশে সম্পদের সহজলভ্যতা, ভবিষ্যতের চাহিদা এবং জনসংখ্যা সংক্রান্ত ভারসাম্যহীনতার সমস্যাকে সামনে রেখে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি সংস্কার করুন এবং সবার জন্য তা একইভাবে প্রয়োগ করুন।সীমান্ত পার হয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করুন। নাগরিকদের একটি জাতীয় নিবন্ধন প্রস্তুত করুন এবং এই অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্বের অধিকার অর্জন এবং জমি ক্রয় করতে বাধা দিন।এবিকেএম সমস্ত স্বয়ংসেবকসহ দেশবাসীকে এই জনসংখ্যার পরিবর্তনের কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানায় এবং জনসচেতনতা তৈরি করা এবং এই জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা তাদের জাতীয় কর্তব্য বলে মনে করে।
এই বিষয়গুলি সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক নীতিগুলির সর্বব্যাপী এবং কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা এবং নিরপেক্ষ পদক্ষেপের প্রয়োজন । বর্তমান পরিস্থিতিতে, স্থানীয় হিন্দুদের নিপীড়নের খবর, ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলকতা এবং যে অঞ্চলে ভারসাম্যহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে সেখান থেকে পালানোর জন্য তাদের উপর চাপ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল এবং সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠীর করুণ অবস্থার জন্য সরকার কর্তৃক বর্বর অত্যাচারীদের তোষণ করা এবং জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতাকেও দায়ী করা যেতে পারে। অতএব, এমন একটি নীতির প্রয়োজন যা একই পদ্ধতিতে সমস্ত গোষ্ঠীর জন্য অপরিহার্য ভাবে প্রযোজ্য হবে । গোষ্ঠীস্বার্থ তোষণের জাল থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের সকলের সম্মিলিত ভাবে জাতীয় স্বার্থকে সবার উপরে বিবেচনা করার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার।
উত্তর পশ্চিম সীমান্তের ওপারে
আরেকটি পরিস্থিতি, যা পুরোপুরি বিস্ময়কর ছিল না, কিন্তু প্রত্যাশিত সময়ের আগেই ঘটে গেল , তা হলো তালিবানদের আফগানিস্তান দখল। তাদের প্রবণতা – ইসলামের নামে প্রচণ্ড ধর্মান্ধতা, স্বৈরাচার এবং সন্ত্রাসবাদ – সবাইকে তালিবান সম্পর্কে আতঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এখন চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক তালিবানদের সঙ্গে অশুভ জোটে সামিল হয়েছে। আবদালির সময়ের পর আমাদের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমানা আবারও গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে । কাশ্মীর এবং শান্তি আলোচনার মধ্যেই বারবার তালিবান শক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এটি একটি নির্দেশক যে আমরা এখন আর আত্মতৃপ্তিতে থাকতে পারি না। সীমান্তে আমাদের সামরিক প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সর্বদা সজাগ থাকতে হবে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা সম্পর্কে সরকার এবং সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতার সাথে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রচেষ্টা করতে হবে , সাইবার নিরাপত্তার মতো নতুন ক্ষেত্রেও সর্বশেষ কারিগরি দক্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা বাড়ানো উচিত।জাতীয় নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া উচিত। আলাপ আলোচনার জন্য দরজা খোলা রাখা এবং হৃদয় পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে অগ্রাহ্য না করেই, আমাদের অবশ্যই সকল সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই কঠিন সময়ে, ভারতের বাকি অংশের মানুষের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ভাবগত ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করতে হচ্ছে । জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসীরা জাতীয়তাবাদী নাগরিকদের – বিশেষ করে হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু হিসাবে ধরে হত্যাকাণ্ডের লীলা আবার শুরু করেছে যাতে তাদের মনোবল ধ্বংস করা যায় এবং উপত্যকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। নাগরিকরা সাহসী এবং সাহস নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন কিন্তু সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড দমন ও নির্মূল করার প্রচেষ্টা দ্রুততর হওয়া দরকার।

হিন্দু মন্দির
জাতির ঐক্য, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং শান্তির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক হুমকি ছাড়াও হিন্দু সমাজের নিজস্ব কিছু উদ্বেগ রয়েছে ; এগুলোর সমাধানের প্রচেষ্টাও সমানভাবে জরুরী। হিন্দু মন্দিরগুলির অবস্থা আজ এমনই একটি উদ্বেগের বিষয়। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দেশের বাকি অংশে কিছু সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়, কিছু যৌথ পারিবারিক ট্রাস্টের মাধ্যমে এবং কিছু সমাজের নিবন্ধন আইনের অধীনে পরিচালিত ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়। অল্প কিছু মন্দিরের পরিচালন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অভাব রয়েছে। মন্দিরের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অপব্যবহারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা এবং নির্দেশক শাস্ত্রগুলি প্রতিটি মন্দির এবং তার মধ্যে অধিস্টিত দেবতার জন্য প্রযোজ্য। সেই আনুষ্ঠানিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং হস্তক্ষেপের ঘটনাও ঘটছে । জাত-পাত নির্বিশেষে সকল ভক্তের কাছে ঈশ্বরের মন্দির দর্শন , উপাসনা করার বৈষম্যহীন সুযোগ সর্বত্র প্রচলিত নয়; এটা নিশ্চিত করা উচিত।
এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে রাষ্ট্র ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া সত্ত্বেও মন্দিরগুলির ধর্মীয় আচরণবিধি সংক্রান্ত অনেক সিদ্ধান্ত পন্ডিত বা আধ্যাত্মিক গুরুদের সঙ্গে কোন পরামর্শ ছাড়াই এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সংবেদনশীলতার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীনতার সঙ্গে নেওয়া হয়। কয়েক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলির পরিচালনার অধিকার অন্য ধর্মাবলম্বী বা ধর্মহীন, অনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই অবিচারগুলি অবশ্যই বাতিল করতে হবে। এটাও প্রয়োজনীয় এবং যুক্তিসঙ্গত যে হিন্দু মন্দিরগুলির পরিচালনার অধিকার হিন্দু ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া এবং হিন্দু মন্দিরগুলির সম্পদ শুধুমাত্র দেবতাদের পূজা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য যেন ব্যবহার করা হয়। এই ভাবনার পাশাপাশি নতুন করে ভাবতে হবে – হিন্দু সমাজের শক্তির উপর ভিত্তি করে মন্দিরগুলির যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে এবং মন্দিরগুলিকে আবার আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে ।

আমাদের ঐক্যের ভিত্তি

সরকারী এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সাথে জড়িত লোকেরা তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করে থাকেন , তা সটতেও জাতীয় বিষয়ে সমাজের সক্রিয় মানসিক, শারীরিক এবং নৈতিক অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সমস্যা শুধুমাত্র সমাজের উদ্যোগেই সমাধান করা যেতে পারে। এই কারণে, উপরোক্ত চ্যালেঞ্জগুলির পরিপ্রেক্ষিতে, সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি, সমাজের কর্মপদ্ধতি , চিন্তাভাবনা এবং অভিপ্রায়গুলিরও আচরণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। অতএব, আবহমানকাল থেকে প্রবাহিত এই সনাতন রাষ্ট্রের চিরন্তন তত্ত্ব এবং জ্ঞান আমাদের সমাজের সম্মিলিত চেতনায় ভালভাবে প্রবিষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষাগত, ধর্মীয় এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যকে একটি সুত্রে সংহত করে এবং সকলের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভাব বৃদ্ধি করে । একই সাথে বিকাশের অভিন্ন সুযোগের মধ্যে সকলকে সমানভাবে গ্রহণ করাই আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের আচার -আচরণ এই ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বর্ণভিত্তিক, ভাষাগত এবং আঞ্চলিক পরিচয় থেকে আমাদের মধ্যে যে অহংভাব তৈরী হয় তা আমাদের অবশ্যই ভেঙে দিতে হবে। সমস্ত ভারতবাসী, এমনকি সেই সব সম্প্রদায়ের সদস্যদের যাদের ধর্মগুলি বাইরে থেকে আনীত হয়েছে, তাদেরও বুঝতে হবে যে আমাদের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস এবং উপাসনার পদ্ধতিগুলির পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা সবাই একটি উন্নত , চিরন্তন সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং গৌরবের উত্তরাধিকারী। এই অনন্য উত্তরাধিকার আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ভিত্তি। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের ইচ্ছা অনুসারে উপাসনার পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন ।
এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য যে বিদেশী হানাদারদের সাথে অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ও আমাদের দেশে এসেছিল।, আজ আর , সেই সব সম্প্রদায়ের অনুগামীরা অতীতের হানাদারদের সাথে সম্পর্কিত নন বরং সেই হিন্দু পূর্বপুরুষদের সাথে সম্পর্কযুক্ত যারা এই হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশ রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আমাদের সাধারণ পূর্বপুরুষরাই আমাদের আদর্শ । এই সত্যের জন্যই এদেশ – হাসনখান মেওয়াতি, হাকিমখান সুরি, খুদবাকশ এবং গউস খানের মতো শহীদ এবং আশফাকুল্লাহ খানের মতো বিপ্লবী দেখেছিল। তারা আমাদের সকলের কাছে ‘রোল মডেল’। যখন কেউ ধর্মীয় আগ্রাসন, আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং ক্ষুদ্র স্বার্থ থেকে উদ্ভূত বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসবে, তখন সে বুঝতে পারবে যে ভারত, তার সনাতন হিন্দু সংস্কৃতি এবং তার বৃহত্তর হিন্দু সমাজ যা সকলকে গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে, একমাত্র তারাই মৌলবাদ, অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাসবাদ, দ্বন্দ্ব, শত্রুতা এবং শোষণের ধ্বংসাত্মক দখল থেকে বিশ্বের ত্রাণকর্তা হতে পারে।

