প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ভাড়ায় ছাড় বন্ধ করে দিয়েছে রেল। এতে ভরে উঠেছে রেলের কোষাগার। ২০২২-২৩ সালের একটা হিসেব দেখলে চোখ কপালে উঠবে। তথ্য জানা অধিকার আইনে করা এক আবেদনের উত্তরে দেখা যাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কনসেশন তুলে দিয়ে গত এক বছরে রেল বাঁচিয়েছে ২২৪২ কোটি টাকা। করোনার সময়ে ওই কনশেশন তুলে দিয়ে ২০২০ সালে রেল বাঁচিয়েছিল ১৫০০ কোটি টাকা।
মধ্য প্রদেশের চন্দ্রশেখর গৌড় নামে এক ব্যক্তির আরটিআই-এর জবাবে রেল জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের ৮ কোটি প্রবীণ নাগরিককে টিকিটে কোনও ছাড়া দেওয়া হয়নি। ওই সময়ে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিট বাবদ রেল আায় করেছে ৫,০৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যেই রয়েছে ওই ২২৪২ কোটি টাকা। চিকিটে ছাড়া বাতিল করেও ওই বিপুল টাকা এসেছে রেলের ঘরে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় বাতিল করার ফলে রেলের আয় ধীরে ধীরে বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেল দেশের ৭.৩১ কোটি প্রবীণ নাগরিকের টিকিটে ছাড়া দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪.৪৬ কোটি পুরুষ ও ২.৮৪ কোটি প্রবীণ মহিলা যাত্রী। ২০২০-২২ রেল প্রবীণ নাগরিকদের থেকে আয় করেছে ৩৪৬৪ কোটি টাকা। এই আয় ১৫০০ কোটি টাকা বেশি। অর্থাত্ চিকিটে ছাড় দিলে ওই ১৫০০ কোটি কম আয় হতো।
উল্লেখ্য, রেলের টিকিটে ৫০ শতাংশ ছাড়া পেতেন প্রবীণ নাগরিকরা। অন্যদিকে ট্রান্সজেন্ডাররা ৪০ শতাংশ ছাড়া পেতেন টিকিটে। টিকিটে ছাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের নূ্যনতম বয়স ৫৮ বছর। অন্যদিকে ৬০ বছরের পুরুষরা টিকিটে ছাড় পেতেন। করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চে সেই ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহুদিন থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল রেলে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড় কেন? এর ফলে ২০১৬ সালে ওই ছাড় ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়।