সোনার চাহিদা বিশ্বের দ্বিতীয় সোনা ব্যবহারকারী দেশে ফের বাড়বে এই বছর গতবছর ধাক্কা খাওয়ার পরে। ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে বাড়বে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।
করোনা অতি মহামারীর কারণে গত বছর অনেকেই বিয়ে বা এই ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত রেখেছিল যেগুলি আবার ২০২১ সালে ফিরে আসছে। ফলে সোনার চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন ।
লন্ডন ভিত্তিক কাউন্সিলর ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি আর সোমসুন্দরম এমনটাই জানিয়েছেন ব্লুমবার্গ টিভির সাক্ষাৎকারে। ২০২১ সালে চাহিদার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখা যাবে বলে তিনি মনে করছেন।
পুরনো তথ্য ঘাটলে দেখা গিয়েছে ২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের ঠিক পরেই ভারতে চাহিদা লাফ দিয়ে বেড়েছিল সেইমতো আগামী তিন বছর ভারতে চাহিদা বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন।
ভারতের চাহিদা চিনের পিছু পিছু রয়েছে যা কমে গিয়েছিল ২০২০ সালে অতি মহামারীর কারণে লোকজনের ঘোরাফেরা নিয়ন্ত্রণ জারি হওয়ায় এবং মূল্য বৃদ্ধি ক্রেতাদের সরিয়ে রেখেছিল। গত বছর আমদানি অর্ধেকের কম হয়ে দাঁড়ায় ২৭৫.৫ টন।
যার ফলে গোল্ড কাউন্সিলের রেকর্ড অনুসারে ২০০৯ সালের মতো ঘরমুখী জাহাজ একেবারে সর্বনিম্ন হয়েছিল। তবে এই মহামারীর আগেই ভারতে সোনার চাহিদা কিছুটা কমতে থাকে যেহেতু স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সরকার কিছু ব্যবস্থা নেয় এবং ক্রেতাদের কেনাকাটায় প্রভাব পড়ে।
সত্ত্বেও ভারতের সোনার প্রতি একটা আকর্ষণ রয়েছে সেটা তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে বিশেষত বিয়ের সময় এই ধাতুর একটা চাহিদা দেখা যায় বলে জানিয়েছেন সোমসুন্দরম।
পাশাপাশি কোনভাবেই বিটকয়েন এক্ষেত্রে ভয়ের কারণ নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তবে স্বর্ণশিল্পে প্রয়োজন উদ্ভাবন যাতে ভারী গহনা থেকে সরে এসে নতুন প্রজন্মের চাহিদা অনুসারে এগোতে পারে।