“এখনকার ঘটনা, সংখ্যা গরিষ্ঠের বহুদিনের বঞ্চনা বোধের কারণে ঘটছে কি না ভাবা দরকার“

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে নিজস্ব নিয়ম মেনে। সেখানে ড্রেস কোড থাকলে তা মানাই উচিত। হিজাব কোথাও ড্রেস কোড না হওয়ারই কথা। বিষয়টি আদালতে গ্রহণ করাটা কতটা যুক্তি যুক্ত জানি না। ধর্মে যদি বিশেষ ড্রেস কোড থাকে আর তা যদি শিক্ষালয়ের ইউনিফর্ম- এর সঙ্গে সঙ্গতি না রাখে, তাহলে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের উচিত বেছে নেওয়া, ইউনিফর্ম তো সবার জন্যই এক হতে হবে।

সংবিধান অনেক বড় বিষয় নিয়ে তৈরি। মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা বড়, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিধি নিয়ম কি ছোট বলেই অগ্রাহ্য করতে হবে?
পাল্টা হিসেবে সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রীরা গৈরিক উত্তরীয় নিয়ে পথে নেমেছেন! এটাও তাহলে মানতে হবে? আসল কথা, ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা হয়ে পড়ছে বিশেষ কোনো কোনো সম্প্রদায়কে তোষণ করা। মিশনারি প্রতিষ্ঠানে খৃস্ট ভজনায় আপত্তি নেই, রাখি পরে ঢুকলেই বাধা পড়ে! মক্তব মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বন্ধ থাকে। এখনকার ঘটনা, সংখ্যা গরিষ্ঠের বহুদিনের বঞ্চনা বোধের কারণে ঘটছে কি না ভাবা দরকার।

শিক্ষাঙ্গনকে ধর্ম রক্ষার ক্ষেত্র ভেবে, ড্রেস কোডের বিরোধিতা করে, আদালতে গিয়ে এক ধরনের সংকীর্ণ মনের পরিচয় দিয়েছেন হিজাব-বাদীরা। প্রতিক্রিয়া ঘটছে। এটা সময় সংকেত হয়ত। মহামান্য আদালত এই মামলাটি গ্রহণ না করলেই পারতেন।

— ডঃ অচিন্ত্য বিশ্বাস, শিক্ষাবিদ, প্রাক্তন উপাচার্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.