শহীদ সুশীল সেন (জন্মঃ- ১৮৯১ – মৃত্যুঃ- ৩০ এপ্রিল, ১৯১৫) (কোলকাতা পুলিশ আর্কাইভ ও সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী)
১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আবালবৃদ্ধবনিতার সর্বব্যাপী ক্ষোভ বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করছে অত্যাচারী শাসককে সশস্ত্র আক্রমণে। “অনুশীলন সমিতি” এবং “যুগান্তর”-এর মতো গুপ্ত সংগঠনগুলি সক্রিয়তার তুঙ্গে তখন। রাশ টানতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে মরিয়া ব্রিটিশ প্রশাসন। পাশাপাশি “বন্দে মাতরম”-এর মতো জাতীয়তাবাদী পত্রিকাগুলিতে দেশাত্মবোধক নিবন্ধ এতটাই উদ্দীপনা জাগাচ্ছে জনমানসে, প্রভাবে-প্রসারে এতটাই বিস্তার তার দেশপ্রেমী আবেদনের, লেখক এবং প্রকাশক, উভয়ের উপরই নির্বিচারে নেমে আসছে রাজদণ্ড।
এখন যেখানে লালবাজারের অবস্থান, তখন তার একটি অংশে ছিল চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। যা একাধিক সাড়াজাগানো মামলার বিচারপর্বের সাক্ষী। ম্যাজিস্ট্রেটের আসনে সে সময় ডি এইচ কিংসফোর্ড। উচ্চশিক্ষিত, ট্রিনিটি কলেজের কৃতী ছাত্র। ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে (আই সি এস) যোগদান ১৮৯৪ সালে। একাধিক জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার পর ১৯০৬ সালে কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হলেন। বঙ্গভাষা আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন অল্পদিনেই। সরকারি বাসস্থান শুরুর দিকে ছিল হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটে, পরে স্থানান্তরে কিড স্ট্রিটে।
কিংসফোর্ড নিজের দক্ষতার সিংহভাগ কাজে লাগাতেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি নির্মমতায়। ১৯০৭-এর ২৪ জুলাই ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত-কে (স্বামী বিবেকানন্দের ভাই) এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন। অপরাধ? ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় দুটি রচনা প্রকাশ করেছেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ বিচারক শাসিত দেশের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন না, প্রত্যাশিত। কিন্তু কিংসফোর্ড সাহেবের ক্রিয়াকলাপ যেন ক্রমশ নিষ্ঠুরতায় মাত্রাহীন।
মামলা হল “বন্দে মাতরম” পত্রিকার বিরুদ্ধেও। অভিযোগ একই, শাসকের শোষণের সোচ্চার বিরুদ্ধাচরণ। সেই মামলার বিচার চলাকালীন অনেকে, অধিকাংশই প্রাণোচ্ছল তরুণ, ভিড় করতেন আদালত চত্বরে। বিপিনচন্দ্র পাল যখন পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক অরবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করতে অস্বীকার করলেন, মামলা নাটকীয় মোড় নিল।
শুনানির দিনগুলিতে হাজারে হাজারে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করলেন বর্তমানের লালবাজার প্রাঙ্গনে। জনস্রোত আর স্বদেশী স্লোগানের যুগলবন্দী সামলাতে ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ প্রায়ই নির্দয় লাঠি চালাতে শুরু করল সাধারণের উপর। নির্বিচার এবং মায়ামমতাবর্জিত।
দমনপীড়ন সহ্যসীমা অতিক্রম করল ১৯০৭-এর ২৬ অগস্ট। মামলার শুনানি চলছে। বাইরে যথারীতি লোকারণ্য এবং পাল্লা দিয়ে “বন্দে মাতরম”-এর নির্ঘোষ। জমায়েত ক্রমশ বাড়ছে কলেবরে। আবেগের লাভাস্রোত নিয়ন্ত্রণে অন্য দিনের মতোই পুলিশ লাঠি চালাল ইন্সপেক্টর E B Huey-এর নেতৃত্বে। রুখে দাঁড়াল বছর পনেরোর রোগাসোগা চেহারার এক কিশোর। সুশীল সেন। পাল্টা কয়েক ঘা দিল ইন্সপেক্টরকে। অসম যুদ্ধে নতিস্বীকার করতেই হল সুশীলকে। ধরেবেঁধে নিয়ে যাওয়া হল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। কিংসফোর্ড দেখলেন, শুনলেন এবং বললেন,
- আরে, এ যে নেহাতই বাচ্চা! He’s just a kid!