.সংগঠিত হিন্দু সমাজ

যদি ঐতিহাসিকভাবে আমাদের দেশে পারস্পরিক বিবাদ, অন্যায়, সহিংসতার প্রাদুর্ভাবের কিছু ঘটনা ঘটে থাকে, অথবা যদি বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্দেহ, বৈষম্য এবং শত্রুতা দীর্ঘকাল ধরে বিরাজমান থাকে এবং যদি বর্তমান সময়েও এই ধরণের কিছু ঘটে থাকে, তাহলে সেই সমস্যাগুলির কারণ অনুধাবন করতে হবে, এবং আলোচনা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেই কারণগুলি উপড়ে ফেলে সেসব সমস্যার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর উপায় খুঁজে বের করা প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, যে শক্তিগুলো আমাদের মধ্যেকার বিভেদ ও বিভ্রান্তিকে অপব্যবহার করে, পারস্পরিক বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং আমাদের আস্থা কেন্দ্রগুলি ধ্বংস ও কলুষিত করে, তারা আমাদের পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। ভারতবর্ষের মূলধারার মূল্যবোধ ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে হিন্দু সমাজ তখনই এধরণের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে পারবে যখন তার সংগঠিত সামাজিক শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং নির্ভীক চেতনা সকলে উপলব্ধি করতে পারবে। অতএব, যারা নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করেন তাদের সকলের দায়িত্ব যে তারা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রে তাদের আচরণের সাথে হিন্দু-দৃষ্টিভঙ্গির একটি উজ্জল উদাহরণ স্থাপন করা । আমাদের সব ধরনের ভয় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। দুর্বলতা কাপুরুষতার জন্ম দেয়।আমাদের ব্যক্তিজীবনে শারীরিক ও বৌদ্ধিক শক্তি, সাহস, ধৈর্য এবং সহনশীলতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। একটি সমাজের শক্তি তার ঐক্যের মধ্যে নিহিত; সম্মিলিত স্বার্থ সম্পর্কে অনুভব , প্রজ্ঞা এবং নিষ্ঠা এই প্রক্রিয়ার চাবিকাঠি । যেকোনো ধরনের দ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকা এবং সেসব মতাদর্শ, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে যারা বিচ্ছিনতাবোধ কে উস্কে দেয় । শক্তি একত্রীকরণের জন্য এই আবেদন প্রতিক্রিয়াশীল বা বিরুদ্ধভাব হিসাবে গণ্য করা উচিত নয়। এটি একটি সমাজের একটি স্বাভাবিক প্রত্যাশিত ব্যবস্থা। শুধুমাত্র জাতীয় চরিত্রের সমন্বয়ে, শক্তিশালী এবং সচেতন কোন সমাজই বিশ্বের সামনে দৃপ্ত কন্থে তার কথা বলতে পারে । সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও শক্তির প্রয়োজন। দৃঢ় এবং নির্ভীক হয়ে আমাদের এমন একটি হিন্দু সমাজ নির্মাণ করতে হবে যেখানে এই শব্দগুলির প্রতিফলন ঘটবে – ” আমি কাউকে হুমকি দিই না , আমি নিজেও ভয় কাকে বলে জানি না।” একটি সজাগ, ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং সক্রিয় হিন্দু সমাজই সকল সমস্যার সমাধান।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিগত ৯৬ বছর ধরে এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাবে। যে শুভ উৎসবে আমরা আজ উদযাপন করছি, তার বার্তাটিও একই। নয় দিনের জন্য, ঈশ্বরে আস্থাশীল মানুষেরা কৃচ্ছসাধনের মাধ্যমে শক্তির আবাহন করেন এবং শক্তি সংহত করেন। এইসময়কালেই সেই অসুরকে বধ করা হয়েছিল যে বিভিন্নভাবে মানবিকতাকে জর্জরিত করে তুলেছিল। আজ, সমগ্র বিশ্ব আমাদের বর্তমান সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের কাছে অনেক প্রত্যাশা করে এবং ভারত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করার জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে বৈচিত্র্য আমাদের সমাজকে একত্রে আবদ্ধ করে তা হল আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের পূর্বপুরুষদের গৌরবগাথা এবং মাতৃভূমির প্রতি আমাদের কর্তব্যনিতব্য। ‘হিন্দু’ শব্দটি এই অনুসঙ্গের বহিপ্রকাশ। এই তিনটি উপাদানে সুস্নাত আমরা সকলেই আমাদের অন্তর্নিহিত সনাতন সংহতির স্বতন্ত্রতাকে আমাদের ভূষণ হিসাবে পরিধান করতে পারি এবং আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি। আমাদের এটা করতেই হবে। এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ব্রত । এই মহান তপস্যায় নিজেদের অর্ঘ্য অর্পণের আহ্বান জানিয়ে, আমি এখানে আমার বক্তব্যকে বিরাম দিচ্ছি।

भ्रांति जनमन की मिटाते क्रांति का संगीत गाते
एक के दशलक्ष होकर कोटियों को है बुलाते
तुष्ट माँ होगी तभी तो विश्व में सम्मान पाकर ।

बढ रहे हैं चरण अगणित बस इसी धुन में निरन्तर
चल रहे हैं चरण अगणित ध्येय के पथ पर निरन्तर ।

भारत माता की जय

We sing revolutionary hymns,
to remove the illusions from people’s minds.
Multiplying one into a million,
we call upon a billion.
With honour showered that is her due,
our mother will be content then.

The feet are marching incessantly to this tune,
Countless feet are tirelessly walking on the path of the goal.

Victory to Mother Bharati.

।।ॐ।।
Rashtriya Swayamsevak Sangh

Address by Param Pujaniya Sarsanghchalak
Dr. Shri Mohan ji Bhagwat on the occasion of
Sri Vijayadashami Utsav 2021
(Friday, October 15, 2021)

English translation of the original Hindi Speech

This year marks the 75th year of our freedom from foreign rule. We gained independence on August 15, 1947. We took the reins of the chariot of our nation in our own hands to take it forward. That marked the starting point of our journey from Swadheenata (independence/Self-rule) to Swa-tantrata (Self Model of governance). We are all well aware that we did not gain this freedom overnight. With the essence of Bharat as the basis, bearing similar images of what the independent country would look like, several freedom fighters belonging to distinct castes and communities and from different regions of this landmass made noble sacrifices and penances for the cause. The society too, alongside these brave souls, bore the sting of slavery as one unified unit. Only then all paths - from non-violent movements to armed rebellions - could culminate into the ultimate destination of independence. However, our consciousness worn out of artificial divisions, lack of an understanding of the right meaning of our own Swa-Dharma, Swa-Rashtra and Swa-Tantrata, lack of clarity, wavered and spurious  policies and the colonial diplomatic games played over those policies have imbued an indelible scar of partition in the hearts of each Bharatvasi. It is imperative that our entire society, especially the younger generation, takes cognisance of this history, understands, and remembers it. This is not to harbour feelings of animosity towards anyone. We must remember this past so that instead of realising the ill-will of those who wish to deepen the differences and unleash the horrors of the past, we work on restoring our unity and integrity.

Social Harmony
The existence of an egalitarian and non-discriminatory society is a prerequisite for a unified and integrated country. The problem of age-old caste-based divisions is a hindrance in this quest. Several reformations have been initiated in different ways and from different directions to uproot this evil. Yet a total eradication of this problem could not be achieved. Our societal consciousness is still skewed with caste-based sentiments. As of today, the intellectual landscape of the country is far outnumbered by those who are acting contrary to the ones building bridges to promote dialogue and intimacy among people. We must ensure that this dialogue turns out to be positive. All those who dream of an egalitarian and cordial social structure will have to make efforts in this direction. Interfamilial and societal interaction will need to increase. Friendly relations and exchanges among families can promote societal unity and equanimity. Sangh Swayamsevaks are working on building an atmosphere of equality along with fraternity by conducting socially harmonious activities.

Freedom and National Ethos
Dedication towards Bharat’s integrity and unity and the freedom for all human beings have been our central themes of life since antiquity. People have been literally sweating their blood for the same. This year marks the 400th Prakash Parva(birth anniversary) of Shri Guru Teg Bahadur Ji Maharaj. He was martyred for standing up against religious bigotry that was much in prevalence in Bharat then. He was targeted for his efforts to reinstate the cultural norms of the land, viz – freedom of religion and practice of one’s beliefs without the fear of persecution. He was lauded with the title “Hind ki chadar” or “the shield of ‘Hind’.” He was the Sun in the galaxy of the warriors who through the centuries have braved the currents of time and laid their lives to ensure a continuity of Bharat’s heritage of a magnanimous and all-inclusive religious freedom. The sense of pride for such great ancestors, firm dedication for the motherland in whose love they sacrificed their lives and the generous and all-assimilating cultural heritage, so painstakingly conserved, and nurtured by those brave souls, are all cornerstones of our national life.

The term ‘Free Life’ has a definitive connotation in the Bharatiya conceptualisation. Saint Gyaneshwar Maharaj ji of Maharashtra writes in a prayer “Let the wickedness of the wicked come to an end and their actions turn virtuous. Let the dark clouds of distress dispel, illuminating the sense of righteousness in all while fulfilling all the desires of everyone”.  

 Gurudev Rabindranath Thakur has reinforced this same sentiment in his famous poem by saying-

“Where the mind is without fear and the head is held high;
Where knowledge is free;
Where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls;
Where words come out from the depth of truth;
Where tireless striving stretches its arms towards perfection;
Where the clear stream of reason has not lost its way
Into the dreary desert sand of dead habit;
Where the mind is led forward by thee
Into ever-widening thought and action.
Into the heaven of freedom, my father, let my country awake.”

When comparing and contrasting the present scenario with this ideal of independent Bharat one realises, our journey from Swadheehnta (independence/Self-rule) to Swa-tantrata (self model of governance) is as yet far from complete. There are elements in the world for whom Bharat’s progress and its rise to a respected position are detrimental to their vested interests. They even wield power in some countries. If the religion that envisions a world based on Sanatan value-system prevails in Bharat then the foul play of those selfish forces will automatically be neutralised. Bharat yields its influence from the Dharmic world-view that has the potential to restore the lost balance in the world and promote mutual cooperation and conviviality. To prevent this, well-organised efforts are going on. A systematic effort is underway to confuse the world and even the citizens of the country, through misrepresentation and propaganda against Bharat’s people, the present scenario, Bharat’s history, Bharatiya culture and the socio-cultural groups that are working for the national rejuvenation of Bharat. Fearful of their impending defeat and a total obliteration, these forces are convulsing and coalescing to execute their operations overtly and covertly. We must see through the conniving of all those groups and cautiously protect ourselves and our society from these psychological snares.

In summary, the crooked minds are up to their same old tricks and search for newer avenues to further their misdeeds. Given their vested interests along with supremacist fanaticism rallying some support, misusing people’s gullibility to misguide them, infuriating people by exaggerating their present and imagined difficulties, creating some or the other form of unrest in the society, constant bickering, quarrelling; spreading terror and creating an anarchic state to revive one’s stale narrative and slap it in the society’s face - these tendencies have been exposed for a while now.

Besides the prevalence of ignorance, ambiguity, and skepticism towards the sense of ‘Swa’ (Selfhood) prevalent in our society, certain newer global developments are fast gaining momentum and strengthening the actions of these selfish forces. Clandestine, uncontrolled currency like Bitcoin has the potential to destabilise the economy of all countries and pose serious challenges. At present unregulated broadcasts of varied material on O.T.T. platforms are open for everyone’s indiscriminate consumption. In the backdrop of the pandemic online education was to be introduced. School-going children are hooked on mobile phones as a rule. In absence of prudence and a regulatory framework, it will become difficult to predict in which way and to what extent will this emerging phenomenon of contact with fair and unfair means sweep our society. However, to what extent anti-national forces wish to use these means is well-known. Therefore, the government must make efforts to regulate these affairs in no time.

