কোন শাখায় কত লকার ফাঁকা আছে? সেই সমস্ত যাবতীয় তথ্য রাখার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। যে নির্দেশিকা আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। সেইসঙ্গে লকার বণ্টনের জন্য একটি ওয়েটিং লিস্ট তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতি জারি জানানো হয়েছে, লকার বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার জন্য প্রতিটি শাখায় কতগুলি লকার আছে, সেই তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। লকার বণ্টনের জন্য আরবিআইয়ের সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম (সিবিএস) বা অন্য কোনও কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে প্রস্তুত করে রাখতে হবে একটি ওয়েটিং লিস্ট। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লকারের জন্য যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের আবেদন গ্রহণ করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। যে গ্রাহকরা নম্বর পাচ্ছেন, তাঁদের ওয়েটিং লিস্টের নম্বর দিতে হবে। অর্থাৎ ট্রেনের টিকিট কাটলে যেমন ওয়েটিং লিস্ট থাকে, সেরকম কায়দায় লকারের ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা জানতে পারবেন, তাঁরা লকার পাওয়ার আবেদন তালিকায় কত নম্বরে আছেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও একটি ব্যাঙ্কের যে গ্রাহক লকারের জন্য আবেদন করেছেন এবং পুরোপুরি সিডিডির (Customer Due Diligence) শর্ত পূরণ করেছেন, তাঁকে সেফ ডিপোজিট লকার বা সেফ কাস্টডি আর্টিকেলের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য বর্তমান নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্কে লকার আছে এবং তাঁর সঙ্গে সেই ব্যাঙ্কের অন্য কোনও লেনদেনের সম্পর্ক নেই, তাঁদেরও সেফ ডিপোজিট লকার বা সেফ কাস্টডি আর্টিকেলের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। আরবিআই জানিয়েছে, যাঁরা লকার ভাড়া নিচ্ছেন, তাঁরা যেন সেখানে কোনও অবৈধ বা বিপজ্জনক জিনিস না রাখেন, সেই সংক্রান্ত নিয়ম চালু করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপও করা যেতে পারে।
গ্রাহকের মৃত্যুর পর কীভাবে লকারের জিনিসপত্র দিতে হবে (ক্লেম সেটলমেন্টের প্রক্রিয়া)?
আরবিআইয়ের নির্দেশ, ক্লেম সেটলমেন্টের জন্য প্রতিটি ব্যাঙ্কে একটি নীতি থাকতে হবে। যে নীতিতে অনুমোদন দেবে বোর্ড। সেফ ডিপোজিট লকার বা সেফ কাস্টডি আর্টিকেলের জিনিসপত্র নমিনিকে দেওয়ার এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের ক্লেমের নোটিশ থেকে সুরক্ষার জন্য নীতি প্রণয়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, সঠিক নমিনির হাতে লকারের জিনিসপত্র তুলে দিতে প্রতিটি ব্যাঙ্ককে নিজস্ব ক্লেম কাঠামো তৈরি করতে হবে। গ্রাহকের মৃত্যুর প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে ক্লেম আর্জি জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে নমিনিকে লকারের সামগ্রী ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।