কাব্যিক দ্যোতনায় “পৃথিবী ঘুমায় মহাকাশের ছায়ায়”! পৃথিবী অনন্ত গতিতে ঘূর্ণনের সময় চিরকালীন ভ্রমণপথে “মহাকাশের ছায়ায়” ঘুমায় বা হেলান দিয়ে একটু বিশ্রাম নেয় কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।
বস্তুত,কাব্য-ভাবনায়,কাব্যিক-দৃষ্টিতে আমাদের প্রিয় বসুধায় ছায়ারই যেন একাধিপত্য!আমরা বলে থাকি “বৃক্ষচ্ছায়া”,”স্নেহচ্ছায়া”,”মুখমণ্ডলে কালো মেঘের ঘনচ্ছায়া নেমে এলো”,কিম্বা “দাদু-ঠাকুমার স্নেহচ্ছায়াতেই তার এই অধঃপতন”!

   আমাদের দৈনন্দিন সংসার যাপনে ছায়া এত ওতোপ্রোতঃ ভাবে জড়িয়ে যে,তাকে অবহেলা-উপেক্ষা করে গেলেও ছায়া সুন্দরী তাতে ভ্রূক্ষেপও করে না!সুন্দরী জানে যে,ছায়াকে এড়িয়ে কোনো মানবই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে না।প্রতিটি ব্যক্তি মানুষের জীবৎকালে স্বল্প ক্ষণের জন্য হলেও ছায়ার অস্তিত্ব,অবদান স্বীকার করতেই হবে।ছায়ার মায়া-মোহজাল ছিন্ন করা মানুষের পক্ষে তাই সম্ভব নয়।

 বৈজ্ঞানিক ভাবে ছায়ার উৎপত্তি ব্যাখ্যা করা যায়।সেখানে একটি আলোক উৎস থাকতে হবে।আলোকের চলার পথে কোনো বস্তু কণা কর্তৃক বাধা পেতে হবে।আলোক রশ্মি যদি সেই বাধা ভেদ করে বেরিয়ে যেতে পারে তো ভাল।না-পারলে নিকটবর্তী অঞ্চলে যে আলো-আঁধারী পরিবেশ সৃষ্টি হয়,তাকেই ছায়া বলে।আলোর তীব্রতা বাড়া-কমার সাথে ছায়ারও উজ্জ্বলতা বাড়ে কমে।আলোকের উৎসের সাথে বস্তু কণা ও পতনতলের উচ্চতার উপর নির্ভর করে কখনও ছায়া তৈরি নাও হতে পারে।এই কারণেই বিমানের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে তার ছায়া ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে না।বিমান ওঠা নামার সময় তার ছায়া দেখতে পাওয়া যায়।কারণ  ভূ-পৃষ্ঠ  ও বিমানের উচ্চতা তখন কম থাকে।

  বৈজ্ঞানিক ও কাব্যিক ভাবে যদি ছায়ার অস্তিত্ব না-থাকত,তাহলে মানব জীবন "ছায়াশূন্য" হয়ে "জলহীন পত্রহীন" মরুভূমিতে পরিণত হত!বৈজ্ঞানিক ভাবে ছায়া আছে বলেই চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ সংঘঠিত হয়।গ্রহণের সৌন্দর্য অতি অরসিক জনকেও মুগ্ধ করে।সূর্যগ্রহণের মাত্রার কমবেশির সাথে কতই-না কাব্য জড়িয়ে আছ!কখনও "অগ্নি-অঙ্গুরীয়","অগ্নি-বলয়", "হীরকাঙ্গুরীয়" কত কত মধুর মধুর উপমা-উৎপ্রেক্ষা!পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কালে দিনের বেলায় পূর্ণিমা রাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।সন্ধ্যার আগমণ ভেবে পাখিরা নীড়ে ফিরে কলকাকলি শুরু করে। সূর্যগ্রহণের পূর্ণিমা রাতের চন্দ্রালোকে অতি রসিক জন নিজ দেহের কোমল ত্বকে ফোস্কা অনুভব করেন!আর চন্দ্রের পূর্ণগ্রাসে "ফুলের ঘায়ে মুর্ছা যান"!
এই অনুপম,মহাজাগতিক সৌন্দর্য রাশি ছায়ার কারণেই সৃষ্টি হয়।পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর বা চাঁদের ছায়া সূর্যের উপরে পড়ার কারণের গ্রহণ হয়ে থাকে।

