মঙ্গলবার, ৮০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বের জনসংখ্যা। আর এই বিরল কৃতিত্ব অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান ভারতের। যে হারে ভারতের জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে এক বছরের মধ্যে চিনকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশ হয়ে উঠবে ভারত। এমনই জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর ইউএনএফপিএর তরফে জানানো হয়েছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা আরও ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি বেড়ে যাবে। এবং তাতে সর্বাধিক অবদান থাকবে এশিয়া ও আফ্রিকার। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, এ ক্ষেত্রে চিনের অবদান হবে ঋণাত্মক বা নেগেটিভ। একই অবস্থা ইউরোপেরও। সেখানেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। ইউএনএফপিএর তথ্যসূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এক বছরের মধ্যে চিনকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশ হয়ে যাবে ভারত।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছতে সময় লেগেছে ১২ বছর। কিন্তু ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে ১৪ বছর। কারণ, গোটা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে। ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটির বেশি।
৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি জনসংখ্যায় পৌঁছনোর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে নিম্ন আয় এবং নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে। আগামী দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি জনসংখ্যায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এই দেশগুলির ভূমিকা থাকবে ৯০ শতাংশ।
জুলাইয়ে প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২’ অনুযায়ী, ২০২২-এ ভারতের জনসংখ্যা ১৪১.২ কোটি, চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৬ কোটি। ২০৫০-এর মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা বেড়ে হবে ১৬৬.৮ কোটি, সেখানে চিনের জনসংখ্যা হবে ১৩১.৭ কোটি।