পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এ বার সে দেশের সরকারি সংস্থার তরফেই জানানো হল যে, মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে! পাকিস্তানি সংস্থা পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) সংবেদনশীল দাম সূচক (এসপিআই)-এর নিরিখে এই পরিসংখ্যান হাতে পেয়েছে।
ওই সংস্থার বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, দেশে পেট্রোলিয়াম দ্রব্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তবে ময়দা আর ডিমের মতো গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত জিনিসের তিন গুণ দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের কপালে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক দিন পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২২৮.২৮ শতাংশ। সিগারেটের দাম বেড়েছে ১৬৫.৮৮ শতাংশ। ডিজেল এবং কলার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১০২.৮৯ শতাংশ এবং ৮৯.১৭ শতাংশ।
আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর ১১০ কোটি ডলারের ঋণে দিকে চেয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে ওই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। তার মধ্যে একটি হল পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দামকে নির্দিষ্ট একটি অঙ্কে রাখতে হবে। পাকিস্তান অবশ্য আইএমএফের সঙ্গে রফাসূত্রে যাওয়ার আগে অভিনব একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটি অঙ্কের বেশি আয় করলে ধনী ব্যক্তিদের পেট্রল-ডিজ়েল কিনতে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। শুল্কবাবদ গৃহীত ওই টাকা ভর্তুকি হিসাবে জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।