 প্রকৃতি-পরিবেশের সাথে মানিয়ে গেলে যে-কোনো ছায়াই মানব-মনে অপার প্রশান্তি আনে।অতৃপ্ত হৃদয়কে তৃপ্ত করে সুষুপ্তির পরশকাঠি বুলিয়ে দেয়।আনে মরু-মনে পিপাসার শান্তি বারি! গ্রীষ্মের প্রখর সূর্য তাপে ক্লান্ত-শ্রান্ত-অবসন্ন দেহ মন নিয়ে কোনো পথিক যদি অপ্রত্যাশিত ভাবে বৃক্ষের ছায়া দেখতে পায়,মুহূর্তের ভগ্নাংশের মধ্যেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে তার মন।ছায়াতে বিশ্রাম নিয়ে সেই পথিক যে মানসিক প্রশান্ত অনুভব করবে তা অন্যকে ভাষার বর্ণনায় কী ভাবে বোঝাবে!

   পিতৃ-মাতৃ হীন কোনো শিশু যখন দাদু-ঠাকুমার প্রবল স্নেহ মমতায় বড়ো হতে থাকে, তখন তাকে আমরা বলি "স্নেহচ্ছায়া"! স্নেহচ্ছায়া যে কারুরই হতে পারে।এই স্নেহচ্ছায়া প্রতিবেশীর কাছে "আদিখ্যেতা" মনে হতে পারে।ন্যাকামি মনে হতে পারে।নীরীহ শিশুটি প্রতিবেশীর "চক্ষুশূল" হয়ে ওঠে।শিশুটি কিশোর বয়সে যদি কোনো কারণে বিপথগামী হয়ে পড়ে তো প্রতিবেশীর "পোয়াবারো"।তখন তাদের মানসিক প্রশান্তি ও বাক্যবাণের প্রবল গতি "রোধিবে কে"!
  হঠাৎ কোনো বিপদপাতের আশংকা দেখা দিলে বা কোনো গোপন কর্ম প্রকাশ্যে আসার সম্ভবনা তৈরী হলে,মানুষের মুখমণ্ডলে তৎক্ষণাৎ যে পরিবর্তন দেখা দেয়,তাকে বলা চলে "কালো মেঘের ঘনাচ্ছায়া নেমে এলো যেন"!

এসব তো গেল বহিঃপ্রকৃতির ছায়ার প্রভাব।মানব মনের গহীনেও ছায়ার প্রভাব অপরিসীম।মানব-জীবনকালের ছাত্রাবস্থা,প্রেমজীবন,কর্মজীবন,সংসারজীবন ইত্যাদি জীবনের প্রতিটি খন্ড মুহূর্তে ছায়া সর্বত্রই জড়িয়ে থাকে।
মানব হৃদয়ের গহীনে যে-ছায়ার নিত্য যাতায়াত,তার রাজত্বের বিস্তৃতি আরও জটিল-কুটিল।সিগমন্ড ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা হয়ত কিছু কিছু করা যায়।ফ্রয়ডীয় “মনোবিকলন তত্ত্ব” এই বিষয়ে কতটা কী বলতে পারে তা গভীর আলোচনার বিষয়।প্রেমিক যুগলের পরস্পরের প্রতি যে মুগ্ধ দৃষ্টি থাকে,মুখমণ্ডলে যে অভিব্যক্তি বিকশিত হয়,তা দেখে যে-কোনো ব্যক্তিই বুঝে নিতে পারে যুগলের মধ্যেকার সম্পর্কের প্রকৃতি।তাদের মুখে তখন ফুটে ওঠে “প্রেমচ্ছায়া”!সন্তানসম কারুর দিকে আন্তরীক ভাবে তাকালে চোখে মুখের যে পরিবর্তন ঘটে,তাকে বলা চলে “স্নেহচ্ছায়া”!
প্রকৃতপক্ষে,মানব মনোসমুদ্রের সকল প্রবৃত্তির ছায়া মুখমণ্ডলে ফুটে ওঠে সকলেরই।তবে ব্যতিক্রম তাঁরা,যাঁরা–“দুঃখেষ্বনুদ্বিগ্নমনাঃ সুখেষু বিগতস্পৃহঃ । / বীতরাগভয়ক্রোধঃ স্থিতধীর্মুনিরুচ্যতে”।।—গীতা-২/৫৬
স্থিরপ্রজ্ঞ মুনি ঋষিগণ মানব প্রকৃতির ঊর্ধ্বে।