- রাইট স্যার, স্টিল মাইনর। কিন্তু তেজ আছে ষোলোআনা। নিষেধ করলেও শুনছিল না। উল্টে অফিসারের গায়ে হাত তুলেছে !
- হোয়াট ?
- ইয়েস স্যার, ছুটে এসে ধাক্কা দিয়েছে। ঘুসি মেরেছে। সাহসটা ভাবুন একবার! কাস্টডি করে দিই?
- না… জুভেনাইল… কিন্তু হি মাস্ট পে ফর হোয়াট হি হ্যাজ ডান। ডু ওয়ান থিং, টেক হিম ডাউনস্টেয়ার্স। গুনে গুনে পনের ঘা বেত লাগাবেন। Cane him! No less than fifteen times! তারপর ছেড়ে দেবেন। (১৮৯৯-এর ‘Whipping Act”-এ এমন বেত্রাঘাতের বিধিনিয়ম ছিল। )
- রাইট স্যার।
হিড়হিড় করে টানতে টানতে তিনতলা থেকে নীচে নিয়ে যাওয়া হয় একরোখা কিশোরকে। অনুতাপের লেশমাত্র নেই যার চোখেমুখে। বরং ফুঁসছে তখনও।
আদেশ অনুযায়ী কাজ হল। পনের বছরের কিশোরের পিঠে একের পর এক বেতের ঘা আছড়ে পড়ছে। আর প্রতিটি আঘাতের সঙ্গে জোর বাড়ছে সুশীলের স্লোগানের, “বন্দে মাতরম”! প্রহারের পাশবিকতায় নিষ্ফলা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল স্তম্ভিত জনতা। কিংসফোর্ড মনুষ্যত্বকে প্রহসনে পরিণত করেছিলেন অক্লেশে।
এই নৃশংস ঘটনা তীব্র অভিঘাতের সৃষ্টি করল বাংলা জুড়ে। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর মতো তথাকথিত ‘নরমপন্থী’-রাও সোচ্চার হলেন প্রতিবাদে, আর ‘কট্টরপন্থীরা’ সিদ্ধান্ত নিলেন, “এ অপরাধের ক্ষমা নেই। ” কিংসফোর্ড-হত্যার ছক কষা শুরু হল।
তখন জল্পনা চলছিল প্রশাসনিক মহলে কিছুদিন ধরেই, কলকাতা থেকে বদলি হয়ে যেতে পারেন কিংসফোর্ড। সম্ভাব্য বদলির আগেই শত্রুনিকেশে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লবীরা। পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়েছিল প্রভূত সময়ব্যয়ে। প্রয়োগে আর বিলম্ব অনুচিত, সিদ্ধান্ত হল সর্বসম্মত।
সরকারি চাকুরের কর্মস্থান স্থানান্তরের সময় যা স্বাভাবিক, তুঙ্গে থাকে ব্যস্ততা তল্পিতল্পা গোটানোর। পরবর্তী কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে যোগদানের সময়সীমা থাকে, যা লঙ্ঘিত হলে উর্দ্ধতনের রক্তচক্ষুর সম্মুখীন হওয়া অবধারিত। উপস্থিত অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে যেন তেন প্রকারেণ গন্তব্যে প্রস্থানই তখন অগ্রাধিকার পায়, বহনযোগ্য গৃহসামগ্রীর সুচারু পারিপাট্য নয়।
কিংসফোর্ড সাহেবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। মুজ্জফরপুরে বদলির আদেশ এসেছে, নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। সময়াভাবে রওনা দিয়েছিলেন কোনোমতে লটবহর মালবাহী ট্রাকে গচ্ছিত করে।
সবে পৌঁছেছেন সরকারি বাসস্থানে। দেখলেন, স্থানীয় থানার ওসি অপেক্ষমান, উদ্বিগ্ন দৃশ্যতই। - স্যার, আর্জেন্ট রেডিওগ্রাম ফ্রম স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ, কলকাতা।
ভ্রু চকিতে কুঞ্চিত কিংসফোর্ডের, চোখ বুলোলেন বার্তায় তড়িঘড়ি। - ডু নট আনপ্যাক ইওর লাগেজ ওয়ান্স দে রিচ। বাই নো মিনস। ফাউল প্লে সাস্পেক্টেড। এক্সপ্লোসিভ এক্সপার্ট অন ওয়ে।