Kutumb Prabodhan
At the same time, to exercise effective control over these threats an environment that clearly spells correct from incorrect and moral from immoral must be built in our homes. Innumerable reformers, preachers and socio-religious organisations are devoted to this task. We too can deliberate over these issues along with our family members and develop a behavioural consensus. Sangh Swayamsevaks are also contributing towards this cause by organising ‘Kutumb Prabodhan” (familial dialogue) activities. You might’ve heard or read “Mann ka brake Uttam brake” (Brake on the Mind is the Best Brake). This wisdom alone will be the remedy to the challenges of multifarious attacks over the Bharatiya value system that are diluting our faith and promoting recklessness.

Fight against Corona
All set to combat the third wave of Corona virus, we are also preparing to celebrate the 75th anniversary of our independence. During the second wave of Covid, society once again through its collective efforts exemplified resilience. The second wave was far more destructive and did not spare even many young people. Yet efforts of the men and women who were selflessly dedicated in the service of humankind despite serious health hazards posed by the disease are praiseworthy. The danger continues to loom on our horizon. Our battle with Corona virus is as yet unending; however we are more or less prepared to face the third wave. Vaccines have been administered en-masse and will need to be completed. The society at large is vigilant and Sangh Swayamsevaks along with several other righteous people and organisations have trained workers right up to village level who will maintain vigilance and garner on-ground support in case of emergencies. While on one hand all efforts to combat the impending wave have been made, on the other hand, it is also touted that the onslaught of the final stages is likely to be milder in comparison. Having said this, we must strive to comply with the governmental guidelines and remain cautious at all times.

It appears that neither the government nor the society is of the mindset to restrict day-to-day activities due to the looming threat of Covid. In mere two waves of Covid, the lockdowns have marred the economy considerably. We have the challenge of covering up for previous losses while making financial strides even faster before us. Means to achieve the same are being contemplated and attempted too. Such attempts should be unceasing. Despite the threat posed by the Covid pandemic, our Bharatiya economy is showing the potential and confidence to bounce back. There is even news of quick stabilisation and restoration of trade from many quarters. There is growing confidence that if the government succeeds in ensuring the participation of all the stakeholders then the country will sail through the difficulties smoothly. Simultaneously, this situation can also provide us with an opportunity to resurrect and create a paradigm and model which is based in the principle of Swa- that is Selfhood.    

There is a renewal of the confidence and the awakening of our ‘selfhood’ in our society also. The collection drive for Shri Ram Janmbhoomi Temple witnessed an overwhelming and devotional response which is a testimony to this awakening. The manifestation of societal endeavours in different walks of life is the natural corollary. By securing 1 gold, 2 silver and 4 bronze medals at the Tokyo Olympics and 5 gold, 8 silver and 6 bronze medals at the Paralympics for the country our sportspersons have displayed  great valour, which must be congratulated. We are all part of the nation-wide felicitations conferred upon them.  

The Covid pandemic has reinforced the usefulness of our traditional knowledge systems and the vision emanating from  ‘selfhood’. We experienced the efficacy of our traditional lifestyle practices and Ayurvedic medicinal system in fighting and tackling the Corona virus. We are all able to appreciate the need for an effective and affordable treatment modality that may be accessible to each and every person living through the length and breadth of our vast country. In the geographically vast and densely populated country of ours, we will need to reimagine healthcare which is not just from a preventive but also from a wellness point of view, as illuminated by the science of Ayurveda. 

Health the Bharatiya view
Grounding lives in our traditional framework of a balance of diet, recreation, exercise and meditation can foster an environment that promotes health and wellness and strengthens bodies to be resistant to infections. Our traditional lifestyle is wholly synchronous with nature and allows for the manifestation of cosmic intelligence. Public gatherings, wedding festivities and the like were prohibited during the Covid times. A plain and simplified version of these events had to be carried out. While the visible fervour and enthusiasm were dampened in the process, resources like wealth and energy could be conserved, the direct and instantaneous positive impact of which was palpable on our natural environment. It would be wise to learn from these experiences and endeavour to adopt a nature-friendly lifestyle as a way to prevent wasteful expenditure and frills when usual life is restored. A widespread movement that advocates a nature-friendly lifestyle is growing strong. Sangh Swayamsevaks too as part of environmental conservation activities are educating people about water conservation, plastic-use eradication, and tree plantation.

Currently, with the use of Ayurveda and other treatment modalities, primary healthcare needs can be effectively addressed at the local village level. If we plan to organise the secondary healthcare system at the zonal level then the availability of the tertiary healthcare centres at district level and prevalence of super speciality medicine in urban centres is possible. Rising above the conflict for supremacy of one method of medicine over another, rational use of all treatment modalities can ensure affordable, accessible, and effective treatment for all.  

Our Viewpoint on Economics
The prevalent global economic paradigm is shaken by new challenges which are beyond the grasp of other nations. Mechanisation and the resultant rise in unemployment, ebb in the human value system due to unethical technology and the power without accountability are some examples. The whole world is now looking to Bharat, expecting and awaiting new parameters of economic system and development. Our distinct economic vision is evolved out of age-old national experiences of life and incorporating objects of economic pursuits thought about globally, wherein the source of bliss is said to be located within human consciousness. Material things are not the source of boundless bliss. Nor is bliss limited to physical pleasure. One that conceives of the body, mind, intellect and the soul as a whole; one that facilitates the process of realising that divine source of supreme knowledge through the balanced development of individual, collective and nature together; where the human spirit has experienced pinnacles of freedom by pursuing progress and pleasure bound by the principle of dharma or righteousness, such economic model has been considered ideal in our civilisation. Our economic paradigm emphasises control over consumption. The human being is a mere trustee of the material resources, not the possessor. It is deeply rooted in our belief system that human being is but a part of the creation and while it is his right to reap the resources that nature offers for his sustenance, it is also his responsibility to protect and preserve it. Such a view is not solitary or one-sided. It does not focus on maximizing the benefits of specific groups – only capitalists or only merchants or producers or labourers. In fact, this approach considers all of these stakeholders along with the end-user as members of a large (human) family – where gratification for all is ensured in a mutual harmonious and balanced manner. Erecting an economic development model based on this vision, consolidating our learnings that are valuable from across the world, and combining it with our current national context is the need of the hour. The manifestation of such a newer model of holistic and integrated progress is a natural outcome of independence; it is the long-awaited discovery of the ‘Swa’ or the “self.”

Population Policy
While reimagining the country’s development one predicament comes to the fore which appears to concern many. The rapid growth of the country’s population may give rise to many problems in the near future. Therefore, this challenge must be duly considered. A resolution was passed on this issue during the Akhil Bharatiya Karyakari Mandal (All India Executive Committee) meeting of Sangh held at Ranchi in the year 2015.

ABKM Resolution: Challenge of Imbalance in the Population Growth Rate
Steps taken to control the population of the country have yielded adequate results during the last decade. But in this regard, the Akhil Bharatiya Karyakari Mandal is of the opinion that the severe demographic changes brought forth by the analysis of the religious data of Census 2011 highlight the necessity of the review of population policy. Vast differences in growth rates of different religious groups, infiltration and conversion resulting in religious imbalance of the population ratio, especially in border areas may emerge as a threat to the unity, integrity and cultural identity of the country.
Although Bharat was one of the early countries in the world to announce as early as in 1952 that it will have population planning measures, it was only in the year 2000 that a comprehensive population policy was formulated and a population commission was formed. The policy aimed at achieving a stable but healthy population by the year 2045 by optimising the fertility rate to the ideal figure of 2.1 total fertility rate [TFR]. It was expected that as this aim is in accordance with our national resources and expected future requirements, it will be uniformly applied to all the sections of society. However, the National Fertility and Health Survey [NFHS] of 2005-06 and the 0-6 age group population percentage data of religion in Census 2011, both indicate that the TFR and child ratio is uneven across the religions. This is reflected in the fact that the share of the population of religions of Bharatiya origin which was 88 per cent has come down to 83.8 per cent while the Muslim population which was 9.8 percent has increased to 14.23 percent during the period 1951-2011.
In addition to that, the rate of growth of the Muslim population has been very high than national average in the border districts of border states of the country like Assam, West Bengal and Bihar, clearly indicating the unabated infiltration from Bangladesh. The report of the Upamanyu Hazarika Commission appointed by Hon’ble Supreme Court and several judicial pronouncements from time to time have also corroborated these facts. It is also a fact that the infiltrators are usurping the rights of citizens of these states and are becoming a heavy burden on the already scant resources apart from creating socio-cultural, political and economic tensions.
The religious imbalance of population in the North-Eastern states has assumed serious proportions. In Arunachal Pradesh, the people of religions of Bharatiya origin were 99.21 per cent in 1951. It came down to 81.3 per cent in 2001 and to 67 per cent in 2011. In just one decade the Christian population of Arunachal Pradesh has grown by almost 13 percentage points. Similarly, in the population of Manipur, the share of religions of Bharatiya origin which was more than 80 per cent in 1951 has come down to 50 per cent in 2011. These examples and pointers of unnatural growth of the Christian population in many districts of the nation indicate an organized and targeted religious conversion activity by some vested interest groups.
The Akhil Bharatiya Karyakari Mandal expresses deep concern over all these severe demographic imbalances and urges the Government to –

Reformulate the National Population Policy keeping in view the availability of resources in the country, future needs and the problem of demographic imbalance and apply the same uniformly to all.
Totally curb the illegal infiltration from across the borders. Prepare a National Register of Citizens and prevent these infiltrators from acquiring citizenship rights and purchasing lands.

The ABKM calls upon the countrymen including all the Swayamsevaks to take the cognizance of the causes of these population changes and consider it their national duty to create public awareness and take all lawful steps to save the country from this demographic imbalance.

The ubiquitous and effective implementation of relevant policies pertaining to these matters will require  widespread public sensitisation and impartial actions.  In the present circumstances, news of persecution of native Hindus, growing criminalisation and a mounting pressure on them to escape their areas where an imbalanced population growth have surfaced. The violence that broke out following the elections of West Bengal and the pitiable condition of the Hindu people there can also be attributed to the appeasement of barbarous elements by the government and population imbalance. Therefore, a policy that is applicable to all groups in the same fashion is imperative. All of us need to inculcate the habit of considering the collective national interest above everything while coming out of attractive cobweb of milking the parochial group interests.   