ছায়ার সুখ পেতে হলে বাস্তবের বস্তু কণা,সংসার,পরিবেশ,প্রতিবেশ থাকতে হবে।কারণ ছায়া স্পর্শের বাইরের মানসিক অনুভূতি।বস্তুর ছায়া জ্ঞানেন্দ্রিয় চোখ দিয়ে দেখা যায়।কিন্তু স্পর্শে অনুভব করা যায় না।মনোলোকের আলোক সংসারে পতিত হলে সংসারের ছায়া তৈরী হয়।এই ছায়া জ্ঞানেন্দ্রিয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায় না।বাস্তবের সংসার,বাস্তবের প্রেম বেশি রূঢ়।বেশি চঞ্চলতা।বেশি স্পর্শকাতরতা।সেখানে ফুলের ঘায়ে মুর্ছা যাওয়া,চাঁদের আলোয় ত্বকে ফোস্কা পড়ার প্রবণতা বেশি।খুবই সন্তর্পণে বাস্তবের সংসার-প্রেম উপভোগ করতে হয়।তার সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে হয় অতি যতনে।প্রেমে-বিশ্বাসে-ভরসায়-দায়িত্বে সামান্যতম ভুলও সমূহ বিপর্যয় ডেকে আনে।সেখানে অতৃপ্তী,অপ্রাপ্তী,কাব্যহীনতা বেশি।প্রাত্যহিক জীবনযাপন-চর্চায় যা আরও বাড়তে থাকতে।অতি সন্তর্পণে,অতি যতনে তাকে লালন করতে হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস “শেষের কবিতা”-র রোমান্টিক-বিলাসী নায়ক অমিত-ও কি এই ছায়া সংসার গড়তে চেয়েছিল প্রেমিকা লাবণ্যর সাথে!অমিত লাবণ্যকে বলেছিল তাদের দাম্পত্য জীবনে দু’জনের ঘর গঙ্গার দুই পাড়ে হবে।রাতে জানালা-পথে আগত আলোক-রশ্মির দিকে পরস্পর তাকিয়ে থেকে হবে তাদের মধুর নিশিযাপন!নব দম্পত্যির প্রেমের কলতান-কলগান হবে আলোর পথে চেয়ে চেয়ে!দৈনন্দিন জীবনের প্রাত্যহিক ব্যবহারে-সংস্পর্শে সংসার যাপনে যাতে মালিন্যের ছোঁয়া না-লাগে তাই কি অমিত অভিনব উপায়ে ছায়া সংসার চেয়েছিল!
বিভূতিভূষণের “অপরাজিত” উপন্যাসের নায়ক অপূর্বর জনৈক বন্ধুর পত্নী ছিল অতীব ভাল মানুষ।অভাবের সংসারের সকল দারিদ্র্যতাকে সে মেনে নিয়েছিল মনের সাথে।স্বামীর কাছে তার কোনোরূপ স্বাচ্ছন্দ্যের দাবী ছিল না।ছিল না অভিযোগও।কিন্তু পতিদেবটির স্ত্রী-কে নিয়ে অভিযোগ ছিল।সে ভাল মানুষ স্ত্রী-কে নিয়ে জীবনে ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছিল।কেন না,স্বামীদেব চাইত স্ত্রী তার সাথে ঝগড়া করুক।মুখরা হোক।মান-অভিমান করুক।স্বামীকে দু’কথা শোনাক।এই অতৃপ্তী-অপ্রাপ্তীর কথা বন্ধু অপূর্বকে সে দেখা হলেই বলত।স্বামীটির মনের মধ্যে এক ছায়া সংসার গড়ে উঠেছিল।অবশ্য উপন্যাসে এই ভাল মানুষ স্ত্রী-টি মারা গেলে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং ঝগড়ুটে স্ত্রী-ই পেয়েছিল।পুনরায় তার মনে “ভাল মানুষ” স্ত্রীর জন্য আরেকটি ছায়া সংসারের স্বপ্ন জাগে!

মানুষের মনের গতি বিচিত্রমুখী।একই সাথে বিভিন্ন দিকে ধায়।কর্মজীবন হোক বা সংসার জীবনই হোক, যে-কোনো ক্ষেত্রে,যে-কোনো বিষয়ে আশা পূরণ না-হলেই নিজের ভিতর থেকেই এক ছায়া জগৎ গড়ে ওঠে।দৃঢ়চেতা ব্যক্তি হয়ত ছায়া সংসারকে উপেক্ষা করতে পারে।বেশির ভাগরাই পারে না।
বাস্তব সংসার ও ছায়া সংসার সমান্তরালেই চলে।সংসারে চাহিদার ভিন্নতার কারণে ছায়া সংসারও বিভিন্ন হতে পারে।একই সাথে একাধিক ছায়া সংসার ব্যক্তির মধ্যে সক্রিয় থাকতে পারে।বস্তু কণা সরিয়ে নিলে বা আলোক উৎস নিভে গেলে ছায়া যেমন মিলিয়ে যায়।ছায়া সংসার কিন্তু তেমন নয়।কর্মচ্যুতি,প্রেমভঙ্গ,দাম্পত্যজীবন হারিয়ে গেলেও কিন্তু ছায়া সংসার আগের মতোই থেকে যায়।ব্যক্তি ভেদে ছায়া সংসার আরও প্রবল হয়ে উঠতে পারে।এমন-কি বাস্তব সংসার গড়ে না-উঠলেও ছায়া সংসার গড়ে উঠতে পারে!কেন না,ছায়া সংসারের উৎপত্তি-বৃদ্ধি-লালন-পালন-টিকে থাকা সবই হয় নরনারীর অন্তহীন মনোসমুদ্রের গহীনে!যা জাগতিক সংস্পর্শের বাইরে থাকে।ছায়া সংসার অন্বেষী দুটি নারী পুরুষ যদি পরস্পরের কাছে এসে পরস্পরকে জানতে পারে,চিনতে পারে,পরস্পরকে অনুভব করতে পারে,তবে পারিপার্শ্বিক বাধা না-থাকলে তারা দ্রূতই বাস্তব সংসার গড়তেও পারে।