কিংসফোর্ডের পুস্তকপ্রীতি সুবিদিত ছিল। বিদায়ী উপহার-উপঢৌকন জমা হবেই ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কিড স্ট্রিটের বাড়িতে। উপহার হিসাবেই পৌঁছে দেওয়া হবে সুদৃশ্য মোড়কে বই। কিংসফোর্ড খুলবেন, খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভিতরে রাখা বোমা ফাটবে সশব্দ তীব্রতায় এবং ঘটবে কার্যসিদ্ধি, এই ছিল হত্যার নীল নকশা।
বিপ্লবী পরেশ মৌলিক সরকারি কর্মচারীর পরিচয়ে কিংসফোর্ডের বাড়ির সান্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দিলেন প্যাকেট। সাহেবের বদলির পর এমন উপহার অনেকই আসছে, বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করেই প্যাকেট পৌঁছল অন্দরমহলে।
কিন্তু বিধি বাম! গোছগাছের তাড়াহুড়োয় বইয়ের প্যাকেট খোলাই হল না। ট্রাকবন্দি হয়ে বই-বোমা পাড়ি দিল মুজ্জফরপুর।
দুর্ধর্ষ সোর্স নেটওয়ার্ক ছিল স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দাদের। ওঁরা জানতেন, বিপ্লবীদের হিটলিস্টে কিংসফোর্ডের নাম রয়েছে শীর্ষেই। কিংসফোর্ড মুজ্জফরপুর রওনা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই খবর এল, একটি মোড়ক দিনদুয়েক আগে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় সরকারি কর্মচারী। প্রমাদ গুনল ব্রিটিশ পুলিশ। কালবিলম্ব না করে সতর্কবার্তা প্রেরিত হল। বোমা-বিশেষজ্ঞ Major Musprat Williams-কে সদলবলে পাঠানো হল যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
বিপ্লবীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে উদ্ধার হল বইবোমা। যথোচিত সতর্কতায় যা আনা হল কলকাতায়। নিষ্ক্রিয় করা হল তৎকালীন নগরপাল Fredrick Loch Halliday-র কিড স্ট্রিটের বাসভবন সংলগ্ন বাগানে। বরাতজোরে আয়ুবৃদ্ধি ঘটল কিংসফোর্ডের।
প্রাথমিকভাবে হতোদ্যম হয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি বিপ্লবীরা। মুজ্জফরপুরে দুই তরুণকে পাঠানো হবে কিংসফোর্ড-হত্যার ভার দিয়ে, সিদ্ধান্ত হল। বারীন ঘোষ নির্বাচন করলেন সুশীল সেন এবং প্রফুল্ল চাকীকে। যাত্রার কিছু পূর্বে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুশীলের বাবা। প্রায় মৃত্যুশয্যাই। সুশীল যেতে পারলেন না। পরিবর্তে প্রফুল্ল চাকীর সঙ্গী হলেন অন্য এক তরুণ। নাম? ক্ষুদিরাম বসু।
সুশীলের জন্ম শিলংয়ে। বাবা ছিলেন শিলংয়ের আই জি (কারা)-র কার্যালয়ে প্রধান করণিক। শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখা দেশব্যাপী ব্রিটিশ-বিরোধিতার আবহে। ১৯০৫ সালে সিলেটের জ্ঞানেন্দ্রনাথ ধরের গুপ্ত সংগঠনে যোগ দিলেন। বিশেষ প্রশিক্ষণ নিলেন বক্সিং আর লাঠিখেলায়। ১৯০৬ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত হল সুর্মা ভ্যালি পলিটিক্যাল কনফারেন্স। যেখানে বিপিনচন্দ্র পালের বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে চলে এলেন কলকাতায়। ভর্তি হলেন ন্যাশনাল স্কুলে। জিমন্যাস্টিক্সের পাঠ নেওয়া শুরু করলেন বিপিনবিহারী গাঙ্গুলির কাছে।
১৯০৭-এর অগস্টে আদালত প্রাঙ্গনে ঘটল বেত্রাঘাতের ঘটনা। বিপ্লবীদের কাছে রাতারাতি নায়কের মর্যাদায় উন্নীত হলেন সুশীল। সংবর্ধিত হলেন কলেজ স্কোয়ারে। ঘটনা নিয়ে কালিপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ লিখলেন তুমুল জনপ্রিয় হওয়া গান,
(আমার) যায় যাবে জীবন চ’লে
আমায় —- বেত মেরে কি “মা” ভোলাবে?