Beyond Northwest Border
Another situation, which was not entirely surprising, but occurred before the expectation, is the Taliban takeover of Afghanistan. Their predisposition – passionate fanaticism, tyranny and terrorism in the name of Islam – is sufficient to make everyone apprehensive of the Taliban. But now China, Pakistan and Turkey have coalesced in an unholy coalition with the Taliban. Since Abdali, our north-western borders are once again a matter of serious concern. Taliban has time and again alternated between Kashmir and peace talks simultaneously. This is an indicator that we cannot retire in complacency. Our military preparedness on the borders needs to be alert and sound on all ends and at all times. In such a situation, the internal security and stability of the country must be secured by the government and the society with caution and vigilance. Efforts to achieve self-sufficiency in the domain of defence and security and to become up-to-date with newer concerns like cyber security must be ramped up. We should be self-sufficient at the earliest when it comes to domains like security. While keeping the channels for dialogue open and without negating the possibility of a heart-change, we must be prepared for all possibilities. In this tragic hour, the need for emotional integration of the people of Jammu and Kashmir with the rest of Bharat should be accelerated is also realised. Terrorists in Jammu & Kashmir have restarted the spate of the targeted killings of national minded citizens – especially Hindus – to destroy their morale and reestablish the reign of terror in the valley. The citizens are braving and shall brave the situation with courage but efforts for curbing and finishing off the terrorist activities needs speeding up.

Hindu Temples
Besides the internal and external threats to the nation’s unity, integrity, security, development, prosperity and peace there are some concerns of the Hindu society; efforts to resolve the same is also a necessity. State of the Hindu temples today is one such concern. Temples of South India are fully controlled by the state governments. In the rest of the country some are managed by the government, a few through joint family trusts while some are run by the trusts governed under society’s registration acts. Few temples completely lack any system of governance. Instances of misappropriation of movable and immovable properties of temples have come to light. Specific ceremonial guidelines and guiding texts apply to each temple and the deity residing therein. Instances of interference and meddling with those ceremonial matters have also been reported. A non-discriminatory ease of access and opportunity for seeing, worshipping God’s shrine, to all devotees irrespective of caste and creed is also not practised everywhere; this should be ensured. It is apparent for all that many decisions regarding the religious code of conduct of the temples are whimsically made without any consultation with the scholars and spiritual teachers and with indifference towards the sensitivities of the Hindu community. The injustices such as the exclusive appropriation of Hindu religious sites for decades and centuries, handing over of the operations to the non-devotees/irreligious, unethical heretics despite the State being ‘secular’ must be expunged. It is also necessary and only reasonable that the operating rights of Hindu temples be handed over to the Hindu devotees and the wealth of the Hindu temples is utilised for the worship of the deities and the welfare of the Hindu community only. Alongside this thought, it is also necessary to devise a scheme to once again make temples the epicentre of our social-cultural life while ensuring appropriate management and operation of the temples based on the strength of the Hindu society.

Basis of our unity
Even when the people involved in governmental and administrative spheres perform their expected roles, society’s active mental, physical and spiritual participation in national affairs is crucial. Certain problems can only be resolved with the initiative of the society. For this reason, in the context of the aforementioned challenges, alongside societal awareness, the default actions, thoughts and intentions of the society also require behavioural transformation. Therefore, the understanding and knowledge about the immortal essence of this Sanatan Rashtra flowing from the ancient times needs to be permeated well in the collective consciousness of our society. It is our culture to integrate Bharat’s varied linguistic, religious and regional traditions into a comprehensive unit and to promote mutual cooperation among all while accepting and honouring all as equal with identical opportunities for growth. Our conduct should be in accord with this heritage. We must dissolve the egoistic pride we derive from our parochial political, religious, caste-based, linguistic and regional identities. All Bhartvasis, including members of those communities whose religions have emigrated from outside, will need to understand that besides the differences in our spiritual beliefs and methods of worship we are all inheritors of a common eternal civilisation, culture and ancestry. This unique inheritance is the very ground of our religious freedom. Every person is free to choose a way of worship she/he deems suitable for oneself. It is a historical fact that along with the foreign invaders many religious sects too came into our country. However, as of today, the followers of those sects are not related to the invaders of the past but to the Hindu ancestors who struggled to defend the country against those invaders. Our ideals are our common ancestors. It is the grasp of this very fact that the country saw martyrs like Hasankhan Mewati, Hakimkhan Suri, Khudabaksh and Gaus Khan and a revolutionary like Ashfaqullah Khan. They are admirable role models for all. When one will come out of the separatist mentality arising out of religious aggression, supremacist attitude and petty selfish interests, he will realise that Bharat, its Sanatan Hindu culture and its magnanimous Hindu society that has the ability to accept all, alone can be the saviour of the world from the catastrophic grip of radicalism, intolerance, terrorism, conflict, animosity and exploitation.

Organised Hindu Society
If historically certain instances of mutual discord, injustices, violent outbreaks took place in our country, or if separatism, suspicion, disparity and enmity have prevailed for a long time, and if in the present times also something of this sort has happened, then understanding the cause of those problems, and finding ways to avoid a recurrence by uprooting those causes through our words and actions is necessary. We must remember that those forces that use our differences and misgivings by dividing us, question our ability for mutual trust, and destruct and corrupt our belief systems are waiting for us to slip up. The Hindu society, as part of the mainstream value system of Bharat, will be able to withstand this only when its organised social strength, confidence and fearless spirit is realised. Therefore, it is the responsibility of all those who claim to be Hindus that they erect a stellar example of Hindu view-of-life with their conduct in their personal, familial, social and professional domains. We will need to be free of all kinds of fears. Weakness gives rise to cowardliness. We will have to meditate on ways to enhance physical, intellectual and mental strength, courage, vigour, endurance and forbearance at our own personal level. The strength of a society lies in its unity; sensitivity about collective interest and wisdom and dedication towards it holds the key in this process. It is important for everyone to stay away from any kind of conflict and to be cautious of ideologies, people, groups and precipitating events that can instigate differences. This appeal for consolidation of strength is not reactionary or defiance. This is a natural expected system in a society. Only a unified, strong and well-informed society with a national character can assert its voice before the world. To establish truth and peace also strength is required. By becoming strong and fearless we will have to create a Hindu society that epitomises these words – “Neither do I threaten anyone, nor do I know any fear myself.” A vigilant, united, strong and active society is the solution to all problems.

Rashtriya Swayamsevak Sangh has been working towards this very cause for 96 years now and will continue to do till the desired goal is attained. The message encased in the auspicious festival that we’re celebrating today is also the same. For nine days, the divine forces performed austerities, invoked and organised Shakti. It is then that the demons that plagued humanity in several ways were decimated. Today, the world is looking expectantly to Bharat for solutions to our current problems and Bharat needs to be prepared to fulfill the promise it holds. The fabric that binds our society together is our heritage, the chorus that rises in our hearts in the praise of the glory of our ancestors and our pure devotion towards our motherland. The word ‘Hindu’ is the expression of this very connotation. Absorbed in these three elements we can all wear the uniqueness of our underlying Sanatana oneness as our jewel and uplift our whole country. We must do this. This is the mission of Rashtriya Swayamsevak Sangh. With the clarion call to all of you to contribute your own offerings in this great penance, I conclude my address here.        

भ्रांति जनमन की मिटाते क्रांति का संगीत गाते
एक के दशलक्ष होकर कोटियों को है बुलाते
तुष्ट माँ होगी तभी तो विश्व में सम्मान पाकर ।

बढ रहे हैं चरण अगणित बस इसी धुन में निरन्तर
चल रहे हैं चरण अगणित ध्येय के पथ पर निरन्तर ।

भारत माता की जय

We sing revolutionary hymns,
to remove the illusions from people’s minds.
Multiplying one into a million,
we call upon a billion.
With honour showered that is her due,
our mother will be content then.

The feet are marching incessantly to this tune,
Countless feet are tirelessly walking on the path of the goal.

Victory to Mother Bharati.

।।ॐ।।

राष्ट्रीय स्वयंसेवक संघ
प. पू. सरसंघचालक डॉ. श्री मोहन जी भागवत का विजयादशमी उत्सव
(शुक्रवार दि. 15 अक्तूबर 2021)
के अवसर पर दिया उद्बोधन

यह वर्ष हमारी स्वाधीनता का 75 वां वर्ष है । 15 अगस्त 1947 को हम स्वाधीन हुए । हमने अपने देश के सूत्र देश को आगे चलाने के लिए स्वयं के हाथों में लिए । स्वाधीनता से स्वतंत्रता की ओर हमारी यात्रा का वह प्रारंभ बिंदु था । हम सब जानते हैं कि हमें यह स्वाधीनता रातों रात नहीं मिली । स्वतंत्र भारत का चित्र कैसा हो इसकी, भारत की परंपरा के अनुसार समान सी कल्पनाएँ मन में लेकर, देश के सभी क्षेत्रों से सभी जातिवर्गों से निकले वीरों ने तपस्या त्याग और बलिदान के हिमालय खडे किये; दासता के दंश को झेलता समाज भी एकसाथ उनके साथ खडा रहा; तब शान्तिपूर्ण सत्याग्रह से लेकर सशस्त्र संघर्ष तक सारे पथ स्वाधीनता के पड़ाव तक पहुँच पाये । परन्तु हमारी भेदजर्जर मानसिकता, स्वधर्म स्वराष्ट्र और स्वतंत्रता की समझ का अज्ञान, अस्पष्टता, ढुलमुल नीति, तथा उनपर खेलने वाली अंग्रेजों की कूटनीति के कारण विभाजन की कभी शमन न हो पाने वाली वेदना भी प्रत्येक भारतवासी के हृदय में बस गई । हमारे संपूर्ण समाज को विशेष कर नयी पीढ़ी को इस इतिहास को जानना, समझना तथा स्मरण रखना चाहिए । किसी से शत्रुता पालने के लिए यह नहीं करना है । आपस की शत्रुताओं को बढाकर उस इतिहास की पुनरावृत्ति कराने के कुप्रयासों को पूर्ण विफल करते हुये, खोयी हुई एकात्मता व अखंडता हम पुनः प्राप्त कर सकें इस लिये वह स्मरण आवश्यक हैं ।