সংসারের নানা অতৃপ্তী থেকে যারা ছায়া সংসারে জড়িয়ে পড়ে তারা হয়ত তীব্র মানসিক আবেগে ভেসে চলে।অনুভবে-চেতনায় যা প্রতিনিয়ত নতুন হয়ে হয়ে আসে।মনের খিড়কি পথে যার প্রতি মুহূর্তে আসা-যাওয়া!মনের ঘরে সে নিত্য সাজায় ছায়া সংসার!অতৃপ্তকে তৃপ্ত করে।অপ্রাপ্তীকে করে প্রাপ্ত।অসহনীয়কে করে সুসহনীয়।ছায়া সংসার মানব মনকে প্রশান্তি দেয় সম্বোধনে।খুশি মতো নামে ডেকে ডেকে।অতি তুচ্ছ কথাও কাব্য হয়ে ওঠে।মহৎ-কে তাচ্ছিল্য করেও আনন্দ পায়।আবার তুচ্ছকে মহতের আসনে বসিয়েও শান্তি পায়।
সংসার-রৌদ্র যখন দীপ্ত তেজে সক্রিয় থাকে,তখনই মানুষ ছায়া সংসার খোঁজে শান্তির আশায়।সংসার-রৌদ্রে ক্লান্ত-শ্রান্ত-অবসন্ন মন ছায়া সংসারে বিশ্রাম খোঁজে।ছায়া সংসার ভরা গ্রীষ্মেও শ্রাবণের ধারা বর্ষণ করতে পারে।শ্রাবণেও বসন্তের কুহু গান শোনাতে পারে।ছায়া সংসার কোনো নিয়ম মেনে চলে না।এ যেন পরিণত বয়সে এসে শিশুবেলার ধুলো খেলা।পুতুল পুতুল খেলা।খেলাতেই আনন্দ!

সংসার ও ছায়া সংসার যখন এক সাথে শ্রাবণ ধারার মতো বর্ষিত হয়,মানুষ তখন দিশাহারা হয়ে পড়ে।হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ ঘটায়।চেতনা,পার্থিব বিধি নিষেধ সব কিছু তার অবচেতনে তলিয়ে যায়।ছায়াকেই জীবনের ধ্রুব করে এগিয়ে চলে।সংসার ও ছায়া সংসার সমান্তরালে চিরকালই চলতে পারে।অতি সতর্ক না হলে সংঘর্ষের আশংকা থেকেই যায়।সংঘর্ষ হলে জীবন হানী,সংসার দগ্ধ হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়।ছায়া সংসারের নাগরিক যে-কোনো একজন বা কখনও দুজনই বাস্তবের হতে পারে।অনুভবের পাশাপাশি নারী-পুরুষ স্পর্শের মধ্যেও আসতে পারে।বাস্তবের সংসারও গড়তে পারে।

তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে,”প্রত্যেক মানুষের মধ্যে অতলস্পর্শ বিরহ।আমরা যাহার সহিত মিলিত হইতে চাহি সে আপনার মানসসরোবরের অগম তীরে বাস করিতেছে ; সেখানে কেবল কল্পনাকে পাঠানো যায়,সেখানে সশরীরে উপনীত হইবার কোনো পথ নাই।আমিই বা কোথায় আর তুমিই বা কোথায়।মাঝখানে একেবারে অনন্ত ! কে তাহা উত্তীর্ণ হইবে!অনন্তের কেন্দ্রবর্তী সেই প্রিয়তম অবিনশ্বর মানুষটির সাক্ষাৎ কে লাভ করিবে “!

   : সুজিত চক্রবর্তী :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.