বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন ‘লঙ্ঘনের’ জন্য কেন ১৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করা হবে না? ফ্লিপকার্ট এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাদের কাছে এমনই ব্যাখ্যা চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিনটি সূত্র এবং ইডির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে ই-কমার্স সংস্থা বিদেশি বিনিয়োগ এবং ডব্লুএস রিটেল নামে একটি সম্পর্কিত সংস্থাকে টেনে নিয়েছে। তারপর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতাদের সামগ্রী বিক্রি করেছে। যা বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ওই তিন সূত্র এবং ইডির কর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইডির চেন্নাইয়ের কার্যালয় থেকে ফ্লিপকার্ট, ই-কমার্স সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সচিন বনশল ও বিনি বনশল এবং বিনিয়োগকারী টাইগার গ্লোবালকে সেই ‘শো-কজ নোটিশ’ ধরানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন ফ্লিপকার্টকে ১৩৫ কোটি ডলার জরিমানা ধার্য করা হবে না? ওই সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ৯০ দিনের মতো সময় দেওয়া হয়েছে। আর ২০১৫ সালের শেষের দিকে ডব্লুউ এস রিটেল পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হলে টাইগার গ্লোবালের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিনি এবং সচিনেরও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ফ্লিপকার্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘নোটিশ অনুযায়ী, ২০০৯-২০১৫ সালের মধ্যে কর্তৃপক্ষ (ইডি) যে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।’ তবে বিষয়টি নিয়ে ইডির তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।