सामाजिक समरसता
एकात्म व अखण्ड राष्ट्र की पूर्वशर्त समताधिष्ठित भेदरहित समाज का विद्यमान होना है । इस कार्य में बाधक बनती जातिगत विषमता की समस्या हमारे देश की पुरानी समस्या है । इस को ठीक करने के लिए अनेक प्रयास अनेक ओर से, अनेक प्रकार से हुए । फिर भी यह समस्या सम्पूर्णतः समाप्त नहीं हुई है । समाज का मन अभी भी जातिगत विषमता की भावनाओं से जर्जर है । देश के बौद्धिक वातावरण में इस खाई को पाट कर परस्पर आत्मीयता व संवाद को बनानेवाले स्वर कम हैं, बिगाड़ करनेवाले अधिक हैं । यह संवाद सकारात्मक हो इसपर ध्यान रखना पडेगा । समाज की आत्मीयता व समता आधारित रचना चाहनेवाले सभी को प्रयास करने पड़ेंगे । सामाजिक तथा कौटुम्बिक स्तर पर मेलजोल को बढाना होगा । कुटुम्बों की मित्रता व मेलजोल सामाजिक समता व एकता को बढ़ावा दे सकता है । सामाजिक समरसता के वातावरण को निर्माण करने का कार्य संघ के स्वयंसेवक सामाजिक समरसता गतिविधियों के माध्यम से कर रहे हैं ।
स्वातंत्र्य तथा एकात्मता
भारत की अखण्डता व एकात्मता की श्रद्धा व मनुष्यमात्र की स्वतंत्रता की कल्पना तो शतकों की परंपरा से अब तक हमारे यहां चलती आई है । उसके लिए खून पसीना बहाने का कार्य भी चलता आया है । यह वर्ष श्री गुरु तेग बहादुर जी महाराज के प्रकाश का 400 वां वर्ष है । उनका बलिदान भारत में पंथ संप्रदाय की कट्टरता के कारण चले हुए अत्याचारों को समाप्त करने के लिए व अपने अपने पंथ की उपासना करने का स्वातंत्र्य देते हुए सबकी उपासनाओं को सन्मान व स्वीकार्यता देने वाला इस देश का परंपरागत तरीका फिर से स्थापन करने के लिए ही हुआ था । वे हिन्द की चादर कहलाएं । प्राचीन समय से समय की उथल-पुथल में भारत की उदार सर्वसमावेशक संस्कृति का प्रवाह अखंड चलता रखने के लिए प्राण अर्पण करने वाले वीरों की आकाशगंगा के वे सूर्य थे । हमारे उन महान पूर्वजों का मन में बसा गौरव, जिस भारत माता के लिये उनका जीवन लगा उस मातृभूमि की अविचल भक्ति, तथा उन्हीं के द्वारा संरक्षित व परिवर्धित हमारी उदार सर्व समावेशी संस्कृति ये हमारे राष्ट्र जीवन के अनिवार्य आधार हैं ।
भारतवर्ष की कल्पना में स्वतंत्र जीवन का एक निश्चित अर्थ है । शतकों पहले महाराष्ट्र में संत ज्ञानेश्वर महाराज हो गए उनके द्वारा रचित पसायदान में वे कहते हैं—-
जे खळांची व्यंकटी सांडों । तयां सत्कर्मीं रति वाढो ।
भूतां परस्परें पडो, मैत्र जीवाचें । ।
दुरितांचे तिमिर जावो । विश्व स्वधर्मसूर्यें पाहो
जो जे वांच्छील तो ते लाहो । प्राणिजात । ।
अर्थात दुष्टों का टेढ़ापन जाए, उनकी प्रवृत्ति सदाचार में बढ़े, जीवों में परस्पर मित्र भाव हो, संकटों का अंधेरा छठ जाए, सब में स्वधर्म का बोध जगे तथा सब की सब मनोकामनाएँ पूरी हों ।

यही बात आधुनिक काल में गुरुदेव रवींद्रनाथ ठाकुर द्वारा रचित सुप्रसिद्ध कविता में दूसरे शब्दों में कही गई है—
चित्त जेथा भयशून्य उच्च जेथा शिर, ज्ञान जेथा मुक्त, जेथा गृहेर प्राचीर
आपन प्रांगणतले दिवस-शर्वरी वसुधारे राखे नाइ खण्ड क्षूद्र करि ।
जेथा वाक्य हृदयेर उत्समूख हते उच्छसिया उठे जेथा निर्वारित स्रोते,
देशे देशे दिशे दिशे कर्मधारा धाय अजस्र सहस्रविध चरितार्थाय ।
जेथा तूच्छ आचारेर मरू-वालू-राशि विचारेर स्रोतपथ फेले नाइ ग्रासि-
पौरूषेरे करेनि शतधा नित्य जेथा तूमि सर्व कर्म चिंता-आनंदेर नेता ।
निज हस्ते निर्दय आघात करि पिता भारतेरे सेइ स्वर्गे करो जागृत ।।

श्री. शिवमंगलसिंह सुमन जी ने इसे हिंदी मे भाषान्तरित किया है—
जहां चित्त भय से शून्य हो, जहां हम गर्व से माथा ऊँचा करके चल सकें, जहां ज्ञान मुक्त हो ।
जहां दिन रात विशाल वसुधा को खंडों में विभाजित कर छोटे और छोटे आंगन न बनाए जाते हों,
जहाँ हर वाक्य ह्रदय की गहराई से निकलता हो ।
जहाँ हर दिशा में कर्म के अजस्त्र नदी के स्रोत फूटते हों, और निरंतर अबाधित बहते हों ।
जहाँ विचारों की सरिता तुच्छ आचारों की मरू भूमि में न खोती हो ।
जहाँ पुरूषार्थ सौ सौ टुकड़ों में बँटा हुआ न हो ।
जहां पर सभी कर्म, भावनाएँ, आनंदानुभुतियाँ तुम्हारे अनुगत हों । हे पिता, अपने हाथों से निर्दयता पूर्ण प्रहार कर
उसी स्वातंत्र्य स्वर्ग में इस सोते हुए भारत को जगाओ ।
देश के स्वातंत्र्योत्तर जीवन के इस कल्पना चित्र के संदर्भ में जब परिस्थितियाँ देखते हैं तो स्वाधीनता से स्वतंत्रता तक हमारी यात्रा अभी जारी है, पूरी नहीं हुई है यह ध्यान में आता है । भारत की प्रगति तथा विश्व में सम्मानित स्थान पर उसका पहुँचना जिनको अपने निहित स्वार्थों के खिलाफ लगता है ऐसे दुनिया में कुछ तत्वं हैं । कुछ देशों में उनका बल भी है । भारत में सनातन मानवता के मूल्यों के आधार पर विश्व की धारणा करने वाला धर्म प्रभावी होता है तो स्वार्थी तत्वों के कुत्सित खेल बंद हो जाएंगे । विश्वको उसका खोया हुआ संतुलन व परस्पर मैत्री की भावना देने वाला धर्म का प्रभाव ही भारत को प्रभावी करता है । यह ना हो पाए इसीलिए भारत की जनता, भारत की वर्तमान स्थिति,भारत का इतिहास, भारत की संस्कृति, भारत में राष्ट्रीय नवोदय का आधार बन सकने वाली शक्तियाँ, इन सबके विरुद्ध असत्य कुत्सित प्रचार करते हुए, विश्व को तथा भारत के जनों को भी भ्रमित करने का काम चल रहा है । अपनी पराजय तथा संपूर्ण विनाश का भय इन शक्तियों के आंखों के सामने होने के कारण अपनी शक्तियों को सम्मिलित करते हुए विभिन्न रूप में, प्रकट तथा प्रच्छन्न रूप से ध्यान में आने वाले स्थूल तथा ध्यान में ना आने वाले सूक्ष्म प्रयास चल रहे हैं । उन सबके द्वारा निर्मित छल कपट तथा भ्रमजाल से सजगतापूर्वक स्वयं को तथा समाज को बचाना होगा ।
सारांश में कहना हो तो दुष्टों की टेढी बुद्धि अभी भी वैसी ही है और अपने दुष्कर्मों को नये नये साधनों के माध्यम से आगे बढाने के प्रयास मे लगी है । निहित स्वार्थों के चलते तथा अहंकारी कट्टरपंथियों के चलते कुछ समर्थन जुटा लेना, लोगों की अज्ञानता का लाभ उठाकर उन्हें असत्य के आधार पर भ्रमित करना, उनकी वर्तमान अथवा काल्पनिक समस्याओं के आधार पर उन्हें भडकाना, समाज में किसी प्रकार से व किसी भी कीमत पर असंतोष, परस्पर विरोध, कलह, आतंक औंर अराजकता उत्पन्न कर अपने ढलते प्रभाव को फिर समाज पर थोपने का उनका कुत्सित मन्तव्य पहले ही उजागर हो चुका है ।
अपने समाज में व्याप्त “स्व” के बारे में अज्ञान, अस्पष्टता तथा अश्रद्धा के साथ साथ आजकल विश्व में बहुत गति से प्रचारित होती जा रही कुछ नयी बातें भी इन स्वार्थी शक्तियों के कुत्सित खेलों के लिए सुविधाजनक बनी है । बिटक्वाइन जैसा अनियंत्रित चलन प्रच्छन्न आर्थिक स्वैराचार का माध्यम बन कर सभी देशों की अर्थव्यवस्थाओं के लिए एक चुनौती बन सकता है । ओ. टी. टी. प्लैटफॉर्म पर कुछ भी प्रदर्शित होगा और कोई भी उसे देखेगा ऐसी स्थिति है । अभी ऑनलाइन शिक्षा चलानी पडी । बालकों का मोबाइल पर देखना भी नियम सा बन गया । विवेकबुद्धि तथा उचित नियंत्रण का अभाव इन सभी नये वैध अवैध साधनों के सम्पर्क में समाज को किधर व कहाँ तक ले जाएगा यह कहना कठिन है, परन्तु देश के विरोधी तत्व इन साधनों का क्या उपयोग करना चाहते हैं यह सब जानते हैं । इसलिए ऐसी सभी बातों पर समय रहते हुए उचित नियंत्रण का प्रबंध शासन को करना चाहिए ।

कुटुंब प्रबोधन
परन्तु इन सब बातों के परिणामकारक नियंत्रण के लिए अपने अपने घर में ही उचित अनुचित तथा करणीय अकरणीय का विवेक देनेवाले संस्कारों का वातावरण बनाना होगा । अनेक व्यक्ति, संगठन तथा संत महात्मा इस कार्य को कर रहे हैं । हम भी अपने कुटुम्ब में इस प्रकार की चर्चा संवाद प्रारम्भ कर सहमति बना सकते हैं । कुटुम्ब प्रबोधन गतिविधि के माध्यम से संघ के स्वयंसेवक भी यह कार्य कर रहे हैं । “मन का ब्रेक उत्तम ब्रेक” ऐसा एक वाक्य आपने सुना या पढा होगा । भारतीय संस्कारजगत पर सभी ओर से हमले के द्वारा हमारे जीवन में श्रद्धा के निखन्दन तथा भ्रष्ट स्वैराचार के बीजारोपण का जो भीतरघात चल रहा है उसके सभी उपायों का आधार यही वि्वेकबुद्धि होगी ।

