১১তম দিনেও কলকাতায় আরও বাড়ল পেট্রোলের(petrol) দাম। মঙ্গলবারের তুলনায় দাম বাড়ল আরও ৫৩ পয়সা, বুধবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৭৯.০৮ টাকা। বেড়েছে ডিজেলের দামও। ৭০.৮৪ টাকা থেকে বুধবার ৫৪ পয়সা বেড়ে দাম হয়েছে ৭১.৩৮ টাকা। লকডাউনের জেরে টানা ৮২ দিন তেলের দাম এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার পর আচমকা তা যেন বেড়েই চলেছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৭৮.৫৫ টাকা। সোমবার দাম ছিল ৭৮.১০ টাকা। মঙ্গলবার তা বাড়ে আরও ৪৫ পয়সা। ডিজেলের দামও ৭০.৩৩ টাকা থেকে ৫১ পয়সা বেড়ে লিটার প্রতি হয় ৭০.৮৪ টাকা। সবমিলিয়ে ৭৩.৩০ টাকা থেকে ধাপে ধাপে কলকাতায় পেট্রোলের দাম বাড়ল ৫.৭৮ টাকা। প্রসঙ্গত সারা দেশেই গত ৭ জুন থেকে ধাপে ধাপে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে শহর বিশেষে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের স্থানীয় শুল্কের তারতম্যের ফলে এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণও ভিন্ন। প্রায় ১২ সপ্তাহ আগে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নিত্যদিনের সংশোধিত মূল্যতালিকা প্রকাশ স্থগিত রাখে জ্বালানি তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। তবে লকডাউনের নিয়ম শিথিল হওয়ার পর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের প্রতি দিন সংশোধিত দাম প্রকাশ করছে তারা।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি বিপণনকারী সংস্থা, যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন , ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি শুল্ক তোলার পরিবর্তে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হ্রাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে যা-ই হোক না কেন, ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি করোনা-সংকট কাটিয়ে উঠতে জ্বালানির উপর বাড়তি শুল্ক ধার্য করতে পারে বলেও সূত্রের খবর। দেশের পাঁচ মেট্রো শহরের মধ্যে দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৭৭.২৮ টাকা। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ৮৪.১৫ টাকা, চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম ৮০.৮৬ টাকা। বেঙ্গালুরুতে পেট্রোলের দাম ৭৯.৭৯ টাকা।