মহাকরনের অলিন্দ যুদ্ধের সৈনিক দীনেশ গুপ্ত ও পেডি নিধনকারী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল আলিপুর সেশন জজ গার্লিক। বিপ্লবীরা তাকে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত হল। দীনেশ গুপ্ত বেঙ্গল ভলিন্টিয়ারসের সদস্য হলেও গার্লিক নিধনের দায়িত্বটা নিয়ে নেয় যুগান্তর দল। যুগান্তরের বারুইপুর শাখার প্রকাশ্য সংগঠনের বর্ষীয়ান নেতা সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় প্যারোলে বাড়ি এসে কাজটি পরিচালনা করেন। ২৭ জুলাই, ১৯৩১ তারিখে কানাই এক গ্রাম্য যুবকের বেশে আদালতে প্রবেশ করে লম্বা ছাতার মধ্যে থেকে রিভল্বার বের করে গুলি চালায়। গার্লিক নিহত হয়। সেই সঙ্গে কানাইলাল পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করে। তারপরেও পুলিশ গুলি করে ঝাঁজরা করে দেয় তার শরীর। পকেট থেকে উদ্ধার হয় একটা চিরকুট। “ধ্বংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও”। -বিমল গুপ্ত। মেদিনীপুরের বিমল গুপ্ত তখন পেডিকে হত্যা করে ফেরার। পুলিশ তাকে খুঁজছে। কানাইলালের উদ্দেশ্য ছিল বিমল গুপ্ত মারা গেছে ভেবে পুলিশ যদি তার অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয় তবে বিমল গুপ্ত বেঁচে যাবে। দেহ শনাক্তকরণের সময় তার মা নিজের ছেলেকে চিনতে অস্বীকার করে ফিরে আসেন। পুলিশ দীর্ঘদিন তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানতে পারেনি।
কানাইলাল-এর জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর মজিলপুরে। পিতা ছিলেন নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
…………
তথ্য সংগ্রাহক – প্রতাপ সাহা (https://www.facebook.com/pratapcsaha)। ধন্যবাদ।