বাজারে ক্রমেই বাড়ছে ৫০০ টাকার জাল নোটের পরিমাণ। সদ্য প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) বার্ষিক রিপোর্টে ফুটে উঠে উঠেছে এমনই আশঙ্কার ছবি। ২০২০-২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের তুলনায় জাল ৫০০ টাকার নোট (Fake Rs 500 banknotes) বেড়েছে ৩১.৩ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যান ঘিরে বাড়ছে অস্বস্তি।
তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর, অন্যান্য নোটের ক্ষেত্রে জাল নোটের (Fake notes) পরিমাণ কিন্তু কমেছে। উদ্বেগ মূলত ৫০০ টাকার নোট নিয়েই। দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ সালে যেখানে চিহ্নিত হওয়া মোট জাল নোটের মূল্য ছিল ২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। সেখানে তা এবছরের হিসেবে কমে হয়েছে ২.০৯ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত আটটায় দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) নোটবন্দির ঘোষণা করেন। রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় চালু ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট। মূলত কালোবাজারি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। এরপর বাজারে আসে ৫০০ টাকার নতুন নোট। সেই সময় বলা হয়েছিল, এই নতুন নোটে এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার ফলে একে সহজে নকল করা যাবে না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই বেড়ে চলেছে জাল ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ।
এই পরিস্থিতিতে জেনে নিন কীভাবে ধরতে পারবেন আপনার কাছে থাকা ৫০০ টাকার নোটটি জাল না আসল। রইল আসল ৫০০ টাকার নোটের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য।
১. নোটটি আলোয় ধরলে ৫০০ লেখাটা দেখা যাবে।
২. পুরনো নোটের তুলনায় নতুন ৫০০ টাকার নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবি অবস্থান বেশ আলাদা।
৩. দেবনাগরী হরফে ৫০০ লেখা।
৪. গ্যারান্টি ক্লজ, প্রতিশ্রুতির বয়ান সহ গভর্নরের স্বাক্ষর ও আরবিআই লোগো রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর ছবির ডান পাশে।
৫. নোটের পিছন দিকে রয়েছে লালকেল্লার ছবি।
৬. নোটের পিছন দিকে বাঁদিকে রয়েছে ‘স্বচ্ছ ভারত’ লোগো।