कोरोना से संघर्ष
कोरोना विषाणुके आक्रमण के तीसरी लहर का सामना करने की पूरी तैयारी रखते हुए हम अपनी स्वतंत्रता के 75 वर्ष भी मनाने की तैयारियां कर रहे हैं । कोरोना की दूसरी लहर में समाज ने फिर एक बार अपने सामूहिक प्रयास के आधार पर कोरोना बीमारी के प्रतिकार का उदाहरण खडा किया । इस दूसरी लहर ने अधिक मात्रा में विनाश किया तथा युवा अवस्था में ही कई जीवनों का ग्रास कर लिया । परन्तु ऐसी स्थिति में भी प्राणों की पर्वा न करते हुए जिन बंधु भगिनियों ने समाज के लिए सेवा का परिश्रम किया वे वास्तव में अभिनंदनीय है । और संकटों के बादल भी पूरी तरह छटे नहीं है । कोरोना की बीमारी से हमारा संघर्ष अभी समाप्त नहीं हुआ, यद्यपि तीसरी लहर का सामना करने की हमारी तैयारी लगभग पूरी हो चुकी है । बड़ी मात्रा में टीकाकरण हो चुका है, उसे पूर्ण करना पड़ेगा । समाज भी सावधान है, और संघ के स्वयंसेवक तथा समाज के अनेक सज्जन तथा संगठनों ने गांव स्तर तक, कोरोना के संकट से संघर्ष में समाज को सहायता करने वाले, सजग रखने वाले कार्यकर्ताओं के समूहों का प्रशिक्षण कर लिया है । हमारी तैयारी पुरी है भी है तथा इस संकट का संभवत: यह आखिरी चरण, बहुत तीव्र नहीं होगा ऐसी आशा करने की गुंजाइश भी है । परंतु किसी भी अनुमान पर निर्भर न रहते हुए पूर्ण सजगता के साथ तथा सरकारों के निर्बंधों का अनुशासन पालन करते हुए हमें चलना होगा ।
लगता है कि कोरोना के चलते समाज के क्रियाकलापों को बंद रखने की न शासन की मन:स्थिति है न समाज की । कोरोना की गत दो लहरों में लॉकडाउन के कारण आर्थिक क्षेत्र की काफी हानि हुई है । उसको पूरा करते हुए देश के अर्थ तंत्र को पहलेसे भी अधिक गति से आगे बढ़ाने की चुनौती हम सब लोगों के सामने है । उसके लिए चिंतन तथा प्रयास भी चल रहे हैं, चलने होंगे । अपने भारतीय आर्थिक क्षेत्र में आज कोरोना के कारण उपस्थित आर्थिक संकट का सामना करने का आत्मविश्वास व सामर्थ्य दिखाई देता है । कुछ क्षेत्रों से यह बात भी सुनाई दे रही है कि बहुत द्रुत गति से व्यापार तथा अर्थायाम पूर्ववत हो रहा है । ठीक से सबकी सहभागिता शासन प्राप्त कर लें तो उपरोक्त संकट का सामना देश कर लेगा यह विश्वास लगता हैं । परंतु यह हमारे लिए अपने ” स्व ” पर आधारित तंत्र का चिंतन, मनन तथा रचना करने का अवसर भी बन सकता है ।
समाज में भी स्व का जागरण तथा आत्मविश्वास बढ़ रहा है यह दिख रहा है । श्रीरामजन्मभमि मंदिर के लिए धन संग्रह अभियान के समय देखा गया सार्वत्रिक उत्साहपूर्ण तथा भक्तियुक्त प्रतिसाद इसी ‘स्व’ के जागरण का लक्षण है । उसका स्वाभाविक परिणाम समाज के पुरुषार्थ का अनेक क्षेत्रों में प्रगटीकरण होने में होता है । हमारे खिलाड़ियों ने टोकियो ऑलंपिक में 1 स्वर्ण, 2 रौप्य व 4 कांस्य पदक जीतकर तथा पॉरा ऑलंपिक में 5 स्वर्ण, 8 रौप्य ताथा 6 कांस्य पदक जीतकर अत्यंत अभिनंदनीय विजय तथा पुरुषार्थ का परिचय दिया है । देश में सर्वत्र हुए उनके अभिनन्दन में हम सभी सहभागी है ।

स्वास्थ्य के प्रति हमारी दृष्टि
हमारे पास हमारे ” स्व” की परंपरा से आयी हुई दृष्टि व ज्ञान आज भी उपयोगी है यह इसी कोरोना की परिस्थिति ने दिखा दिया । हमारे परंपरागत जीवन शैली की रोगों के प्रतिबंध में तथा आयुर्वेदिक औषधियों की कोरोना के प्रतिकार व उपचार में प्रभावी भूमिका को हमने अनुभव किया । हमारे विशाल देश में प्रत्येक व्यक्ति को सुलभता से मिल सके तथा सस्ते दामों में उपलब्ध हो ऐसी चिकित्सा व्यवस्था आवश्यक है यह हम सब लोग जानते हैं, अनुभव करते हैं । भौगोलिक विस्तार तथा जनसंख्या की दृष्टि से विशाल इस देश में हमें रोगमुक्ति के साथ ही आयुर्वेद के स्वास्थ्यवृत्त का भी विचार करना पड़ेगा ।
आहार, विहार, व्यायाम तथा चिंतन के हमारे परंपरागत विधि निषेध के आधार पर ऐसा जीवन, जिसकी शैली से ही रोगों का उपद्रव ही न हो या कम से कम हो, ऐसा वातावरण खड़ा किया जा सकता है । हमारी वह जीवनशैली पर्यावरण से पूर्ण सुसंगत तथा संयम आदि दैवी गुणसंपदा प्रदान करनेवाली है । कोरोना बीमारी के दौर में सार्वजनिक कार्यक्रम, विवाहादि कार्यक्रम सब प्रतिबंधित थे । उन्हें हमें सादगी से ही निभाना पड़ा । दिखनेवाले उत्साह व रौनक में कमी त़ो आयी, परन्तु हम धन, ऊर्जा, तथा अन्य संसाधनों की फिजूलखर्ची से बच गये और पर्यावरण पर उसका सीधा अनुकूल परिणाम भी हमने प्रत्यक्ष अनुभव किया । अब परिस्थितियों के पूर्ववत होने पर इस अनुभव से बोध लेकर हमें उन अपनी मूल जीवनशैली के अनुसार उन फिजूलखर्ची व तामझामों से बचते हुए पर्यावरण-सुसंगत जीवनशैली में ही कायम होना चाहिए । पर्यावरण से सुसंगत जीवनशैली के प्रचार प्रसार कार्य बहुतों के द्वारा चल ही रहा है । संघ के स्वयंसेवक भी पर्यावरण संरक्षण गतिविधि द्वारा पानी बचाना, प्लास्टिक छुडाना तथा पेड लगाना इन आदतों को लोगों में डालने का प्रयास कर रहे हैं ।
आयुर्वेद सहित आज उपलब्ध सभी चिकित्सा पद्धतियों के उपयोग से, छोटी मोटी तथा प्राथमिक चिकित्सा का प्रबंध प्रत्येक व्यक्ति को अपने गांव में ही उपलब्ध हो सकता है । द्वितीय चरण की चिकित्सा, खंड स्तर पर हम व्यवस्थित करते हैं तो जिला स्तर पर तृतीय स्तर की चिकित्सा व महानगरों में अति प्रगट विशिष्ट चिकित्सा ऐसा प्रबंध किया जा सकता है । चिकित्सा पद्धति के अहंकार से ऊपर उठकर सभी चिकित्सा पद्धतियोंका यथातथ्य नियोजन करने से प्रत्येक व्यक्ति को उसके लिए सस्ती, सुलभ, परिणामकारक चिकित्सा प्रदान करने की व्यवस्था बन सकती है ।

हमारी आर्थिक दृष्टि
प्रचलित अर्थचिंतन आज नई समस्याओं का सामना कर रहा है, जिन का समाधानकारक उत्तर अन्य देशों के पास नहीं है । यांत्रिकीकरणसे बढती बेरोजगारी, नीतिरहित तकनीकी के कारण घटती मानवीयता व उत्तरदायित्व के बिना प्राप्त सामर्थ्य यह उनके कुछ उदाहरण हैं । भारत से अर्थव्यवस्था के तथा विकास के नए मानक की अपेक्षा व प्रतीक्षा संपूर्ण विश्व को है । हमारी विशिष्ट आर्थिक दृष्टि हमारे राष्ट्र के प्रदीर्घ जीवनानुभव तथा देशविदेश मे सम्पन्न किए गए आर्थिक पुरुषार्थ से बनी है । उसमें सुख का उद्गम मनुष्य के अंदर माना गया है । सुख वस्तुओं में नहीं होता है । सुख केवल शरीर का भी नहीं होता है । शरीर, मन, बुद्धि, आत्मा चारों को एक साथ सुख देने वाली; मनुष्य, सृष्टि, समष्टि का एक साथ विकास करते हुए उसको परमेष्ठी की ओर बढ़ाने वाली; अर्थ-काम को धर्म के अनुशासन में चलाकर मनुष्य मात्र की सच्ची स्वतंत्रता को बढ़ावा देने वाली अर्थव्यवस्था हमारे यहाँ अच्छी मानी गई है । हमारे आर्थिक दृष्टि में उपभोग नहीं संयम का महत्व है । भौतिक साधन संपत्ति का मनुष्य विश्वस्त है, स्वामी नहीं । सृष्टि का वह अंग है, स्वयं की आजीविका के लिये सृष्टि का दोहन करनेके साथ ही उसका संरक्षण संवर्धन भी उसका कर्तव्य है ऐसी हमारी मान्यता है । वह दृष्टि एकांतिक नहीं है । केवल पूंजीपति अथवा व्यापारी अथवा उत्पादक अथवा श्रमिक के एकतरफा हित की नहीं है । इन सब को ग्राहकसहित एक परिवार जैसा देखते हुए सब के सुखों की, संतुलित, परस्पर संबंधों पर आधारित वह दृष्टि है । उस दृष्टि के आधार पर विचार करते हुए, विश्व के आज तक के अनुभव से जो नया सीखा है, अच्छा सीखा है तथा आज की हमारी देश काल परिस्थिति से सुसंगत है, उसको साथ जोडते हुये ऐसी एक नई आर्थिक रचना को हम अपने देश में खड़ी करके दिखाएँ, यह समय की आवश्यकता है । समग्र व एकात्म विकास के नये धारणाक्षम प्रतिमानका प्रकटीकरण होना स्वाधीनता का स्वाभाविक परिणाम है, “स्व” की दृष्टि का चिरप्रतीक्षित आविष्कार है ।

