গানের গলা, সুর, তাল, লয় বা জনপ্রিয়তা- একসময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। জাতিস্বর-এ কণ্ঠ দিয়ে সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। তরতাজা রঙিন একটা জেনারেশনের কাছে নস্ট্যালজিয়া তাঁর গান। কিন্তু সেই সংগীত শিল্পীর মুখেই শোনা গেল অন্য গল্প! ‘ও আমার বউদিমণি কাগজওয়ালা’ বা ‘ও চাঁদ তোর জন্মদিন’ গায়কের গান শুনছেন না শ্রোতারা?
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে হাজির হয়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। সেখানেই গল্প-আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল সংগীত শিল্পীকে। তখনই তিনি ফাঁস করেন, বিগত পাঁচ বছরে ইউটিউবে মোট ৫৪টা কন্টেন্ট বানিয়েছেন তিনি। যার পিছনে নিজের পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে পাঁচ লক্ষ চার হাজার টাকা। আর চ্যানেল থেকে উপার্জন করতে পেরেছেন মাত্র আড়াই হাজার টাকা। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গায়ক নিজের খারাপ-লাগা এবং অভিমান প্রকাশ করে আরও বলেন, ২০১৯ সালে তাঁর শেষ জনপ্রিয় গান ‘জাগো উমা’। যদিও এরপর আরও গান গাইলেও শ্রোতাদের কাছে সেইভাবে প্রতিক্রিয়া পাননি। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভেই অনেকটা আক্ষেপের সুরে গায়ক বলেন, ‘সবাই এখনও রূপঙ্কর মানেই বোঝেন ‘বউদিমণি’, ‘ভোঁ কাট্টা’, ‘এ তুমি কেমন তুমি’, ‘আজ শ্রাবণে’ ইত্যাদি। এর বাইরেও কত গান করেছি। শ্রোতারা শুনতেই চান না।’ তাহলে কী সত্যিই রূপঙ্করের গান শুনছেন না শ্রোতারা?
গায়কের মতে জনসংযোগের বিষয় তিনি ততটাও পটু নয়। পার্টিতে যাওয়ার অভ্যেস নেই তাঁর। কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার অভ্যেস। তবে সংগীত শিল্পীর মতে, যাঁরা গান বাজনার মানুষের সঙ্গে বেশি সময় ওঠা বসা করেন, তাঁদের কাজের সুযোগ খানিকটা বেশি। পাশাপাশি এও মনে করিয়েছেন, অতীতেও এই জিনিসটা প্রাধান্য পেত।