বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই হাঁড়ির হাল মানুষের। লকডাউনের জেরে প্রায় বন্ধ রোজগারপাতি। কারও মাইনে কাটা গেছে তো কারোর আবার চাকরিটাই আর নেই। লকডাউনের জেরে ভাঁটা পড়েছে ব্যবসাতেও। ফলে আম জনতার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। এর উপর যে হারে বাজারে ফল-সব্জির দাম চড়ছে, এরপর খাওয়াদাওয়া সব মাথায় ওঠার জোগাড় মানুষের।
কিছুদিন আগেই গেল দুর্গাপুজো। করোনা পরিস্থিতির জেরে দুর্গাপুজোয় ব্যবসা একেবারেই ভালো যায়নি ব্যবসায়ীদের। তাই এবার লক্ষ্মীপুজোকেই ঢাল করেছেন তারা। যদিও এই হাঁড়ির হালে সকলের বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো হবে ছোটো করে। ফল, ফুল, সব্জি থেকে শুরু করে প্রতিমা কেনাকাটা, সব ক্ষেত্রেই করতে হচ্ছে কাটছাঁট। কিন্তু তবুও লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় কিছু অন্তত তো কিনতেই হচ্ছে। লক্ষ্মীদেবীকে ভোগ নিবেদন করতে যেটুকু প্রয়োজন, তার জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত মানুষ। তবে লক্ষ্মীপুজোতে সাধারণত বাজার দর একটু বেশির দিকেই থাকে, কিন্তু এই বছর তা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৮ টাকায়, পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০০, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, টম্যাটো কেজি প্রতি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি পটল ৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা ১৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা প্রতি কেজি, ক্যাপসিকাম ২৩০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা। এ তো গেল শুধু সব্জির দাম, ফলের দাম শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে।
আপেল ৮০ টাকা কেজি, ন্যাসপাতি ১০০ টাকা প্রতি কেজি, প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, সিঙ্গাপুরী কলা ১২ পিস ৫০ টাকা, মুসম্বি ২০ টাকা প্রতি পিস, প্রতি কেজি আঙুর ৩০০ টাকা, বেদানা ১৮০ টাকা কেজি, ছোটো মাপের বাতাবি লেবু ২০ টাকা পিস, কাঁঠালি কলা ৪ পিস ২৫ টাকা।