তিন মাস পর চলতি বছরের অগস্টে আবার বাড়ল খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার। আগের তিন মাস ধরে অর্থাৎ মে, জুন ও জুলাই মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিম্নগামীই ছিল। অগস্ট মাসে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমার উপর ওঠায় আবার সুদের হার (রেপো রেট) বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত হওয়া সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, মূলত খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণেই খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে। গত জুলাইয়ের ৬.৬৯ শতাংশ থেকে অগস্টে তা বেড়ে ৭.৬২ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের অগস্টেই এই খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩.১১ শতাংশ। চলতি বছরে বর্ষার অনিশ্চয়তা এবং দেশের নানা প্রান্তে তাপপ্রবাহের জেরে বহু ফসল নষ্ট হয়েছে। যার জেরে বাজারে আনাজের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আশঙ্কা, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখে যেতে পারে।
অনেকে আবার ডলারের নিরিখে টাকার দামের লাগাতার পতনকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, টাকার দামে পতন মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ডলারের দাম বাড়লে পণ্য আমদানি করার খরচ বাড়বে। যার ফলে চড়বে উৎপাদন খরচ। এতে খুচরো বাজারে জিনিসের দাম বৃদ্ধিরই কথা। তার উপর জ্বালানির খরচ এখনও বেশ চড়া। যা পরিবহণের খরচকেও বাড়িয়ে রেখেছে।
চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চলতি মাসে শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে আসবে পাঁচ শতাংশের কাছে। কিন্তু যে হারে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বেড়েছে, তাতে আগামী দিনে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট আরও বা়ড়াতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।