দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। গ্রেফতারির কিছুক্ষণ আগেই বিজয়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মন্ত্রীর বিরুদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেজন্য সরকার গঠনের মাসদুয়েক পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয়কে বরখাস্ত করে দেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। আম আদমি পার্টির (আপ) দাবি, ভারতে ইতিহাসে দ্বিতীয়বার নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে সরাসরি এরকম ব্যবস্থা নিলেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমবার সেই কাজটা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কাজের বরাতের জন্য আধিকারিকদের এক শতাংশ কমিশন চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজয়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঞ্জাব সরকারের হাতে ‘অকাট্য প্রমাণ’ এসেছে। সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার কোনও মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৫ সালে কেজরিওয়াল এক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে দিয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচুর প্রত্যাশা এবং নিয়ে মানুষ আম আদমি সরকার গঠন করেছেন। সেই প্রত্যাশা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। যতদিন ভারতমাতার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো ছেলে এবং ভগবন্ত মানের মতো ফৌজি আছে, ততদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন যে দুর্নীতি উপড়ে ফেলবেন। এক শতাংশ দুর্নীতিরও জায়গা নেই।’