जनसंख्या नीति
देश के विकास की बात सोचते हैं तो औंर एक समस्या सामने आती है जिससे सभी चिंतित हैं ऐसा लगता है । गति से बढनेवाली देश की जनसंख्या निकट भविष्य में कई समस्याओं को जन्म दे सकती है । इसलिए उसका ठीक से विचार होना चाहिये । वर्ष 2015 में रांची मे संपन्न अ. भा. कार्यकारी मंडल की बैठक ने इस विषय पर एक प्रस्ताव पारित किया है । —-
जनसंख्या वृद्धि दर में असंतुलन की चुनौती

देश में जनसंख्या नियंत्रण हेतु किये विविध उपायों से पिछले दशक में जनसंख्या वृद्धि दर में पर्याप्त कमी आयी है । लेकिन, इस सम्बन्ध में अखिल भारतीय कार्यकारी मंडल का मानना है कि 2011 की जनगणना के पांथिक आधार (Religious ground) पर किये गये विश्लेषण से विविध संप्रदायों की जनसंख्या के अनुपात में जो परिवर्तन सामने आया है, उसे देखते हुए जनसंख्या नीति पर पुनर्विचार की आवश्यकता प्रतीत होती है । विविध सम्प्रदायों की जनसंख्या वृद्धि दर में भारी अन्तर, अनवरत विदेशी घुसपैठ व मतांतरण के कारण देश की समग्र जनसंख्या विशेषकर सीमावर्ती क्षेत्रों की जनसंख्या के अनुपात में बढ़ रहा असंतुलन देश की एकता, अखंडता व सांस्कृतिक पहचान के लिए गंभीर संकट का कारण बन सकता है ।
विश्व में भारत उन अग्रणी देशों में से था जिसने 1952 में हीं जनसंख्या नियंत्रण के उपायों की घोषणा की थी, परन्तु सन 2000 में जाकर ही वह एक समग्र जनसंख्या नीति का निर्माण और जनसंख्या आयोग का गठन कर सका । इस नीति का उद्देश्य 2.1 की ‘सकल प्रजनन-दर’ की आदर्श स्थिति को 2045 तक प्राप्त कर स्थिर व स्वस्थ जनसंख्या के लक्ष्य को प्राप्त करना था । ऐसी अपेक्षा थी कि अपने राष्ट्रीय संसाधनों और भविष्य की आवश्यकताओं को ध्यान में रखते हुए प्रजनन-दर का यह लक्ष्य समाज के सभी वर्गों पर समान रुप से लागू होगा । परन्तु 2005-06 का राष्ट्रीय प्रजनन एवं स्वास्थ्य सर्वेक्षण और सन 2011 की जनगणना के 0-6 आयु वर्ग के पांथिक आधार पर प्राप्त आँकड़ों से ‘असमान’ सकल प्रजनन दर एवं बाल जनसंख्या अनुपात का संकेत मिलता है । यह इस तथ्य में से भी प्रकट होता है कि वर्ष 1951 से 2011 के बीच जनसंख्या वृद्धि दर में भारी अन्तर के कारण देश की जनसंख्या में जहाँ भारत में उत्पन्न मतपंथों के अनुयायिओं का अनुपात 88 प्रतिशत से घटकर 83.8 प्रतिशत रह गया है वहीं मुस्लिम जनसंख्या का अनुपात 9.8 प्रतिशत से बढ़ कर 14.23 प्रतिशत हो गया है ।
इसके अतिरिक्त, देश के सीमावर्ती प्रदेशों तथा असम, पश्चिम बंगाल व बिहार के सीमावर्ती जिलों में तो मुस्लिम जनसंख्या की वृद्धि दर राष्ट्रीय औसत से कहीं अधिक है, जो स्पष्ट रूप से बंगलादेश से अनवरत घुसपैठ का संकेत देता है । माननीय सर्वोच्च न्यायालय द्वारा नियुक्त उपमन्यु हाजरिका आयोग के प्रतिवेदन एवं समय-समय पर आये न्यायिक निर्णयों में भी इन तथ्यों की पुष्टि की गयी है । यह भी एक सत्य है कि अवैध घुसपैठियें राज्य के नागरिकों के अधिकार हड़प रहे है तथा इन राज्यों के सीमित संसाधनों पर भारी बोझ बन सामाजिक-सांस्कृतिक, राजनैतिक तथा आर्थिक तनावों का कारण बन रहे हैं ।
पूर्वोत्तर के राज्यों में पांथिक आधार पर हो रहा जनसांख्यिकीय असंतुलन और भी गंभीर रूप ले चुका है । अरुणाचल प्रदेश में भारत में उत्पन्न मत-पंथों को मानने वाले जहाँ 1951 में 99.21 प्रतिशत थे वे 2001 में 81.3 प्रतिशत व 2011 में 67 प्रतिशत ही रह गये हैं । केवल एक दशक में ही अरूणाचल प्रदेश में ईसाई जनसंख्या में 13 प्रतिशत की वृद्धि हुई है । इसी प्रकार मणिपुर की जनसंख्या में इनका अनुपात 1951 में जहाँ 80 प्रतिशत से अधिक था वह 2011 की जनगणना में 50 प्रतिशत ही रह गया है । उपरोक्त उदाहरण तथा देश के अनेक जिलों में ईसाईयों की अस्वाभाविक वृद्धि दर कुछ स्वार्थी तत्वों द्वारा एक संगठित एवं लक्षित मतांतरण की गतिविधि का ही संकेत देती है ।
अखिल भारतीय कार्यकारी मंडल इन सभी जनसांख्यिकीय असंतुलनों पर गम्भीर चिंता व्यक्त करते हुए सरकार से आग्रह करता है कि :

  1. देश में उपलब्ध संसाधनों, भविष्य की आवश्यकताओं एवं जनसांख्यिकीय असंतुलन की समस्या को ध्यान में रखते हुए देश की जनसंख्या नीति का पुनर्निर्धारण कर उसे सब पर समान रूप से लागू किया जाए ।
  2. सीमा पार से हो रही अवैध घुसपैठ पर पूर्ण रूप से अंकुश लगाया जाए । राष्ट्रीय नागरिक पंजिका (National Register of Citizens) का निर्माण कर इन घुसपैठियों को नागरिकता के अधिकारों से तथा भूमि खरीद के अधिकार से वंचित किया जाए ।
    अखिल भारतीय कार्यकारी मंडल सभी स्वयंसेवकों सहित देशवासियों का आवाहन करता है कि वे अपना राष्ट्रीय कर्तव्य मानकर जनसंख्या में असंतुलन उत्पन्न कर रहे सभी कारणों की पहचान करते हुए जन-जागरण द्वारा देश को जनसांख्यिकीय असंतुलन से बचाने के सभी विधि सम्मत प्रयास करें ।
    …………………….
    ऐसे विषयों के प्रति जो भी नीति बनती हो, उसके सार्वत्रिक संपूर्ण तथा परिणामकारक क्रियान्वयन के लिये अमलीकरण के पूर्व व्यापक लोकप्रबोधन तथा निष्पक्ष कार्यवाई आवश्यक रहेगी । सद्यस्थिति में असंतुलित जनसंख्या वृद्धि के कारण देश में स्थानीय हिन्दू समाज पर पलायन का दबाव बनने की, अपराध बढने की घटनाएँ सामने आयी हैं । पश्चिम बंगाल में हाल ही के चुनाव के बाद हुई हिंसा में हिन्दू समाज की जो दुरवस्था हुई उसका, शासन प्रशासन द्वारा हिंसक तत्वों के अनुनय के साथ वहां का जनसंख्या असंतुलन यह भी एक कारण था । इसलिए यह आवश्यक है कि सबपर समान रूपसे लागू हो सकने वाली नीति बने । अपने छोटे समूहों के संकुचित स्वार्थों के मोहजाल से बाहर आकर सम्पूर्ण देश के हित को सर्वोपरि मानकर चलने की आदत हम सभी को करनी ही पडेगी ।

वायव्य सीमा पार………
और एक परिस्थिति, जो अप्रत्याशित तो नहीं थी, परंतु अनुमान से पहले ही आकर खडी हुई है, वह है अफगानिस्तान में तालिबान की सरकार बनना ! उनका अपना पूर्वचरित्र – जुनूनी कट्टरता तथा अत्याचार व इस्लाम के हवाले से दहशतगर्दी – तो अपनेआपमें ही सबको तालिबान के बारे में आशंकित करने के लिये पर्याप्त है । अब तो उनके साथ चीन, पाकिस्तान तथा तुर्कस्थान भी जुडकर एक अपवित्र गठबंधन बन गया है । अब्दाली के बाद एक बार फिर हमारी वायव्य सीमा हमारी गंभीर चिंता का विषय बन रही है । तालिबान की ओर से कभी शांति की तो कभी काश्मीर की बात होती रही है । संकेत यह है, हम आश्वस्त बन कर नहीं रह सकते । हमें अपनी सामरिक तय्यारी को सभी ओर की सीमाओंपर पूर्ण रूप से चुस्त दुरुस्त तथा सजग रखना है । ऐसी स्थिति में देश के अंदर की सुरक्षा, व्यवस्था तथा शान्ति की ओर भी शासन, प्रशासन तथा समाज को पूर्ण सजगता व सिद्धता रखनी होगी । सुरक्षा में स्वनिर्भरता तथा सायबरसुरक्षा जैसे नये विषयों में अद्यतन उच्च स्थिति प्राप्त करने के प्रयास की गति बहुत बढ़ानी होगी । सुरक्षा के विषय में हमें शीघ्रातिशीघ्र स्वनिर्भर होना होगा । बातचीत का रास्ता खुला रखते हुए भी तथा हृदयपरिवर्तन होता है इस आस्था को न नकारते हुए भी सब संभावनाओं के लिए तैयार रहना होगा । इस संकट की पृष्ठभूमि में जम्मू-काश्मीर के लोगों का भारत के साथ भावनिक सात्मीकरण भी द्रुतगति से होने की आवश्यकता ध्यान में आती है । राष्ट्रीय मनोवृत्ती के नागरीकोंका मनोबल तोडने के लिये तथा अपने आतंक के साम्राज्य को पुनर्स्थापित करने के लिए; जम्मू कश्मीर में आतंवादियों ने उन नागरिकोंकी – विशेषकर हिंदुओंकी – लक्षित हिंसा का मार्ग फिर अपनाया है । नागरिक इस स्थिति का सामना धैर्यपूर्वक कर रहे है व निश्चित ही करते रहेंगे, परन्तु आतंकवादियों की गतिविधि का बंदोबस्त व समाप्ति के प्रयासों में अधिक गति लाने की आवश्यकता है ।