আমি কি মা’র সেই ছেলে?
সুশীল ক্রমে আরও জড়িয়ে পড়লেন বিপ্লবী কার্যকলাপে। অসমসাহসী কিশোরকে শরিক করা হল কিংসফোর্ড-নিধনের চিত্রনাট্যে। দায়িত্ব পড়ল অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেটের বাসস্থানের পারিপার্শ্বিক খুঁটিনাটি সরেজমিনে একাধিকবার দেখে আসার। দেখে তো এলেন, অতঃকিম?
সুশীল স্বাধীনতা আন্দোলনে আরো সক্রিয়ভাবে অংশ নেন পরবর্তী জীবনে। অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। অরবিন্দ ঘোষের প্রেরণায় উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। ম্যাট্রিকে চতুর্দশ স্থান, স্নাতক স্তরে রসায়নে স্বর্ণপদক। প্রেসিডেন্সি কলেজে পাঠরত অবস্থায় ইডেন হিন্দু হোস্টেলে আলাপ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের সঙ্গে, ফের উজ্জীবিত হওয়া দেশকে স্বাধীন করার ব্রতে।
বীরোচিত মৃত্যুবরণ ১৯১৫-য় পুলিশের গুলিতে, নদিয়ায় এক গোপন সশস্ত্র অভিযান চলাকালীন। ব্রিটিশ বাহিনীর চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিল ছ’জনের দলটি|মজুত গুলিও প্রায় শেষ। সুশীলের দু’পায়েই গুলি লেগেছিল, চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন। পরিস্থিতির বিচারে আপাতদৃষ্টিতে তিনটি রাস্তা খোলা ছিল। এক, পুরো দলটিরই আত্মসমর্পণ। দুই, অসম যুদ্ধ অব্যাহত রেখে মৃত্যুকে সমবেত স্বেচ্ছাআহ্বান। এবং তিন, গুলিবিদ্ধ সুশীলকে ফেলে রেখে পশ্চাদপসরণ, যা কোনও অবস্থাতেই করতেন না সহযোদ্ধারা।
চতুর্থ রাস্তা দেখিয়েছিলেন সুশীল স্বয়ং। বিভ্রান্ত সহযোদ্ধাদের দ্রুত বোঝাতে পেরেছিলেন, সবাই মিলে শহীদ হলে অভীষ্ট অধরাই থেকে যাবে চিরতরে। একজনের মৃত্যু তবু শ্রেয় দলগত আত্মহননের তুলনায়। লড়াইটা অন্তত আগামীতে জারি রাখবে বাকিরা। সঙ্গীরা অনুরোধ রেখেছিলেন। ব্রিটিশ শাসকের নয়, সতীর্থদের বুলেটেই অবশিষ্ট প্রাণবায়ু নিঃশেষিত হয়েছিল তেইশ বছরের সুশীল সেনের।
বই-বোমাটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সযত্নে রক্ষিত আছে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে পুলিশ মিউজিয়ামে।
………..
তথ্য সংগৃহীত – প্রতাপ সাহা (https://www.facebook.com/pratapcsaha)। ধন্যবাদ।