দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাজেটে ঘোষিত প্রস্তাব ছাড়াও, প্রয়োজনে আরও একাধিক পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এমনটাই জানিয়েছেন। গত জুলাইয়ের বাজেটে নেওয়া বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত পরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷ এ বারও তেমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পেশাদার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, ওয়েলথ অ্যাডভাইজরি, কর উপদেষ্টা এবং একই ধরনের অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ‘বাজেট অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন নির্মলা৷ সেখানে তিনি বলেন,বাজেটে গৃহীত প্রস্তাবের বাইরে গিয়েও যদি কিছু করতে হয় তা করতে তারা প্রস্তুত৷ এই আলোচনাসভায় দেশের অর্থনৈতিক সক্রিয়তা বাড়াতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে ১ ফেব্রুয়ারিতে পেশ হওয়া বাজেটে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি এবং সক্রিয়তা বাড়াতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। বিভিন্ন কারণে দেশের বাজারে যখন মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন বাজারে চাহিদা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। চলতি অর্থবর্ষে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন হার গত ১১ বছরের সর্বনিম্ন ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলেই অনুমান করা হয়েছে।
এদিনের আলোচনায় কেমন করে ক্রেতাচাহিদা বাড়ানো যায়, ক্রেতাদের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থের ব্যবস্থা করা যায়, নগদের জোগান বাড়ানো যায় এবং শেয়ার বাজার সংক্রান্ত একাধিক সুপারিশ পেশ করা হয়েছে নির্মলার কাছে। এছাড়া ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, শীঘ্রই ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্পের খুঁটিনাটি দেওয়া হবে৷ তবে প্রকল্প চালুর আগে সংসদের সম্মতি আনা হবে। এজন্য যাবতীয় প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন ৷