हिंदू मंदिरों का प्रश्न
राष्ट्र की एकात्मता, अखण्डता, सुरक्षा, सुव्यवस्था, समृद्धि तथा शान्ति के लिये चुनौती बनकर आनेवाली अथवा लायी गयी अन्तर्गत अथवा बाह्य समस्याओं के प्रतिकार की तैयारी रखने के साथ साथ हिन्दू समाज के कुछ प्रश्न भी हैं; जिन्हें सुलझाने का कार्य होने की आवश्यकता है । हिंदू मंदिरों की आज की स्थिति यह ऐसा एक प्रश्न है । दक्षिण भारत के मन्दिर पूर्णतः वहां की सरकारों के अधीन हैं । शेष भारत में कुछ सरकार के पास, कुछ पारिवारिक निजी स्वामित्व में, कुछ समाज के द्वारा विधिवत् स्थापित विश्वस्त न्यासोंकी व्यवस्था में हैं । कई मंदिरों की कोई व्यवस्था ही नहीं ऐसी स्थिति है । मन्दिरों की चल/अचल सम्पत्ति का अपहार होने की कई घटनाएँ सामने आयी हैं । प्रत्येक मन्दिर तथा उसमें प्रतिष्ठित देवता के लिए पूजा इत्यादि विधान की परंपराएँ तथा शास्त्र अलग अलग विशिष्ट है, उसमें भी दखल देने के मामले सामने आते हैं । भगवान का दर्शन, उसकी पूजा करना, जातपातपंथ न देखते हुए सभी श्रद्धालु भक्तों के लिये सुलभ हों, ऐसा सभी मन्दिरोंमें नहीं है, यह होना चाहिये । मन्दिरों के, धार्मिक आचार के मामलों में शास्त्र के ज्ञाता विद्वान, धर्माचार्य, हिन्दू समाज की श्रद्धा आदि का विचार लिए बिना ही निर्णय किया जाता है ये सारी परिस्थितियाँ सबके सामने हैं । “सेक्युलर” होकर भी केवल हिन्दू धर्मस्थानों को व्यवस्था के नाम पर दशकों शतकों तक हडप लेना, अभक्त/अधर्मी/विधर्मी के हाथों उनका संचालन करवाना आदि अन्याय दूर हों, हिन्दू मन्दिरों का संचालन हिन्दू भक्तों के ही हाथों में रहे तथा हिन्दू मन्दिरों की सम्पत्ति का विनियोग भगवान की पूजा तथा हिन्दू समाज की सेवा तथा कल्याण के लिए ही हो, यह भी उचित व आवश्यक है । इस विचार के साथ साथ ही हिन्दू समाज के मन्दिरों का सुयोग्य व्यवस्थापन तथा संचालन करते हुए, मन्दिर फिरसे समाजजीवन के और संस्कृति के केन्द्र बनाने वाली रचना हिन्दू समाज के बल पर कैसी बनायी जा सकती है, इसकी भी योजना आवश्यक है ।

हमारी एकात्मता के सूत्र
शासन प्रशासन के व्यक्ति अपना कार्य करेंगे तो भी सभी राष्ट्रीय क्रियाकलापों में समाज की मन, वचन तथा कर्म से सहभागिता महत्वपूर्ण होती है । कई समस्याओं का निदान तो केवल समाज की पहल से ही हो सकता है । इस लिये उपरोक्त समस्याओं के संदर्भ में समाज के प्रबोधन के साथ ही समाज के मन, वचन व आचरण की आदतों में परिवर्तन की आवश्यकता है । अतएव इस अपने प्राचीन काल से चलते आये सनातन राष्ट्र के अमर स्वत्त्व की जानकारी, समझदारी पूरे समाज में ठीक से बननी चाहिए । भारत की सभी भाषिक, पांथिक, प्रांतीय, विविधताओं को पूर्ण स्वीकृति, सम्मान, तथा विकास के सम्पूर्ण अवसर के सहित एक राष्ट्रीयता के सनातन सूत्रमें गूँथ कर जोड़ने वाली हमारी संस्कृति है । इसके अनुरूप हमें बनना चाहिए । अपने मत, पंथ, जाति, भाषा, प्रान्त आदि छोटी पहचानों के संकुचित अहंकार को हमें भूलना होगा । बाहर से आये सभी सम्प्रदायों के माननेवाले भारतीयों सहित सभी को यह मानना, समझना होगा कि हमारी आध्यात्मिक मान्यता व पूजा की पद्धति की विशिष्टता के अतिरिक्त अन्य सभी प्रकार से हम एक सनातन राष्ट्र, एक समाज, एक संस्कृति में पलेबढ़े समान पूर्वजों के वंशज हैं । उस संस्कृति के कारण ही हम सब अपनी अपनी उपासना करने के लिए स्वतंत्र हैं । अपने मनसे हर कोई यहाँ अपनी उपासना तय कर सकता है । यह इतिहास का तथ्य है कि परकीय आक्रमणकारियों के साथ कुछ उपासनाएँ भी भारत में आयीं । परंतु यह सत्य है कि आज भारत में उन उपासनाओं को मानने वालों का रिश्ता आक्रामकों से नहीं, देश की रक्षा के लिये उनसे संघर्ष करनेवाले हिन्दू पूर्वजों से है । अपने समान पूर्वजों में हमारे सबके आदर्श हैं । इस बात की समझ रखने के कारण ही इस देश ने कभी हसनखाँ मेवाती, हाकिमखान सूरी, खुदाबख्श तथा गौसखाँ जैसे वीर, अशफाकउल्लाखान जैसे क्रांतिकारी देखें । वे सभी के लिए अनुकरणीय हैं । अलगाव की मानसिकता, संप्रदायोंकी आक्रामकता, दूसरों पर वर्चस्व स्थापित करने की आकांक्षा तथा छोटे स्वार्थों की संकुचित सोच से बाहर आकर देखेंगे तो ध्यान में आयेगा कि दुनियाँ पर टूट पड़े कट्टरता, असहिष्णुता, आतंकवाद, द्वेष, दुश्मनी तथा शोषण के प्रलय से तारनहार केवल भारत, उसमे उपजी फलीफूली यह सनातन हिन्दू संस्कृति तथा सबका स्वीकार कर सकने वाला हिन्दू समाज है ।

संगठित हिंदू समाज
हमारे देश के इतिहास में यदि कुछ परस्पर कलह, अन्याय, हिंसा की घटनाएँ घटी हैं, लम्बे समय से कोई अलगाव, अविश्वास, विषमता अथवा विद्वेष पनपता रहा हो, अथवा वर्तमान में भी ऐसा कुछ घटा हो; तो उसके कारणों को समझकर उनका निवारण करते हुए फिर वैसी घटना न घटे, परस्पर विद्वेष, अलगाव दूर हों, तथा समाज जुड़ा रहे ऐसी वाणी व कृति होनी चाहिए । हमारे भेदों तथा कलहों का उपयोग क़र हमें विभाजित कर रखने वाले, परस्पर प्रामाणिकता पर अविश्वास उत्पन्न करनेवाले, हमारी श्रद्धा को नष्टभ्रष्ट करना चाहनेवाले तत्व घात लगाकर हमारी भूल होने की प्रतीक्षा कर रहे हैं यह समझ कर चलना होगा । भारत के मूल मुख्य राष्ट्रीय धारा के नाते हिन्दू समाज यह तब कर सकेगा जब उसमें अपने संगठित सामाजिक सामर्थ्य की अनुभूति, आत्मविश्वास व निर्भय वृत्ति होगी । इसलिये आज जो अपने को हिंदू मानते हैं उनका यह कर्तव्य होगा कि वे अपने व्यक्तिगत, पारिवारिक, सामाजिक जीवन तथा आजीविका के क्षेत्र में आचरण से हिन्दू समाज जीवन का उत्तम सर्वांगसुन्दर रूप खडा करें । सब प्रकार के भय से मुक्त होना होगा । दुर्बलता ही कायरता को जन्म देती है । व्यक्तिगत स्तरपर हमें शारीरिक, बौद्धिक तथा मानसिक बल, साहस, ओज, धैर्य तथा तितिक्षा की साधना करनी ही होगी । समाज का बल उसकी एकता में होता है, समाज के सामूहिक हित की समझदारी तथा उसके प्रति सबकी जागरूकता में होता है । समाज में विभेद उत्पन्न करनेवाले विचार, व्यक्ति, समूह, घटना, उकसावे इन से सावधान रहकर समाज को सभी प्रकार के आपसी कलहों से दूर रखने बचाने में सभी को तत्पर रहना आवश्यक है । यह बलोपासना किसी के विरोध या प्रतिक्रिया में नहीं । यह समाज की स्वाभाविक अपेक्षित अवस्था है । बल, शील, ज्ञान तथा संगठित समाज को ही दुनियाँ सुनती है । सत्य तथा शान्ति भी शक्ति के ही आधार पर चलती है । बलशीलसंपन्न तथा निर्भय बनाकर, “ना भय देत काहू को, ना भय जानत आप” ऐसे हिन्दू समाज को खडा करना पडेगा । जागरुक, संगठित, बलसंपन्न व सक्रीय समाज ही सब समस्याओं का समाधान है ।
राष्ट्रीय स्वयंसेवक संघ यही कार्य निरंतर गत 96 वर्षों से कर रहा है, तथा कार्य की पूर्ति होने तक करते रहेगा । आज के इस शुभ पर्व का भी यही संदेश है । नौ दिन देवोंने व्रतस्थ होकर, शक्ति की आराधना करते हुए, सभी की शक्तियों का संगठन बनाया । तभी विभिन्न रूपों में मानवता की हानि करने वाला संकट संपूर्ण विदीर्ण हो गया । आज विश्व की परिस्थिति की भारत से अनेक अपेक्षाएँ हैं, और भारत को उसके लिए सिद्ध होना है । हमारे समाज की एकता का सूत्र अपनी संस्कृति, समान पूर्वजों के गौरव का मन में उठने वाला समान तरंग, तथा अपने इस परम पवित्र मातृभूमि के प्रति विशुद्ध भक्तिभाव यही है । हिंदू शब्द से वही अर्थ अभिव्यक्त होता है । हम सब लोग इन तीन तत्वों से तन्मय होकर, अपनी अपनी विशिष्टता को हमारी इस अन्तर्निहित सनातन एकता का श्रुंगार बनाकर संपूर्ण देश को खड़ा कर सकते हैं, हम को करना चाहिए । यही राष्ट्रीय स्वयंसेवक संघ का कार्य है । उस तपस्या में आप सबके योगदान की समिधा भी अर्पण करें ऐसा आवाहन करते हुए मैं अपना निवेदन समाप्त करता हूँ ।

भ्रांति जनमन की मिटाते क्रांति का संगीत गाते
एक के दशलक्ष होकर कोटियों को हैं बुलाते
तुष्ट माँ होगी तभी तो विश्व में सम्मान पाकर ।

बढ रहे हैं चरण अगणित बस इसी धुन में निरन्तर
चल रहे हैं चरण अगणित ध्येय के पथ पर निरन्तर ।

भारत माता की जय

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.